পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यs sv*२ বনফুল - ২৩৩ مصه عصحسمسم مس. س. ويسيه - ও কর্তব্যপরায়ণতার অঙ্গ মনে করিতেন । মৃত্যুকালে তিনি হেমলক বিষ পান করিয়া অচেতন প্রায় হইয়াও একবার বস্ত্রাচ্ছাদিত মুখ খুলিলেন । সকলে ব্যস্ত সমস্ত হইয়। নিকটে গেল । পিয়াসের নিকট একটী কুকুটের জন্য ঋণী। আমার স্ত্রীকে বলিও । শোধ করা হয়।” এই গল্প হইতে মহাত্মার সাংসারিক অবস্থা,সত্যনিষ্ঠা ও কৰ্ত্তব্যপরায়ণতার বেশ পরিচয় পাওয়া যায় । ৯ । মহাত্মা কি শীত, কি গ্রীষ্ম সৰ্ব্বকালে একই প্রকার বস্ত্র পরিধান করিতেন। তিনি সৰ্ব্বদাই অনাবৃত পদে থাকিতেন, অথচ পাদুকাধারী যুবকগণও তুষারের উপর দিয়া তাহার ন্যায় দ্রুত পদে চলিতে পারিত না । কেবল বন্ধুদের বাটিতে নিম- , ন্ত্রিত হইলে মহাত্মা পাদুকা ব্যবহার করিতেন । তাহার বিলাসিতার চরম সীমা এই পর্য্যন্ত ছিল । তিনি চিরদিনই মিতাহারী ছিলেন। পাছে ব্যায়াম করিলে ক্ষুধা অধিক হয় এবং অধিক পরিমাণে অtহার করিতে হয় এই ভয়ে তিনি কোন প্রকার ব্যায়াম করিতেন না ; কিন্তু তথাপি তাহার স্বাভাবিক বাহুবল এত অধিক ছিল যে দ্বন্দ্বযুদ্ধে কেহ তাহার সমকক্ষ ছিল না । ১০ । এক দিবস তরুণবয়স্ক শিষ্যগণকে উপদেশ দিবার সময় মহাত্মা বলিয়াছিলেন, ' যে, দর্পণে মুখ দেখিবার সময় যদি দেখ যে তোমার মুখ স্থন্দর, তবে গৰ্ব্ব না করিয়া ইহাই ভাবিবে যে তোমার চরিত্রকেও তদনুরূপ সুন্দর করিতে হইবে । কিন্তু যদি দুর্ভাগ্য ক্রমে দেখিতে পাও যে তুমি সুন্দরের মেলায় যাইবার উপযুক্ত নহ, তবে ইহাই স্মরণ রাখি ও যে, এই কদৰ্ঘ্য মহাত্মা জনৈক শিষ্য | ক্রিটোকে ডাকিয়া বলিলেন “আমি এস্কে তাহার ঋণ যেন । - Lamang_ __ O =ു হইবে। এই উপদেশ মহাত্ম নিজ জীবনে পূর্ণরূপে কার্য্যে পরিণত করিয়াছিলেন। বনফুল। ( २ ) ১ । পুতুলনাচে সকলের বোধ হয় যে যথার্থই পুতুলগুলি নচিতেছে । কিন্তু ঐ যে অন্তরালে এক ব্যক্তি রহিয়াছে ও সেই পুতুল নাচাইতেছে, উহা কেহ দেখিতে পায় না । সেইরূপ এই বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের মধ্যে এক অদৃশ্য শক্তি কাৰ্য্য করিতেছেন, উহা কেহ চক্ষে দেখিতে পায় না। আমরা ছায়াবাজির পুতুলের মত হাত পা নাড়িতেছি ; এই মহাশক্তিই আমাদিগকে পুতুলের ন্যায় নাচাইতেছেন; অথচ আজ্ঞানবশতঃ আমরা তাহাকে দেখি তেছি না । | ইহা ২ । জগজ্জননীর সহিত যদি সাক্ষাৎ করিতে চাও,তবে অন্দরে আইস । অন্দরে অসাধু লোকের প্রবেশ নিষেধ। অতএব, অপবিত্রতার জার্ণ মলিন বসন বাহিরে পরিত্যাগ করিয়া শুভ্র বসন পরিধান পূৰ্ব্বক অন্দরে আইস । ৩ । অভূক্ত রোগীকে এক দিনেই অপরিমিত আহার করিতে দেওয়া উচিত নহে । বস্তুতঃ, পথ্যের উচিত ব্যবস্থা হইলে, ঔষধ না দিলেও চলে । বৈদ্যনাথ সৰ্ব্বাপেক্ষ ভাল বুঝেন । তিনি আধ্যাত্মিক রোগীকে একবারেই অধিক পথ্য দেন না। ক্রমে ক্রমে পরিমাণ বৃদ্ধি করিয়া দেন ; কারণ, অজীর্ণতা এক মহা আধ্যাত্মিক ব্যাধি । ৪ । চক্ষু-রোগ হইলে, সুচিকিৎসক চক্ষু আবৃত করিয়া রাখিতে উপদেশ দেন, মুখীকে সদগুণের আবরণে ঢাকিতে ; কারণ ক্ষীণ চক্ষুতে হঠাৎ প্রখর সূৰ্য্যকিরণ