পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6S তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ASA SYS LYCTS TS - ബ= =ജ ജ് =ങ്ക স্বরে ডাকিতাম কিন্তু, কোন उंडट्स পাই- | তাম না । আমি তাহাদিগকে শুনিতে পাইতাম না ও দেখিতে পাইতাম না এমন । সময়ে সেই মধুর কালে যখন বসন্ত সমীরণ সকল জীবিত বস্তুকে প্রণয়ভাষণ করে এবং সেই সকল বস্তু জাগ্রত হইয়া পক্ষী ও মুকুলের স্থবাৰ্ত্ত। আনয়ন করে সেই সময়ে | যখন মানব জীবন বিষয়ে গভীর চিন্তায় । তোমার মোহন মন্ত্র দ্বারা প্রীতি করিতে নিমগ্ন হইয়াছিলাম তখন হঠাৎ যখন তোমার ছায়া আমার আত্মার উপর পতিত হয় তখন আমি চিৎকার করিয়া উঠি এবং আনন্দসাগরে মগ্ন হইয়া করঘোড় হই । আমি সেই সময়ে প্রতিজ্ঞা করিলাম ঘে আমি তোমাকে এবং তোমার যাহা তাহা কে তামার সমস্ত ক্ষমতা উৎসর্গ করিব । । সে প্রতিজ্ঞ কি তামি রক্ষা করি নাই ? স্পন্দনশীল হৃদয়ে এবং অশ্রুময় চক্ষে আমি এক্ষণে বিগত সহস্ৰ হোরা সকলকে তাহাদিগের বিশুদ্ধ সমাধি মন্দির হইতে আহবান করিতেছি । তাহারা তামীর সহিত প্রেমানন্দ ও অধ্যয়নোৎসাচের সুকল্পনাপূর্ণ নিকুঞ্জে বসিয়া ঈর্ষান্বিত রজনী জাগরণে অতীত করিয়াছিল । সেই সকল চোরা তাবগত অাছে যে এমন অণনন্দ হামার ভ্রন্দ্বয়কে কখন উজ্জ্বল করে নাই যাহার সহিত এই আশ সংযুক্ত না ছিল যে তুমি এই পৃথিবীকে কখন না কখন অন্ধকারময় ক্রীতদাসত্ব হইতে বিসু জ্ঞ করিবে এবং হে স্তম্ভিতকার লালিত্য ! ! তাহাকে এমন জিনিস দিলে যাহা বাক্যেতে প্রকাশিত হয় না । যখন মাধ্যাহ্ন কাল বিগত হয় তখন দিবস তারে। গম্ভীর ও প্রশান্ত হইয়া আইসে। শরৎকালে এমন সঙ্গাত অাছে এবং তাহার আকাশে এমন জ্যোতি তাছে যাহা নিদানে শুনা যায় না অথবা দেখা যায় না, উহা এমন জিনিষ ১২ কল্প, ৪ ভাগ so o o যেন তাহা কখন হইতে পারে না অথবা হয় নাই । তোমার শক্তি যাহা প্রকৃতির সত্যের ন্যায় আমার প্রবণ নবযৌবনের উপর অবতরণ করিয়াছিল তাচা এক্ষণে, জীবন অবসান সময়ে তোমার ও তোমার সকল সুন্দর বস্তুর এই উপাসকের বাহ জীবনকে শান্তি প্রদান করুক। সুন্দরাত্মা ! সেই উপাসক তোমাকে ও সকল মনুষ্যকে বাধ্য । অরূপীর রূপ । ঈশ্বর তারূপী অশরীরা । তিনি নাম রূপের অতীত । “স্ব মহিম্নি” তিনি তাহার মহিমার মধ্যে বিরাজিত। উপরে অনন্ত কোটি নক্ষত্ৰলোক, নিম্নে ভূলোক, ইহার মধ্যে তিনি ওতপ্রেতি হইয়া রহি য়াছেন । এই অসীম ভূমণ্ডলের মধ্যে এমন স্থান নাই যেখানে তিনি নাই। কিন্তু অসীম ব্রহ্মাণ্ডের কারণরূপে যখন আমরা পরমেশ্বরকে দেখি, তখন তামর। তাহাতে এক উচ্চতর মহত্তর সভা দেখিতে পাই । এই সমস্ত জগত তাহা দ্বারা অনুপ্রবিষ্ট হইয়াও র্তাহ অপেক্ষ ক্ষুদ্র । তিনি র্তাহার মহিমার মধ্যে বিরাজিত থাকিলেও তিনি ও তাহার মহিম। একপদার্থ নহে । তিনি তাহাদিগের ও অতীত । “সহস্ৰশার্যা পূরুসঃ সহস্রাক্ষঃ সহস্রপাৎ ৷ সৰ্ব্বব্যাপী ভুবঃ স্পর্শদত্যতিষ্ঠ দশাঙ্গলম । বিষ্ণুপুরণ । ১২অ, ৫৮ | তাহার অনন্ত মস্তক, অনন্ত চক্ষু, অনন্ত পদ, তিনি সৰ্ব্বব্যাপী, আকাশ স্পর্শ করিয়াও দশ আঙ্গুলি স্থান তাধিক হইয়া স্থিতি করিতেছেন । এই শ্লোক শুক্ল যজুৰ্ব্বেদের মাধ্যন্দিনী শাখার একত্রিংশ