পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রাবণ ১৮১২ আইন সম্মত বিবাহ Nరిన) عجیه که قسیج حاجیچ AMSA SSASAS SS SAAAA প্রবালাদি রহিয়াছে তাহাতে আমাদের কি ? সকলে উথান কর, জাগ্রত হও, ঈশ্বরের পথে গমন কর, আর কত কাল মোহে অভিভূত থাকিবে, আর কত দিন ধৰ্ম্ম ও ঈশ্বর হইতে বিচু্যত থাকিয়া আত্বার বিলয়দশা আনয়ন করিবে ? ধৰ্ম্মপ্রাণ ভারতের মুখ আর কত কাল স্নান করিয়া রাখিবে ? অার্য্য পিতৃপিতামহগণ অামারদের জন্য স্বগের সোপানপরম্পরা নিৰ্ম্মাণ করিয়া গিয়াছেন, তাইস ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করিয়া দৈববলে বলী হই, যত্ন ও সহিষ্ণুতা সহকারে সেই পথে অগ্রসর হই ও মনুষ্য জন্মের সাফল্য সম্পাদন করি । আর্য্য . ঋষিকুলের দুর্বল সন্তানসন্ততি । বলিয়া অামারদের উপবে ঈশ্বরের বিশেষ করুণা রছিয়াছে, আমারদের সামান্য যত্ন চেষ্টা দেখিলে তিনি অবশ্যই আমাদিগকে জয়যুক্ত করিবেন, এবং অল্প সাধনায় আমাদিগকে সিদ্ধি দিবেন । আইন সম্মত বিবাহ । গত ২২ জুনে প্রকাশিত The liberal and the new dispensation at-To Afgifo, পত্রে স্বগীয় কেশবচন্দ্রের একখানি পত্র প্রকাশিত হইয়াছে। গত ১৮৮০ খস্টাব্দে Czowsz Szos Sir William Muir नामके জনৈক ইংলণ্ডীয় বন্ধুকে এই সুদীর্ঘ পত্রখানি নিখেন। পত্ৰখানির উপসংহারে কেশব বাবু বিবাহ সম্বন্ধীয় ১৮৭২ সালের ৩ আইনের উপরে সম্পূর্ণ অনাস্থা দেখাইয়াছেন। পত্ৰখানির আদ্যোপান্ত উক্ত পত্রে প্রকাশিত হইয়াছে । উহা হইতে আমরা নিম্নে কয়েক পংক্তি পাঠকবর্গের অবগতির জন্য উদ্ধত করিয়া দিতেছি। 1872 Act III discards the very name of God and tends to promote godless civil marriages for which India is not ripe. Marri ages of a godless and atheistic character ought to find no encouragement. ইহার অনুবাদ এইরূপ, “ব্রাহ্মগণের উপকারের জন্য যে ১৮৭২ সালের ৩ অাইন বিধিবদ্ধ হইয়াছে, তাহাতে ঈশ্বরের নাম পরিত্যক্ত হইয়াছে; ইহাতে নিরীশ্বর ও (civil) অধৰ্ম্ম্য বিবাহ প্রশ্রয় পাইবে, ভারতবর্ষ এরূপ বিবাহ (প্রবর্তন) জন্য প্রস্তুত নহেন । * * # নিরীশ্বর ও নাস্তিক ভাবের বিবাহে উৎসাহ দেওয়া কোনরূপেই কর্তব্য নহে ।” বলা বাহুল্য ১৮৭২ সালের ৩ আইন অর্থাৎ বিবাহ আইন কেশব বাবুর উদ্যোগে বিধিবদ্ধ হয় । আমরা আদি ব্রাহ্মসমাজের পক্ষ হইতে বিল পাশ হইবার পূর্বে কতই না চীৎকার করিয়াছিলাম, কতই না তীব্র প্রতিবাদ করিয়াছিলাম, এবং সামাজিক ব্যাপার সম্বন্ধে গবর্ণমেণ্টের হস্তক্ষেপের অধিকারের অন্যায্যতার বিষয় কতবার না সুস্পষ্ট দেখাইয়াছিলাম। কিন্তু আমা দের প্রতিপক্ষগণ দলাদলির অগ্নিতে এমনই প্রদীপ্ত হইয়াছিলেন, অনিচ্ছা সত্ত্বে ও নিজ নিজ অন্ধবিশ্বাস এমনই দৃঢ়তার সহিত পোষণ করিয়াছিলেন যে আমাদের সকল সমালোচনা ও পরামর্শ দান ব্যর্থ হইয়া যায়। আমরা যতবারই ১৮৭২ সালের ৩ আইন সম্মত বিবাহকে নিরীশ্বর বিবাহ বলিয়াছি, ততবারই র্তাহারা এরূপ বিবাহকে সেশ্বর প্রতিপন্ন করিবার বিপুল চেষ্টা পাইয়াছেন এব নিরর্থক যুক্তি দেখাইয়াছেন। আজ অমর ১০ । ১২ বৎসর পূর্বের পুরাতন তত্ত্ববোধিনী উদঘাটন করিয়া দেখিতেছি যে আইনঘটিত বিবাহের নিরীশ্বরতা সম্বন্ধে “The act passed for the benifit of Brahmos in of Nol যাহা যাহা কহিয়াছিলাম তদ্বিময়ে