পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ჯაუ, তত্ত্ববোধি নী পত্রিকা s२ कत्र, a छ|ञ কাৰ্য্যবাদে পূর্ণ। অর্থাৎ ইহা দ্বারা সহজেই বোধ হইবে শক্তি ও শক্তিমানকে অভেদে লইয়া অভ্যরূপীর কল্পিত রূপ প্রদশিত হইতেছে । কিন্তু বেদাদির কল্পিত বিরাট মূৰ্ত্তিতে কেবল হৃদয়স্তব্ধকর বিস্ময়ের ভাব উপস্থিত হয় দেবীমাহাক্স্যে তদ্রুপ নহে। ইহাতে ব্রহ্মের ব্যাপক ভাবে কেবলই দুনিরীক্ষ্যত নাই । ইহা ভীম ও কান্ত উভয়ই । ফলতঃ ঈশ্বর যে মহতোমহীয়ান তাহা হইতে কেহই বৃহৎ নহে কেহই মহৎ নহে, শাস্ত্রোক্ত এই সমস্ত বিরাটমূৰ্ত্তিতে তাহাই দেখি । এই– । রূপ কবি কল্পনায় হাদয় যারপর নাই উদার ভাব ধারণ করে । উপসংহারে বক্তব্য এই যে, কবিত্বে কখন কখন সত্যের অপলাপ | দেখিতে পাওয়া যায় কিন্তু বিরাটমূৰ্ত্তি কল্পনার ন্যায় সত্য ও স্বগীয় কবিত্বের এমন মিশ্রণ হিন্দুশাস্ত্র ব্যতীত আর বুঝি অন্য কুত্ৰাপি দৃষ্ট হয় না। কিন্তু যাহারা শাস্ত্রের এইরূপ গৃঢ় রহস্য উদ্ভেদ করিতে অসমর্থ হইয়া শাস্ত্রবলেই অঘূৰ্ত্তের মূৰ্ত্তি ও অপ্রাণের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন র্তাহার। প্রকৃত তত্ত্ব হইতে বহু দূরে । তাহাদের ভিত্তি-রচনা বালুকাস্তপের উপর সুতরাং একান্তই অপ্রতিষ্ঠ। ৈ পৌরাণিক উপাখ্যান। পাণ্ডবগণ দ্ব্যতিক্রীড়াতে হৃতসর্ববস্ব হইয়া বনভূমিতে আশ্রয় লইয়াছেন । র্তাহারা পতিপ্রাণ সহধৰ্ম্মিণী দ্রৌপদীসহ দ্বৈ ৩কাননে বাস করিতেছেন । একদিন সন্ধ্যাকালে দ্রৌপদী ধৰ্ম্মায়া যুধিষ্ঠিরকে বলিলেন, নাথ ! দুৰ্ম্মতি দুর্য্যোধন কি নিষ্ঠ র, অমাদিগকে রাজভ্ৰষ্ট ও বনচারী । করিয়াও সে কিছুমাত্র অনুতাপিত হয় | নাই, তুমি ধৰ্ম্মনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা, তোমাকে | কঠোর বচন প্রয়োগ করিতে কিছুমাত্র শঙ্কিত হইল না। তুমি যখন মৃগচৰ্ম্ম ধারণ করিয়া বহির্গত হইলে, তখন সমুদায় কুরুসন্তানই দুঃখাশ্র বিসর্জন করিয়াছিল, কিন্তু পাপাত্মা দুৰ্য্যোধন, কর্ণ, শকুনি ও দুঃশাসন কিছু মাত্র দুঃখিত হয় নাই। তুমি রাজসভামধ্যে রাজন্যবর্গে পরিবেষ্টিত হইয়। রত্নসিংহাসনে উপবেশন করিতে, আর আজ তোমার চীরবসন ও তৃণশয্যা অবলোকন করিয়া আমি ব্যথিত হইতেছি । হা নাথ ! পূর্বে তুমি সহস্র সহস্র ব্রাহ্মণ যতি ব্রহ্মচারীগণকে সুবর্ণপাত্রে স্বস্বাছ অন্ন ব্যঞ্জনাদি ভোজন করা ইয়াছ, আজ তুমি কি রূপে বন্য ফল মূল দ্বারা জীবন ধারণ করিবে । -- রাজেন্দ্র । তুমি যে কখন দুঃখের মুখ দেখ নাই, কিরূপে এই বনবাস-ক্লেশ এই হন করিবে, এই চিন্তা করিয়া আমি শোকে অভিভূত হইতেছি । তোমরা রাজপুত্র হইয়া বনবাসে দাসোচিত কাৰ্য্য করিতেছ, দুর্য্যোধনই এই সমুদায় অনর্থের সল, ইহাতে ও কি তোমার মনে ক্রোশে দৃ থার হয় না ? বীরশ্রেষ্ঠ ভীমসেন, মহাব অর্জুন, প্রিয়দর্শন শৌৰ্যশালী মাদ্রীকুম্প্রদ্ধয়, তোমার প্রতিজ্ঞাপাশে বদ্ধ হইয়া নীরবে সমুদায় সছ করিতেছেন, আমি দ্রুপদরাজার কন্যা, মহাত্মা পাণ্ডুর পুত্রবধূ এবং তোমার স্যায় ধৰ্ম্মাত্মার ধৰ্ম্মপত্নী হইয়াও বনবাসিনী হইলাম। তোমার ইন্দ্রতুল্য ভ্রাতৃগণকে শোকে মলিন দেখিয়া ও যখন তোমার কিছু মাত্র ক্ৰোধোদয় হইতেছে না, তখন বুঝিলাম যে তোমার মনে ক্রোধের স্থান নাই। কার্য্যকালে বীরত্ব প্রকাশ করাই ক্ষত্রিয়ের লক্ষণ, হ নাথ ! ক্রোধশুন্য ক্ষত্ৰিয় কোথায় ? কাৰ্য্যকালে অবশ্য ক্ষম। অবলম্বন করিতে হইবে, কিন্তু এখন তেজ