পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৭

ቐዥWጓ »•. » হিন্দুধর্ম ও ব্রহ্মপূজা । η প্রকৃতির সর্বত্ৰেই ঋষির জীবন্ত ভাব কল্পনা করিতেন । যাহা কিছু প্রভাবশালী, যাহা . কিছু বিস্ময়জনক, যাহা কিছু র্তাহাদের ! কল্যাণ বিধান করিত, কবিত্বরসে উদ্বেলিত । তাই কখন কখন বলিয়াছেন, আপনাদের সকল প্রকার অভাব মোচনের : হইয়া ঋষিরা তাহারই স্তবস্তুতি করিতেন, জন্য সরল হৃদয়ে তাহাদের উদ্দেশে যাগ যজ্ঞ করিতেন । র্তাহারা মনে করিতেন, সূর্য্যের অধিদেবতা, চন্দ্রের অধিদেবতা, মেঘ ও বায়ুর অধিদেবতা স্বতন্ত্র। কেবল । আছেন সাম সকল তাহাকেই প্রাপ্ত হই হৃদয়ের প্রভাবে আদিম আৰ্য্য ঋষিগণ প্রকৃতির মধ্যে ঈশ্বরের মহিমা অবলোকন করিয়া প্রকৃতিকেই জীবন্ত জাগ্ৰত বলিয়া পূজা করিতেন । তাহাদের সরল হৃদয়ে প্রকৃতি জীবন্ত মঙ্গলময় মূৰ্ত্তিতে প্রতিভাত হইত। ক্রমে যখন বিদ্যার আলোক বিকীর্ণ হইল, ঋষিরা প্রকৃতির কার্য্যকলাপ অনুসন্ধানে নিযুক্ত হইয়া পড়িলেন, । তখন বিশুদ্ধ জ্ঞানে জানিতে পারিলেন যে, । মাতিরিশ্বানমাহু: | একমাত্র সর্বশক্তিমান সর্বজ্ঞ পুরুষের অধিষ্ঠানে এই বিশ্ব নিয়মিত হইতেছে। “সৰ্ব্বে নিমেষ। জঙ্কিরে বি?্যতঃ পুরুষাদধি ।” নিমেষে যাহ। কিছু ঘটিতেছে, তাহ। সেই বিভূতসমান দীপ্তিমান পুরুষ কর্তৃক । এতস্যৈব সা বিশ্বষ্টিরেষ ট ছোব সৰ্ব্বে দেবাঃ ” হইতেছে। “স যশ্চায়ং পুরুষে যশ্চাসাবাদিত্যে স একঃ” (তৈত্তিরীয় শ্রুতি) । যিনি এই পুরুষে, যিনি এই আদিত্যে তিনি এক । “একমেবাদ্বিতীয়ং ব্রহ্ম।” ব্ৰহ্ম এক মাত্র অদ্বিতীয় । "সভ্যংজ্ঞানমনস্তং ব্ৰহ্ম’’ (তৈত্তিরীয় শ্রুতি) ব্রহ্ম সত্য স্বরূপ জ্ঞান স্বরূপ অনন্ত স্বরূপ। বৈদিক ঋষিদের সমুদায় স্তোত্রের ভিতরে ব্রহ্মের এই অনন্তভাব স্ফরিত হইয়াছে। ইন্দ্র বরুণের শক্তিতে র্তাহারা ঈশ্বরের অনন্ত শক্তি ও অনন্ত মহিমা পরিচিছন্ন ভাবে দেখিতেন, কিন্তু অনন্ত ঈশ্বরের আভাস তাঙ্গাদের হৃদয়ে বদ্ধমূল ছিল, “যে জাগার তমুচ: কাময়ন্তে যো জাগার তমু সামানি যপ্তি ঘে; জাগfর তমষ্ট্রং সোম আহি ।” (ঋগ্বেদ সংহিতা) যিনি জাগিয়া আছেন, ঋক সকল তাহাকেই কামনা করিতেছে, যিনি জাগিয়৷ তেছে, যিনি জাগিয়া আছেন সোম যাগ তাহারই কথা কহিতেছে । এইরূপে একমাত্র ঈশ্বরের অস্তিত্ব হৃদয়ঙ্গম হইলে আর্য্য সন্তানেরা পূৰ্ব্ব আরাধিত অগ্নি সূৰ্য্য বরুণ প্রভৃতি দেবতাকে ঈশ্বরের এক একটি নাম বলিয়া প্রচার করিলেন । “ইন্দ্রং মিত্ৰং বরুণমগ্নিমাম্ভরথোদিবাঃ সম্পর্ণে। গরুয়ান। একং সদ্বিপ্র বহুধা বদস্তি অগ্নিং যমং সদ্বিপ্রেরা এক দেবতাকেই ইন্দ্র, মিত্র, বরুণ, গরুড় যম ও মাতরিশ্বা এইরূপ বহুপ্রকার করিয়া বলেন । “তদঘদিদমাহুরমুং যজামুং যজেতোকৈকং দেবং অতএব ইহাকে পূজা কর ইহঁাকে পূজা কর এইরূপ যদি এক এক দেবতার উল্লেখ হয়, তাহা এই, এক দেবতারই পূজা, এই একই সকল দেবতা। এই প্রকারে আমাদের পূজনীয় পূর্বপুরুষের প্রকৃতির উপাসনার মধ্যেই অনন্ত ব্রহ্মের উপাসনা করিতেন । ‘ব আদিত্যমস্তরে যময়তি এষত আত্মা অস্তু র্যাম । মৃতঃ” (थ**ङ) যিনি সূর্য্যের অন্তর্বত্তী হইয়৷ সূৰ্য্যকে