পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৭২

து १२ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা २२ कन्न, 8 छt* তাহা হইলে তাহাকে জানিয়া ভক্তির সহিত র্তাহার পূজা করিতে ও র্তাহার প্রদশিত পথ অবলম্বন করিতে আমাদিগের কায় মনে স্বতই প্রবৃত্তি হয় । এ নিমিত্ত কথিত হইয়াছে যে ভক্তি জন্য নহে। ভক্তি বীজ প্রত্যেকের হৃদয়ে অন্তর্নিহিত আছে । মোহাভিনিবেশ সংসারা-সক্তি অজ্ঞান প্রভৃতি ব্যবধান দ্বারা তাহ অঙ্কুরিত হইতে পায় না এই মাত্র । প্রেমের পরিণাম বা গাঢ় সান্দ্র প্রেমই ভক্তি । এক না এক বিষয়ে প্রেম সকলেরই আছে । তুমি ধন জন বিভে পুত্রে বা অন্য কোন বস্তুতে যে প্রেম স্থাপন করিয়াছ তাহা প্রত্যাহৃত করিয়া পরম প্রেমাম্পদের প্রতি আপণ কর, তোমার প্রেম সার্থক হইবে ও ক্রমে তাহা ভক্তি রূপ আকারে পরিণত হইবে । তুমি যে গ্রন্থ দ্বারা সেই অক্ষয় পুরুষকে পাওয়া যায় তাহা পাঠ ও আলোচনা কর, বিজ্ঞানবান তাচাৰ্য্য যে পরম তত্ত্বের উপদেশ দেন তাহা গ্রহণ কর, ঈশ্বরের নামগানাদি শ্রবণ কর, সূৰ্য্য চন্দ্র ওষধি বনস্পতি নদী বিহঙ্গ ঈশ্বরের যে মহিমা প্রতিনিয়ত ঘোষণা করিতেছে, এই বিশ্ব অনাহত শব্দে বিশ্বেশ্বরের অনন্তগুণের যে কীৰ্ত্তন করি তেছে তাহা আত্মার অভ্যন্তরে অনুভব করিতে অভ্যাস কর, অচিরাৎ তোমার হৃদয়ে ঈশ্বর প্রত্যক্ষ হইবেন । র্তাহাকে প্রেম করিতে তোমার সর্ববান্তঃকরণ ধাবিত হইবে । তুমি প্রত্যেক নিঃশ্বাসে আধ্যাfত্মকতা গ্রহণ ও প্রত্যেক প্রশ্বাসে সাংসারিকতা বিসর্জন করিতে সমর্থ হইবে । সে প্রেম দ্বারা চিত্ত রসিত ও আপ্লাবিত হ হ’লে তাহাতে কি অন্য প্রেম স্থান পায় ? । অন্য প্রেম সমস্তই ভগবৎ প্রেমের অধীন হইয়া থাকিবে । আর ভক্তের প্রতি } | ভগবানের এই আদেশও যে র্তাহাকে হৃদয় সৰ্ব্বস্ব দিতে হইবে তবে তাহাকে পাইবে । যাহা কিছু করিবে তাহার উদ্দেশে তাহার অনুমোদিত বলিয়া করিবে, তবে এই খানেই তাহার সহিত বাস করিবে ও ব্রহ্মানন্দ উপভোগ করিয়া কৃতার্থ হইবে । বৈদান্তিক মত। (পূব্বের অনুবৃত্তি) নমু কৰ্ম্ম তথা নিত্যং কৰ্ত্তব্যং জীবনে সতি । বিদ্যায়াঃ সহকারিত্বং মোক্ষং প্রতিষ্ঠি তং ব্রজে ত । জীবন থাকিতে নিশ্চয় নিত্য কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিতে হইবে । অতএব সেই কৰ্ম্ম মোক্ষের প্রতি বিদ্যার সহকারি হউক। পূৰ্ব্বে কথিত হইয়াছে সংসার অজ্ঞানমূলক,জ্ঞানই সেই সংসার নিবৰ্ত্তক ও মুক্তির হেতু, কৰ্ম্ম নহে । এক্ষণে কথা এই যদি কৰ্ম্ম স্বয়ং মোক্ষহেতু না হয় তবে জ্ঞানের সহিত মিলিয়া তাঙ্গার হেতু হইবে । এক্ষণে এই জ্ঞান ও কৰ্ম্মের সমুচ্চয়বাদিগের মত উথাপিত হইতেছে । স্মৃতিতে উক্ত হইয়াছে কেহই কৰ্ম্ম না করিয়া কদাচ এক দিনও থাকিতে পারে না । সকলেই অবশ হইয়। প্রাকৃতিক গুণ দ্বারা কার্য্যে প্রবৃত্ত হয়। এই স্মৃতিপ্রমাণে বুঝা যায় জীবৎ পুরুষের অবশ হইয়াও কৰ্ম্ম কর্তব্যই হইতেছে । ইহার প্রতিপোষকে শ্রুতি ও আছে, জ্ঞানের ন্যায় কৰ্ম্মও যাবজ্জীবন নিত্য অবশ্য কৰ্ত্তব্য। আর তুমি বলিতেছ উপযোগি নয় বলিয়। মুমুক্ষুর কৰ্ম্ম অনুষ্ঠেয় নহে, এই আপত্তি নিরাসের জন্য বলা হইতেছে কৰ্ম্ম মোক্ষের হেতুভূত বিদ্যার সহকারিত্ব (ইতিকর্তব্য ভাব) প্রাপ্ত হইবে, এই কারণে মুমুক্ষুর তাহ অনুষ্ঠেয়