পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գe তত্ত্ববোধিনী পত্রিক কেশব বাবুর সঙ্গে আমাদের এক মত। কেশব বাবু ইহা সরলভাবে তাহার বিলাতীয় পত্রে স্বীকার করিয়াছেন দেখিয়া আমরা তাহাকে অন্তরের সহিত ধন্যবাদ না দিয়া থাকিতে পারিলাম না । আদি ব্রাহ্মসমাজ হিন্দুজাতির চির প্রচলিত বিবাহপদ্ধতি যথাযথ রাখিয়া কেবল তাহা হইতে পৌত্তলিক অংশ বাদ দিয়া, তাহার স্থানে ব্রহ্মোপাসনা । এরূপ সুসং- , ও নবসংহিতার বিবাহ পদ্ধতি পাঠ করি স্কত বিবাহপদ্ধতি যে দেশ কালের বিশেষ । যোজিত করিয়া দিয়াছেন । উপযোগী তাহাতে আর বিন্দুমাত্র সংশয় নাই । বলিতে কি, আদি ব্রাহ্মসমাজে প্রচলিত অনুষ্ঠানপদ্ধতি সংকলনে মহর্মি দশিল ও দূরদর্শিত বিলক্ষণ প্রকাশ পাই 郊忆互 তেজীয়ান, তাহার চক্ষু দিব্যালোকে তেমনই জ্যোতিষ্মান । সংস্করক হইতে হইলে যে সকল অনন্য সাধারণ গুণের আবশ্যক, তাহা তাহাতেই । রহিয়াছে । যেমন পরিশুদ্ধ হিন্দুধৰ্ম্ম এবং এই জ্ঞানোন্নত সময়ের বিশেষ উপযোগী, ইহার সংকলিত অনুষ্ঠান পদ্ধতিও তেমনই দেশাচারানুগত ও হিন্দুভাব পরিপূরিত। র্যাহার আদি ব্রাহ্মসমাজের অনুষ্ঠান পদ্ধতি অনুসারে উদ্বাহ কাৰ্য্য সম্পন্ন হইতে দেখিয়াছেন, তাহার একবাক্যে কহিয়া থাকেন মে ইহাতে "," *エ金l }ա { * عیت

যখন আদি ব্রাহ্মসম্মত ব্রাহ্ম বিবাহ পদ্ধতি সংকলিত হয় তখন নবদ্বীপ, বিক্রমপুর, কাশীস্থ প্রধান প্রধান পণ্ডিতগণ একবাক্যে এরূপ বিবাহের বৈধতা সম্বন্ধে অভিমত প্রদান করিয়াছিলেন । এবং রহিয়ছে । সম{{জের তাহার আত্মা ব্রহ্মতেজে ঘেমনই । ধৰ্ম্মসংস্কারক ও সমাজ । প্রচলিত বিবাহের প্রাণ । ১২ কল্প, ৪ ভাগ πακαμπωμα πω এরূপ বিবাহের অসিদ্ধতা সম্বন্ধে কখন ঘুনাক্ষরেও সন্দেহ প্রকাশ করিবার কীরণ দেখিতে পান নাই। কেশব কাবু র্তাহার শেষ জীবনের ‘আর্য্যদিগের পবিত্র =[a Hefool” (The new sanhita or sacred laws of the wryans of tho new (lispensation) নামক গ্রন্থে বিবাহ সম্বন্ধে যতদূর পারেন হিন্দুভাব রক্ষা করিয়া গিয়াছেন । এমন কি যাহারা আদি ব্রাহ্মসমাজের অনুষ্ঠান পদ্ধতি য়াছেন, তাহারা নিঃসংশয় চিত্তে বলিবেন যে নবসংহিতার বিবাহ পদ্ধতি রচনা কালে আদি সমাজের অনুষ্ঠান পদ্ধতি তাহাকে বিশেষ সাহায্য প্রদান করিয়াছে, এমন কি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের সমাজতত্ত্ব- স্বল বিশেষে তিনি প্রকারতঃ আদি ব্রাহ্মসমাজের অনুষ্ঠান পদ্ধতিই লিপিবদ্ধ ক রিয়া গিয়াছেন । গায়ত্ৰী চিন্তা । (বিগত বর্ষের মাঘ মাসের পত্রিকার ১৮৮ পৃষ্ঠার পর) ঈশ্বর আমাদিগকে এই শুভ মুক্তিবিষয়িণী বুদ্ধি—র্তাহার সহবাস করিবার লালসা প্রভৃতি প্রদান করিয়া অামাদিগের প্রতি কি অপার দয়াই প্রকাশ করিয়া-- ছেন । এই সকল বৃত্তি জন্যই আমরা ইতর জন্তগণ হইতে বিশেষ রূপে বিলক্ষিত। হে মানব । যখন এই কল্যাণকর বৃত্তির প্রসাদে হৃদয়েশ্বরকে হৃদয়ের প্রেম ভক্তি উপচার দিয়া পূজা কর, যখন s র্তাহার অনুমোদিত জানিয়া পরসেবা ও পরদুঃখহরণ ও সংসারের কার্য্যভার বহন কর, তখন তোমার দেবভাব দেবোচিত কার্য্য জন্য দয়াময়কে ধন্যবাদ প্রদান কর । অন্তরের সহিত বল “ব্রহ্মকৃপাহি কেবলং” । তুমি অধম পামর, তিনি ভিন্ন