পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

אג לכףהזזע ভবানীপুর সাৎসরিক উৎসব ২৩৭ ந_ -ജബ=- --- --- - লন নৈপুণ্য না --- দেখি, তাহার কৌশল । তাহার মঙ্গলভাব যদি অনুভব করিতে না শিখি, তবে সেরূপ নিরীশ্বর শিক্ষার প্রয়োজন কি? যদি সকল শিক্ষার মধ্যে ঈশ্বরকে ও জীবনের লক্ষ্যকে তাহাতে সংশ্লিষ্ট না দেখি, তবে সে শিক্ষার অপূর্ণতা চিরকালই রহিয়া যাইবে । যখন জ্ঞান এরূপ পরিস্ফুটাবস্থা ধারণ করে, তখন ক্রমে বৈরাগ্যের ভাব মনে । প্রদীপ্ত হয় । “বিষয়ের দোষ দৃষ্টি অর্থাৎ যদি বিষয়ের মধ্যে মগ্ন গ্যের কারণ ।” হইয়াও অন্তরে স্থায়ী বিমলানন্দের সঞ্চার না হইল, ক্ষণেক্ষণে তাহা হইতে গরল উদগীরিত হইতে লাগিল, যদি পৃথিবীর সুখ হৃদয়ভেদী দুঃখে পরিণত হইল, যদি পার্থিব সুখ মৃগতৃষ্ণিকাবৎ ভ্রান্তিমাত্র হইয়া উঠিল,যখন হৃদয়ের মহাশূন্য তাহাতে পরিপূরিত হইল না, তখন সে ছার মলিন সুখ লইয়া কে থাকিতে চায় ? ইহাতে যে মনে সহজে বৈরাগ্য উদীপ্ত হইবে তাহাতে আর বিচিত্র কি। বৈরাগ্য একবার অন্তরে উদিত হইলে কে আর অস্থায়ী মলিন বিষয়সুখ কামনা করে এবং কে আর ছার বিষয়ভোগে- ; পরম পিতা, তোমার সঙ্গে যে বন্ধুতা তাহ cनझे ख्माझे চচ্ছাকে হৃদয়ে স্থান দেয় । শাস্ত্রে অাছে “বিষয় পরিত্যাগের ইচ্ছা । বৈরাগ্যের স্বভাব এবং পরিত্যক্ত বিষয়েতে ভোগেচ্ছার অমুদয় বৈরাগ্যের কার্য্য ।” যেমন আমরা ইহা সুস্পষ্ট বুঝিতে পারি যে ঈশ্বর বিষয়ক শ্রবণ মনন ও নিদিধ্যাসন পরমার্থজ্ঞান উদ্রেক করিবার কারণ তেমনই আমরা পরীক্ষাতে দেখি যে, যুক্ত আহার-বিহার মনঃসমাধানের যার পর নাই । অনুকূল। মনঃসমাধানের অভাবে মনের এই প্রবল । একাগ্রতার অভাবে যে র্তাহাকে অধিক ক্ষণ ধরিয়া আরাধনা করা যায় না, চিত্তচাঞ্চল্য হেতু যে র্তাহার উপাসনায় ব্যাঘাত ও · তন্নিবন্ধন মনে বিষাদ অাসিয়া উপস্থিত হয়, তাহা সাধক মাত্রেই অবগত অাছেন । এই যে মনঃসমাধান ও চিত্তচাঞ্চল্য দূরীকরণ ইহা তাহাকে লাভ করিবার সোপান মাত্র । অতএব বেদান্তে বলে “যম, নিয়ন, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধ্যান, ধারণl, সমাধি ইহার উপরতির কারণ, ঈশ্বরেতে বিষয়মুখের অনিত্যতা ও অপ্রচুরতা বৈরা- ৷ বুদ্ধির একাগ্রতা উপরতির স্বভাব, এবং লৌকিক ব্যবহারের শৈথিল্য উপরতির থাকিয় বিষয়মুখের পশ্চাদ্ধাবনে তৎপর কার্য্য ।” যিনি ঈশ্বরেতে মনঃসমাধান শিক্ষা করিয়াছেন, ঈশ্বরই র্যাহার সর্বস্ব, যিনি অন্তরতম ঈশ্বরকে “প্রেয়ঃ পুত্রাৎ প্রেয়ে বিত্তাৎ প্রেয়োন্যস্মাৎ অন্তরতরং যদয়মাত্ম৷” পুত্র হইতে প্রিয়, বিত্ত হইতে প্রিয়ও আর * আর সকল হইতে প্রিয় বুঝিয়াছেন তাহার নিকট লৌকিক ব্যবহারের বাধ্যতা কি ? তিনি ত আপনা হইতেই বলিতে থাকেন “ত্বং হি ন পিতা বসে তুং হি নো মাত৷ সখী পিতা পিতৃতমঃ পিতৃণাম, স্বাদু সখ্যং সাদ্বী প্রণীতি । ত্বং অস্মাকং তবাস্মি” তুমি আমারদের পিতা, তুমি আমাদের মাতা, তুমি সখা, তুমি পিতৃগণের মধ্যে যারপর নাই সুস্বাদু, তুমি যে আমাদের আমরা যে তোমারই । এইরূপে যখন বৈরাগ্য ও উপরতির সঙ্গে জ্ঞান যোগলাভ করে, তখন তাহার কলেবর যার পর নাই পরিবদ্ধিত হয়। নদী পৰ্ব্বত হইতে নিঃস্থত হইয়া কলকলরবে মহাসমুদ্রাভিমুখে সতেজে গমন করিতে করিতে যখন আবার দুই চারিটি স্থপ্রকাণ্ড নদীর সহিত মিলিত হয়, তখন সেই ভীষণ সঙ্গম হইতে বিনিগত এক ভীমা নদী