পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(Ե তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ०२ कछ, s छको ক্রোধীরা আপনারও অনিষ্ট করিয়া থাকে। হে শোভনে ! ক্রোধ হইতেই সমুদায় সন্তাপ উপস্থিত হয় । ক্রোণী ব্যক্তি দক্ষতা অমর্ষ, শৌর্য্য এবং ক্ষিপ্রকারিতা লাভ করিতে পারে না। মূর্থেরাই ক্রোধকে তেজ মনে করিয়া থাকে | হে দেবি ! ক্রোধের ন্যায় আর অপকৃষ্ট বস্তু কিছুই নাই । আমি কিপ্রকারে অনর্থকর ক্রোধের বশীভূত হইয়া পাপ সঞ্চয় করিব । ক্ষমার ন্যায় ধৰ্ম্ম নাই । যদি সকলেই উৎপীড়িত হইয়া উৎপীড়ন হিংসিত হইয়। হিংসা করে, কেহ কাহাকেও ক্ষমা না করে তাহা হইলে সংসারের কি ঘোর দুর্দশা উপস্থিত হয়, একবার চিন্তা করিয়া দেখ । দুর্য্যোধন ক্ষমা না করুক আমি কখনও ক্ষমা পরিত্যাগ করিতে পারি না । অামি যদি ক্ষমা অবলম্বন না করিয়া ক্রোধ করি, তাহা হইলে কুরুকুল এখনই ধ্বংস হয়। হে বুধে । পৃংি দীর ন্যায় ক্ষমাশীল সাধুরাই মানবকুলের ভূমণ । যে ব্যক্তি প্রভাবশালী হইয়াও ক্ৰোধ জয় করতঃ ক্ষমাশীল তিনিই বিদ্বান ও শ্রেষ্ঠ । মহাত্মা কাশ্যপ ক্ষমাবান সাধুদিগের এক গাথা উল্লেখ করিয়াছেন, শ্রবণ কর । ক্ষম। ধৰ্ম্ম, ক্ষমা যজ্ঞ, ক্ষমা বেদ, ক্ষমাই শাস্ত্র, যিনি ইহা জানেন, তিনিই সকলকে ক্ষমা করিতে পারেন । ক্ষমা ব্রহ্ম তপঃ, ক্ষমা শৌচ । ক্ষমাতেই সত্য, ব্রহ্ম, যজ্ঞ, ও সমুদায় লোক প্রতিষ্ঠিত আছে। হে দেবি ! বল, আমি কি প্রকারে ঈদৃশী ক্ষমাকে উল্লঙ্ঘন করিতে পারি। ক্ষমা বিষয়ক এই গাথা শ্রবণ করিয়। এখন তুমি ক্রোধ পরিত্যাগ করিয়া ক্ষান্ত হও । ক্ষমা এবং অনুশংসতা মহাত্মাদিগের একমাত্র অব- ; লম্বনীয় । আমি প্রকৃতরূপে ক্ষমাকেই অবলম্বন করিব । পাঞ্চালী কহিলেন, হে রাজেন্দ্ৰ ! তুমি আজীবন ধৰ্ম্মেরই সেবা করি য়াছ । কখনও তুমি ধৰ্ম্মকে অবহেলা কর নাই। তোমার জীবনও রাজ্য কেবল ধৰ্ম্মেরই নিমিত্ত। আমি নিশ্চয় জানি তুমি ভ্রাতৃচতুষ্টয়কে ও আমাকে পরিত্যাগ করিবে, তথাপি ধৰ্ম্মকে পরিত্যাগ করিবে না । হে নাথ ! ছায়ার ন্যায় তোমার অসাধারণ বুদ্ধি ধৰ্ম্মেরই অনুসারিণী। সসাগর। পৃথিবীর রাজা হইয়াও কনিষ্ঠ শ্রেষ্ঠ কি সমকক্ষ কাহাকেও তুমি অবজ্ঞা কর নাই, তুমি সৰ্ব্ব প্রকারেই দেবদ্বিজের সেবা করিয়াছ । শুনিয়াছি, ধৰ্ম্মকে যিনি রক্ষা করেন, ধৰ্ম্ম র্তাহাকে রক্ষা করিয়া থাকেন । কিন্তু আমি দেখিতেছি, ধৰ্ম্ম তোমাকে রক্ষা করিতেছেন না । তুমি গোমেধাদি ভূরিদক্ষিণ যজ্ঞসকল অনুষ্ঠান করিয়াছ, তথাপি অক্ষত্ৰীড়াতে তোমার বিপরীত বুদ্ধি উপস্থিত হইল। লোভপরবশ জুরাত্মা দুৰ্য্যোধনের সম্পদ এবং তোমার বনবাস অবলোকন করিয়া আমি ধৰ্ম্মের প্রতি সন্দিহান হইতেছি । বিধাতার এবপকার আচরণ দেখিয়া বিধাতাকেই তিরস্কার করিতে আমার ইচ্ছা হইতেছে । মহামতি যুধিষ্ঠির কহিলেন, হে ক ল্যাণি ! তুমি যাহা বলিলে, তাহ যুক্তিযুক্ত ও সুবিন্যস্ত তাহার সন্দেহ নাই কিন্তু আমি ফলের আকাঙক্ষী হইয়া ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করি না। আমি দাতব্য বলিয়াই দান করি এবং যষ্টব্য বলিয়াই যজ্ঞ করিয়া থাকি । গৃহস্থাশ্রমে থাকিয়া আমার যাহা করা কর্তব্য, ফলাফলের প্রতি দৃষ্টি না করিয়া আমি যথা শক্তি তাহারই অনুষ্ঠান করিয়া থাকি। আমার মন স্বভাবতই ধৰ্ম্মানুসারী। হে যাজ্ঞসেনি ! আমি শাস্ত্র এবং সাধুদিগের অ্যচরণ