পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रांथtछ ՖԵ ) Հ - --مصمم صحص--------ساصے سے দ্বারা তিনি যে মহতে মহীয়ান তা হারই পরিচয় পাওয়া যায় । বেদাদি শাস্ত্রে ঈশ্বরের মহান ভাবের পরিচয় দিবার নিমিত্তই এই বিরাটরূপের কল্পনা । ইহাতে ব্রহ্ম যে এই অসীম ব্রহ্মাণ্ড ও অসীম আকাশ হইতেও উচ্চ তাছাই অভিব্যক্ত হইয়াছে, ফলতঃ ব্রহ্মের অনন্তত্ব হৃদয়ঙ্গম করাইয়। বিস্ময় সহকুত ভক্তির উদ্রেক করা এবং স্রষ্টা ষে স্বস্ট হইতে অতিরিক্ত তাহ। প্রতিপাদন করা এই কল্পনার উদ্দেশ্য । কিন্তু পরবর্তী কোন কোন গ্রন্থে শক্তি ও শক্তি-মানের অভেদ স্বীকার করিয়া ভিন্ন প্রকার মুক্তি কল্পন। দৃষ্ট হইয়। থাকে। ইহ। ব্ৰহ্মশক্তি প্রকৃতির দিব্য স্ত্রীমূৰ্ত্তি। অাপাত দৃষ্টিতে বোধ হইবে ব্রহ্মের ব্যাপক ভাবকে নিতান্ত ব্যাপ্যে আনয়ন করা হইয়াছে কিন্তু বাস্তব তাহা নহে । আমরা এস্থলে মার্কণ্ডেয় পুরাণের দেবীমাহাত্ম্য দৃষ্টান্ত স্বরূপ লইলাম। ইহার অখ্যায়িক মহিষাসুরের বহুকালব্যাপী এক মহাযুদ্ধ হয় । তাহা েইন্দ্র দেব অন্যান্য দেবমণ্ডলীর সহি লসৈন্যে বার বার পরাভূত হন । যুদ্রপ্রমুখ পরাজিত দেবগণ ব্ৰহ্মাকে সঙ্গে লইয়া বিষ্ণু ও মহেশ্বরের নিকট উপস্থিত হইয়। পরাজয় বৃত্তান্ত জ্ঞাপন করেন এবং যাহাতে দেবমণ্ডলী এই ঘোর বিপদ হইতে রক্ষা পান তাহার জন্য বিশিষ্টরূপে অনুরোধ করেন । এই সংবাদে বিষ্ণু ও রুদ্র যার পর নাই কুপিত হইলেন । তাহারদের দেহ হইতে সুমহৎ তেজ বিনিগত হইতে লাগিল । সেই তেজ অন্যান্য দেবশরীর-বিনিগত তেজের সহিত একতা লাভ করিয়া নারীরূপে পরিণত হইল। এই মহাশক্তিরূপ। নারীকে মহাদেব স্বীয় ভীষণ শূল অপণ অরূপীর রূপ 6 (i. | করিলেন, বিষ্ণু স্বীয় চক্র দিলেন,বরুণ শঙ্খ, হুতাশন শক্তি, মরুৎ বাণপূর্ণ তৃণীর ও ধনুক, ইন্দ্র স্বীয় কুলিশ ও ঐরাবৎ হস্তী হইতে এক সুপ্রকা ণ্ড ঘণ্টা, যমরাজ স্বীয় কালদণ্ড, অম্বুনাথ স্বায় নাগপাশ, প্রজাপতি অক্ষমালা ও কমণ্ডলু, দিবাকর সেই কামিনীশরীরের প্রত্যেক রোমকূপে স্বকীয় প্রখর তেজ, কাল অত্যুৎকৃষ্ট নিৰ্ম্মল অসিচৰ্ম্ম প্রদান করিলেন । ক্ষীরোদ পরমোংকৃষ্ট অঙ্গা ভরণ পরিধেয় কণ্ঠে হার মস্তকে মণিখচিত মুকুট, কর্ণে দিব্যকুণ্ডল, হস্তে বলয়, ললাটে দীপ্তিমান অৰ্দ্ধচন্দ্র ইত্যাদি অলঙ্কার প্রদান করিলেন । বিশ্বকৰ্ম্ম৷ নিৰ্ম্মল পরশু দিলেন,সমুদ্র তা চার বক্ষ ও মস্তক তাম্লান কমল দ্বারা সে শোভিত করিলেন, পর্বতশ্রেষ্ঠ হিমালয় নান রত্নাদি সহ এক বাহক সিংহ, কুবের অক্ষয় মধুপূরিত দিব্য পানপত্রি, ভূধার অনন্তাদ নাগগণ মণি মানিক্য ও পৃথিবী নাগহার ভাগে এইরূপ আছে “পুরাকালে ইন্দ্র ও । সমপণ করিলেন । বিবিধ অলঙ্কার ও আযুদ্ধভূমিত মহাশক্তি অট্টহাস শব্দে আকাশ ভেদ করিয়া সপ্তলোক বিচলিত করিলেন । ইহাই শারদীয় উৎসবের দেবী মূৰ্ত্তি । কিন্তু দেবীমাহায়্যের এই অন্তরসংহারকারিণী মূৰ্ত্তিকে পাছে লোক ব্যাপ্য ভাবে গ্রহণ করে এই আশঙ্কায় প্রকৃতির মধ্য হইতে যা কিছু ভীষণ য। কিছু রমণীয় এই মূৰ্ত্তিতে তৎ সমুদায়ের সমাবেশ করা হইয়াছে । এইরূপ ভীম ও কান্ত ভাবে অলঙ্কত মূৰ্ত্তির কল্পনায় ইহাই প্রদর্শিত হইয়াছে যে ইনিই আদ্য। প্রকৃতি অর্থাৎ ব্রহ্মশক্তি । ইহাতেও যদি স্থূলদশীদিগের ব্যাপাভাবের মোহ উপস্থিত হয় সেই চন মাহন্ত্র্যের প্রা রম্ভ ভাগে দেবীসৃপ্ত সংষোজিত হই, য়াছে। ইহা কপ্রকট ঋক মন্ত্র প্রকৃতির