পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N) আমরা সম্পদে বিপদে অটল থাকিয়া তোমারি কার্য্য সাধন করিব—তুমি আমাদিগকে প্রেম দেও বল দে ও জ্ঞান দেও ধৈর্য্য দেও, তোমার পদতলে আমাদিগকে স্থান দেও । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । ححعصعص تتيحدد হিন্দুধৰ্ম্ম ও ব্রহ্মপূজা স্থ অদ্য আমাদের কি আনন্দের দিন । প্রশান্ত গম্ভীর সায়ং সময়ে অপার অগম্য অতীন্দ্রিয় পরব্রহ্মের উপাসনার জন্য অণমরা একত্র হইয়াছি । আজ বদ্ধমান ব্রাহ্ম সমাজের ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উৎসব । এই নগরে যে দিন ব্রহ্মজ্ঞানরূপ দীপ্তিমান সূৰ্য্য নানাবিধ উপধৰ্ম্ম ও কুসংস্কারের কুজবাটিকা ভেদ পূর্বক অভু্যদিত হইয়াছিল, সেই পবিত্র দিনের স্মরণার্থে অদ্য আমরা বন্দু বান্ধবে আনন্দ মনে প্রফুল্ল হৃদয়ে এই স্থানে সম্মিলিত হইয়াছি। ভূমি চিরদিন ধৰ্ম্মের জন্য প্রসিদ্ধ। ধৰ্ম্মই এই জাতির একমাত্র সম্বল। এই আর্য্য ভূমিকে ধৰ্ম্মের জন্য কত না বিপ্লব আন্দো লন সহ্য করিতে হইয়াছে। এক এক দেশ এক এক বিষয়ের জন্য প্রসিদ্ধি লাভ করে । অামাদের ভারতবর্ষ জ্ঞান ধৰ্ম্মের নিমিত্তই চির প্রসিদ্ধ । অামাদের শরীরের রক্ত মাংস যেমন পুরুষপরম্পর হইতে আমরা লাভ করিয়াছি আমাদের জ্ঞানধৰ্ম্ম মনুষ্যত্বও সেই প্রকার পূর্ব-পুরুষ দিগেরই সম্পত্তি । আমরা এখন দেহ মনের যতই উন্নতি করি না কেন, আমরা এই ভারত- ! তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা | | | • २ कछ, a छ*ाँ ব্রাহ্মধৰ্ম্ম আজকার উজ্জ্বল শতাব্দীতে যতই উন্নত আকার ধারণ করুক না, তাহার মূল ও প্রাণ যে হিন্দুধৰ্ম্ম, তাহা কে অস্বীকার করিবে ? হিন্দুধৰ্ম্মের মুখ্য ভাব কি ? অপক্ষপাতে হিন্দুশাস্ত্র আলোচনা করিলেই প্রতীত হইবে যে একমাত্র ব্রহ্মোপাসনাই হিন্দুধৰ্ম্মের মুখ্য ভাব । বেদ, উপনিষৎ, স্মৃতি, পুরাণ তন্ত্রাদি সমুদায় শাস্ত্রেই ব্রহ্মোপাসনার শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণিত হইয়াছে। ব্রহ্মোপাসনা ভিন্ন মুক্তি নাই এই কথা সমুদায় হিন্দুশাস্ত্র সমস্বরে প্রতিপাদন করে । পুরাণাদি শাস্ত্রে কনিষ্ঠাধিকারীদের জন্য মূৰ্ত্তিপূজা ও ব্রহ্মের নানা অবতার কল্পিত হইয়াছে বটে, কিন্তু তাহার উদ্দেশ্য এই যে, যাহারা নিরাকার ব্রহ্মের ধ্যান ধারণাতে অক্ষম, সেই সকল অল্পবুদ্ধি ব্যক্তির দেবাৰ্চনাদি ব্যাপারে লিপ্ত থাকিলে ক্রমে তাহারা ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করিতে পারিবে। ঋগ্বেদাদি পাঠে অবগত হওয়া যায় যে, অতি প্রাচীন কালে বৈদিক ঋষিগণ হৃদয়ের স্বাভাবিক উচ্ছাসে প্রকৃতির পূজা করিতেন । শং নোমিত্রঃ শং বরণ: শং নোভবত্বৰ্য্যমা শংনে: বুহম্পতিঃ ।” সূৰ্য্যদেব আমাদের মুখ বৰ্দ্ধন করুন, বরুণ ও আদিত্য আমাদের মঙ্গল করুন, বৃহস্পতি আমাদের কল্যাণ করুন। “হে অগ্নি ! হে নরগণের প্রতিপালক ! তুমি সকল জগতের রক্ষক ও অমৃতস্বরূপ, আমি তোমার স্তব করি । * ঋগ্বেদের নানাস্থানে অগ্নি, বায়ু, ইন্দ্র, সূৰ্য্য প্রভৃতির স্তোত্র দেখিতে পাওয়া যায়। নবোদিত সূর্য্যের প্রাচীন হিন্দুজাতির বংশধর ইহা অার | স্বর্ণভিকিরণমালা, পূর্ণকল চন্দ্রমার বিমল অস্বীকার করিবার যে নাই । আমাদের | শোভা, পবিত্র উষার মনোহর সৌন্দৰ্য্য, অগ্নির প্রচণ্ড প্রভা ও মেঘের শু্যামল কান্তি

    • - پی-سیایی پایه خمسہمےسےہے۔یےمخت---کھوجےم--
  • ঋগ্বেদ সংহিতা ১ম মণ্ডল ৯ম আহবাক ১ম স্বত্ত ।
  • বৰ্দ্ধমান ত্রিংশ সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ উপলক্ষে । ঐযুক্ত অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায় এই বক্তৃতা করেন।

- |