পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ट्त्र१ : ४४२ গায়ত্ৰী চিন্ত । 0. কে তোমাকে প্ররক্তি-সুলভ মলিন পঙ্কিল সংসার হইতে উদ্ধার করিয়া তাহার অমৃত ধামে লইয়া যাইতে পারে ? বিবেচনা কর তোমার ভক্তি প্রভৃতি সদ ভাবের জন্য ঈশ্বরের কিছুঠ নহে, তোমারই সম্পূর্ণ । তিনি তোমাকে নিঃসার্থ প্রেম : तोंड ! ও যত্ন করেন তাই তোমার অনন্ত মঙ্গলের উদ্দেশে এই স্বগীয় বৃত্তি দ্বার তোমাকে বিভূষিত করিয়াছেন। তাহার দান অবহেলা করিও না । যখন দয়াময় পবিত্র ভাব দিয়া তোমার জীবনকে ক্ষণ কালের জন্য মধুময় করেন, তখন সেই ভাল যাহতে স্থায়ী ও বদ্ধমান হয় তাহার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করিবে । ভাহীকে প্রচুর রূপে পুনঃ পুনঃ স্মরণ করিবে । তাহার নে অপার করুণা তোমার প্রতি তা জস্র ধারে পর্মিত হইতেছে তাহ। ভাবিয়। দেখিবে । সে করুণার তুমি কি প্রতিক্রিপ্পা করিতেছ ? তিনি তোমাকে প্রতি নিমেমে জীবন দান করিতেছেন, তুমি সে জীবন কি তাহাকে সমপণ করিয়াছ ? মৃত্যু হইতে অমৃতেতে লইয়। যাইবার জন্য র্তাহাকে একান্তে প্রার্থনা কর, তিনি মুমুক্ষুদিগের বিষয-তৃষ্ণ হরণ করেন, তিনি তোমার চির দিনের মলিন জীবন বিদূরিত করিয়া তোমাকে নব জীবন প্রদান করিবেন, যে জীবনের মধ্যবিন্দু ও লক্ষ্য এক মাত্র তিনিই হইবেন । সে জীবনে তোমার স্বভাব তৃণ হইতেও বিনত বিনম্র ও স্বকোমল হইবে, তোমার চিত্ত সুস্থির, ইন্দ্রিয় সকল সারথির বশীভূত অশ্বের ন্যায় সংঘত থাকিবে । সে জীবনে ঈশ্বরের অপার দয়া মহিমাদির নিদর্শন তোযার চিত্তে অহরহ জাগরূক থাকিয়া তুমি সতত উৎফুল্ল থাকিবে, তাহার পবিত্র মাম উচ্চারণ শ্রবণ স্মরণ করিবামাত্র তো so-o-o-o-o-o-o: মার প্রেমাশু বিগলিত হইবে । তথন কতই অনুতাপ করিবে যে কেন অকিঞ্চিৎকর কাচ লইয়া মহামূল্য মিধিকে এত দিন প্রত্যাখ্যান করিয়াছিলাম । তখন পৃথিবীতে থাকিয়া ও বোধ হইবে তোমার আত্মা স্বর্গে দেবত। সাধু ভক্ত বৃন্দের সহিত প্রভুর আরাধনা ধ্যান ধারণ করিবার জন্য প্রস্তুত হইতেছে । তখন এক একটী করিয়া তোমার প্রত্যেক মলিনত সংসার-স্পৃহা অপসারিত হ ইবে – প্রত্যে ক হৃদয় গ্রন্থি এক এক করিয়া স্খলিত ও উন্মলিত হইবে । যেমন পুরাকালে অশ্বমেধের বধ্য অশ্বের একটী ও কুসংবর্ণ লোম থাকিলে তাহ। যজ্ঞার্থে গৃহীত হইত না, তেমনি তুমি দেখিলে যে দয়াময় তোমাকে তাহার অমৃতধামের যোগ্য করিয়া গ্রহণ করিবেন বলিয়। একে একে তোমার কুটিল কামনা কদভ্যাস সমুদয় নিরসন করিতেছেন । দিন দিন তাহার অভয় পদে মতি বিশ্বাস আনন্দ ও নির্ভর বদ্ধিত করিতে ছেন । তখন তোমার নয়ন স্বভাব কথা বার্তা ও আচরণ হইতে একটা স্বগীয় সুন্দর জ্যোতিঃ বাহির হইবে । তখন তোমাকে দেখিলে বোধ হইবে যে এইখানে থাকি য়াই তুমি ব্রহ্মলোকবাসী হইয়াছ, সে লোক হইতে তোমার আর প্রচু্যতি হই বার সম্ভাবনা নাই । এ স্থলে বিচার্ষ্য এই যে জগদীশ্বর কি সকল মনুষ্যকে তাহাকে পাইবার অধিকারী করিয়াছেন ও তদুপযোগী উপায় করিয়া দিয়াছেন ? তাহার কি পক্ষপাত আছে ? আমরা যদি জ্ঞানচর্চা দ্বারা স্বীয় বুদ্ধিকে পরিমার্জিত করি ও তিনি আমাদিগের হৃদয়ে যে বিবেকরূপ বাণী প্রেরণ করেন তাহ শুনিতে অভ্যাস করি,