পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●यांनण १४१२ হাকে সাধনপ্রভাবে লাভ করিয়া আগুকাম হইয়া বলিয়া গিয়াছেন, • “সত্যেন লভ্যস্তপসা হ্যেৰ আত্মা সম্যক্ জ্ঞানেন। জ্ঞানপ্রসাদেন বিশুদ্ধসৰস্ততস্ত তং পশ্যতে নিষ্কলং ধ্যায়মান ঃ ” সত্য ব্যবহার দ্বারা তপস্যা দ্বারা সম্যক্‌ জ্ঞান দ্বারা তাহাকে লাভ করা যায়, জ্ঞানপ্রসাদে বিশুদ্ধসত্ত্ব ব্যক্তি সেই নিৰ্ম্মল ও পরিশুদ্ধ পরমেশ্বরকে ধ্যানযুক্ত হইয়া লাভ করেন । র্তাহারা তাহার স্বরূপ সম্মন্ধে নিঃসংশয় হইয়া বলিয়া গিয়াছেন “রসে৷ বৈ সঃ” তিনি রসস্বরূপ তৃপ্তিহেতু-- তিনি আনন্দের পারাবার । সেই আনন্দের পাবাবার চিরপ্রবাহিত রহিয়াছে, আমরা সকলেই সেই আনন্দের ভিখারী। এখানে চারিদিকে অশান্তি ও অপূর্ণতার মধ্যে হৃদয়ের ক্ষুধা দূরীকরণের প্রচুর উপকরণ বিদ্যমান নাই। সেই জন্য আমরা হৃদয়ের পিপাসা শান্তি ক- । হইতেই । রিতে তাসমর্থ হইয়া আপনা তাহার নিকট ধাবিত হইতেছি, তারস্বরে তাহাকেই ডাকিতেছি। বিষয়সুখে আমাদের আত্ম। আর স্নান হইতে চাহিতেছে না । সেই জন্যই অন্তরতম প্রদেশ হইতে কে যেন বলিতেছে “ভুমৈব সুখং নাল্পে সুখমস্তি’ । কিন্তু সেই প্রেমের আকর অনন্ত সুখের প্রস্রবণের দিকে যাইবার পূর্বে আমাদের জ্ঞানকে পরিণত ও পরিশুদ্ধ করিয়া লইতে হইবে। তদ্ভিন্ন তাহাকে পাইবার উপায় নাই । একে আমরা ক্ষুদ্ৰাদপি ক্ষুদ্র, তাহাতে আবার চারিদিকে অন্ধকার, অামাদের লক্ষ্যস্থল যারপর নাই দূরদেশে, এই আপাতপ্রতীয়মান দূরদেশে আমরা কাহার কর্তৃত্বে নীয় ভবানীপুর সাম্বৎসরিক উৎসব অামারদের সম্মুখে । ২৩৫ স্থাপন করিয়া অগ্রসর হইতে পারি। কে আমারদের এই অন্ধকারে কাণ্ডারী হইতে পারে। অন্তর্দেশ আলোড়িত করিয়া দেখিলাম আত্মার চক্ষু কেবল জ্ঞানই আমাদের একমাত্র পথপ্রদর্শক, সম্বল ও ভরসা। যে জ্ঞান আমাদিগকে ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস স্থাপন করাইয়াছে, যে জ্ঞানের পরিণত অবস্থা আমাদিগকে স্ত্রীপুত্র পরিবারের প্রতি বৃথা মায়া মমতা ও পৃথিবীর যাবতীয় স্থখ ঐশ্বর্ঘ্যের অসারত, বুঝাইয়া দিয়াছে, আমরা যে অনন্ত ধামের যাত্রী যে জ্ঞান আমাদের মনশ্চক্ষুর সম্মুখে তাহা ধারণ করিয়াছে,যে জ্ঞান আমাদিগকে ঈশ্বরের অনুপম পিতৃভাব অতুলন মাতৃবাৎসল্য শিক্ষা দিয়াছে সেই জ্ঞানই দিব্যালোক ধারণ করিয়া অামাদিগের অনন্তপথের পথপ্রদর্শক হইতে পারে, ও পাপতাপ মোহমলিনতার পরপারে লইয়। যাইতে সক্ষম হয় । আমাদের ঈশ্বরের পুজা শ্রদ্ধাভক্তি প্রীতি পবিত্রতা লইয়া ; ইহা অজ্ঞানত বা অন্ধ বিশ্বাসের অস্বাভাবিক উচ্ছাস নহে, ইহা জ্ঞানালোক-সমুজ্জ্বল উন্নত ও উদার হৃদয়ের সরল ও স্বাভাবিক স্ফুরণ। আমরা হৃদয়ের স্বাভাবিক জ্বলন্ত বিশ্বাসবলে তাহার সত্তায় উপস্থিত হইয়াছি, বাহ্য জগতে র্তাহার অনুপম রচনা-কৌশল দেখিয়া—স্বষ্টির মধ্যে র্তাহার স্নেহ করুণার নিদর্শন পাইয়া সেই সকল সৌন্দর্য্যের অাকর প্রেমের সাগরকে শ্রদ্ধাভক্তি অপণ করিতে শিক্ষা করিয়াছি, আমাদের । দুৰ্ব্বলতা তাহাকে রোগের ঔষধ শোকের সাম্ভনা বিপদের কাণ্ডারী বলিয়। শিক্ষা দিয়াছে। পৃথিবীর সুখ সম্পদের অনিত্যতা সেই শাশ্বত সুখদাতার নিত্য মান হইয়—কাহার উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস | প্রসারিত উদার ক্রোড়কে দৃঢ়ৰূপে আশ্রয়