পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় ১৮১২ অরূপীর রূপ (N○ অধ্যায়ের ১ম কণ্ডিকার অবিকল অনুরূপ বলিলে ও ক্ষতি হয় না । “সৰ্ব্বব্যাপী ভুবঃ পর্ণাং” ইহার স্থানে “স ভূমিং সৰ্ব্বত: | বাহিরে সেই অনাদিমং পরমেশ্বরের সন্তা অবলোকন করেন। দিব্য আলোকে জ্যোতিষ্মান, তঁহাদের ੇ।” আছে, ইহাতে অর্থগত নিতান্ত অধিক তারতম্য নাই । তিনি র্তাহার সৃষ্টির মধ্যে অধিষ্ঠিত আছেন বলিয়া পাছে আমরা স্রষ্টা ও স্বষ্টির মধ্যে প্রভেদ ভুলিয়। যাই, এই জন্য ঈদৃশ শ্লোকের অবতারণ। তিনি স্থষ্টির অন্তর্নিবিষ্ট হইয়াও উহ। অপেক্ষা আবৃত করিয়া স্থিতি করিতেছেন । র্তাহার অনন্ত উদার ক্রোড়ে অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড স্থান । পাইয়াছে, তিনি কলকে রক্ষা করিতে- ; নয়ন এই জড়ের মধ্যে এমনই সজীবতা দেখিতে পায় যে তাহারা ইহাকে ঈশ্বরের ○gエ | জগৎ একভাবে যেমন তাহা হইতে ভিন্ন, তিনি যেমন সকলের রক্ষা কৰ্ত্তা ও আশ্রয়দাতা, তেমনি আর একভাবে জগৎ । প্রাণের প্রাণ, মনের মন বলিয়া জানেন আবার তাহারাই বলিয়া উঠেন যে “চন্দ্রমা র্তাহ হইতে অভিন্ন, তাহার অধিষ্ঠানেই ইহার প্রতিষ্ঠ। জগতের স্থষ্টিকৌশল যতই আমরা আলোচনা করি ততই তা- ; চার মঙ্গলভাব, তাহার প্রীতির ভাব চতু- ! দিকে বিকশিত দেখি । তিনি মনুম্যের জন্য ক্ষুধার অন্ন, পিপাসার জল দিলেন, পশু পক্ষীর জন্য তরু লতাগুল্মকে ফলভরে অবনত করিয়া দিলেন, ওষধি বনস্পতির জন্ম-বৃদ্ধির জন্য জল বায়ু রৌদ্র ও মৃত্তিকাকে তাহার উপযোগী করিলেন, উত্তাপের জন্য সূৰ্য্যকে আকাশে স্থাপিত করিলেন, বায়ু ও বৃষ্টিকে নিয়মিত করিবার জন্য ধরা পৃষ্ঠকে তাহার উপযুক্ত করিলেন ও সূর্য্যের সহিত তাহাদের চিরসম্বন্ধ আবদ্ধ করিয়া দিলেন, স্বস্ট তাবৎ পদাথকে জীব জন্তুর সুখ শান্তি সাধনের ও আরাম লাভের অনুরূপ করিলেন । এবং মাতার ন্যায় স্থষ্টির মূলে রহিলেন, এবং অতিরিক্ত হইয়া রহিয়াছেন । । “সৰ্ব্বমাবৃত্য তিষ্ঠতি” তিনি সকলকে । বিরাজ করিতে থাকে । সকলের অভাব মোচনে তৎপর থাকি লেন । পরমার্থজ্ঞানী সাধু পুরুষেরা অন্তরে র্তাহীদের আত্ম। চৰ্ম্মচক্ষু দিব্যবলে তেজীয়ান। জড় কি জীব তাবতের মধ্যে কেবল র্তাহাকেই র্তাহারা অনুসন্ধান করেন। অক্ষুণ্ণ ভৌতিক নিয়মে আবদ্ধ স্থশূঙ্খলাবদ্ধ এই প্রকাণ্ড ব্ৰহ্মাণ্ড তাহারদের সমক্ষে দিব্যভাবে তাহারা ঈশ্বরকে এই স্বষ্টির মধ্যে এমনই ওতপ্রোতভাবে দেখেন, তাহাদের প্রীতিবিস্ফারিত বিরাট মূৰ্ত্তি না বলিয়া পাকিতে পারেন না । যাহারা তাহাকে আত্মার তাত্মা, ইহঁর মন, সূৰ্য্য ইহার চক্ষু, অগ্নি ইহার মুখ, অন্তরীক্ষ ইহার নাভি, চ্যলোক ইহঁর মস্তক, ভূমি ইহার পদ, দিক সকল ইহার শ্রোত্র। এইরূপে সমস্ত স্থষ্টিকেই তাহার অঙ্গ প্রত্যঙ্গাদি রূপে কল্পনা করেন । ইহাই শুক্লযজুৰ্ব্বেদোক্ত মাধ্যন্দিনী শাখার বিরাট মূৰ্ত্তি । উপনিষদেও এই বিরাট মূর্তির প্রতিধ্বনি দেখিতে পাই । ইহা এমনই প্রাণম্পশী যে বস্তবিক ইহা পাঠে শরীর রোমাঞ্চিত হইয় উঠে। “অগ্নিমূদ্ধা, অগ্নি ইহার মস্তক, চক্ষুষী চন্দ্রসূর্য্যে), চন্দ্র সূর্য চক্ষু, দিশঃ শ্রোত্রে, দিক সকল ইহার কর্ণ, বাক্ বিবৃতাশ্চ বেদাঃ, বেদ ইহঁার বাক্য, পদভ্যাং পৃথিবী, পৃথিবী ইহার পদ হৃদয়ং বিশ্বমস্য,বিশ্ব ইহঁার হৃদয় । অরূপীর