পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

काँबांझ ?v*२ জীবন চরিত (ίδι v صح۔سےسیسیے দেখিয়া ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করি, আমি কোন ফলের প্রত্যাশা করি না। স্বৰ্গাদি ফল কামনা করিয়া যে ব্যক্তি ধৰ্ম্মাচরণ করে, সে ধৰ্ম্মবণিক এবং ধাৰ্ম্মিক সমাজে অতিশয় ঘৃণিত হইয়া থাকে। সে কখনও ধৰ্ম্মফল ভোগ করিতে সমর্থ হয় না। হে শোভনে ! তুমি কদাচ ধৰ্ম্মের প্রতি সন্দেহ করি ও না, ধৰ্ম্ম কখন বিফল হয় না, এবং অধৰ্ম্মও কখন ফলবান হয় না । ধৰ্ম্ম প্রভাবে ব্যাস, বশিষ্ঠ, মৈত্রেয়, নারদ প্রভৃতি ঋষিগণ দেবগণ অপেক্ষা ও সম্মান লাভ করিয়াছেন । যিনি অসন্দিগ্ধচিত্তে ধৰ্ম্মের সেবা করেন, তিনি ব্রহ্মলোক লাভ করিয়া অপার শান্তি প্রাপ্ত হয়েন । ধৰ্ম্ম বিফল হইলে জগৎ গভীর অন্ধকারে নিমগ্ন হইয়া যায়। হে কল্যাণি ! তুমি নাস্তিক্য বুদ্ধি পরিত্যাগ কর । পতি পরম দেবতাকে জানিতে ইচ্ছা কর এবং তাহার চরণে নমস্কার কর । পরমহংস শিবনারায়ণ দেবের জীবন চরিত। যদ্যপি টাকা না দাও তাহা হইলে তোমাকে অামার রাজ্য মধ্যে বাস করিতে দিব না, তোপে উড়াইয়া দিব । সেই জমীদার বলিলেন অপনি রাজা, সমস্তই । সৰ্ব্বভূতের অধি- ; o ব্যক্তির উপর বল প্রকাশ করিয়া, সসৈন্যে যাইয়া বাহাদুরি করিয়া তাহার উত্তম উত্তম বহুমূল্যের অট্টালিকা ভাঙ্গিয়া চুরিয়া বাটিতে প্রত্যাগমন করিলেন । অনেক লোক র্তাহাকে ধন্যবাদ দিতে লাগিল, এবং ইংরাজেরাও র্তাহাকে ধন্যবাদ দিতে লাগিল । সেই সময় শিবনারায়ণ একখানি জীর্ণ বস্ত্রে আচ্ছাদিত হইয়া, দরিদ্রের ন্যায় সেখানে রাজার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। রাজা শিবনারায়ণকে দেখিয়া, চাকরদিগের উপর রাগ করিয়া বলিলেন যে এই দরিদ্রকে এখানে কেন আসিতে দিলে । ইহাকে লাহির করিয়া দাও । শিবনারায়ণ দেখিলেন যে ক্রোধ প্রযুক্ত রাজা ভ্রমে অন্ধ হইয়া আছেন, এখন কোন কথা বলিবার প্রয়োজন নাই । রাজার চাকর শিবনারায়ণকে হাত ধরিস গলা ধাক্কা দিতে দিতে রাস্তায় তুলিয়া দিলেন । শিবনারায়ণ সেখান হইতে আবুপাহাড়ের দিকে চলিলেন । তিনি পালিগ্রাম হইতে পাচ ক্রোশ দূরে রাস্তার ধারে জঙ্গলের মধ্যে সন্ধ্যার সময় বসিয়া আছেন তৎকালে যোধপুরের রাজার চাকর, তাহার পদবী গোসাই ভারতী, যোধপুর হইতে উষ্ট্রে | | করিতে পারেন । মল্লারা রাজাকে পরামর্শ | দিল, যে পেড়াপিড়ি না করিলে, সহজে টাকা দিবে না। রাজা তাহাই শুনিয়া সৈন্য সামন্ত তোপ গোলা গুলি লইয়া যাইয়া সেই জমীদারের ঘর বাড়ি তোপে উড়াইয়া দিল । যেমন তোপ ছাড়িতে লাগিল, অমনি তাহারা ভয়েতে বাটি হইতে বাহির হইয়া প্রাণ রক্ষার জন্য জঙ্গলে পলায়ন করিল। রাজা দুর্বল আরোহণ করিয়া পালিগ্রামে যাইতেছিল। সন্ধ্যাকালে দেখিল যে শিবনারায়ণ সেথানে বসিয়া আছে । এখানে কোন গ্রাম নাই মনুষ্য নাই জল নাই কেমন করিয়া রাত্রে এখানে থাকিবে এবং বঁচিবে । এই ভাবনায় আকুল হইয়া শিবনারায়ণকে সেই ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করিল তুমি কে যে এখানে বসিয়া আছে। তুমি কোথায় যাইবে । শিবনারায়ণ বলিলেন আমি মনুষ্য আমি পালি যাইব । ভারতী গোসাই বলিলেন তুমি আমার এই উষ্ট্রে