পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अंदि१ sw >९ জীবন চরিত ' ማ¢ SAASSAAAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS দ্বারা আপনার যে গ্রহণ অর্থাৎ ইন্দ্রিয়াদির সহিত যে আপনার অভেদ-বুদ্ধি তাহা স্বাভাবিক। মনুষ্যের এইরূপ যে আত্মবুদ্ধি তাঁহা অবিদ্যা-জনিত—অনাদি অজ্ঞান হইতে উথিত ভ্রান্তি-সংস্কার-জনিত, কারণ সৰ্ব্বসাধারণেই এইরূপ আত্মজ্ঞান দেখা যায়। অতএব যাবৎ আমি ব্রাহ্মণ, আমি । গৃহস্থ,আমি ইন্দ্রিয়যুক্ত,আমি সকাম, আমি । বলবান ইত্যাকার ভ্রান্তি-জ্ঞানের অনুবৃত্তি হয় তাবৎ কৰ্ম্মবিধি অর্থাৎ কৰ্ম্মকাণ্ড প্রমাণ হইবে । যে প্রমিতির জনক সেই প্রমাণ । যে অধিকারী বেদ তাহারই প্রমিতি-জনক, কদাচ অনধিকারীর পক্ষে আর উপযোগিতা থাকিল না । নহে । এখন বুঝ, কৰ্ম্ম-প্রবৃত্তি পর্য্যন্ত । প্রমিতির জনক কৰ্ম্মকাণ্ড যখন অধিকারী লাভ করিতে পারিল তখন তাহার ব্রহ্মাত্মতত্ত্বজ্ঞানের পূর্বে অপ্রামাণ্য হইতে পারে না । সুতরাং তোমার স্বাধ্যায় অধ্যয়নে বিরোধ আশঙ্কা নিতান্তই অমূলক । নেতি নের্তীতি দেহাদীনপোহাত্মা লশেষিতঃ । অবিশেষাত্মবোধাৰ্থং তেনাবিদ্যা নিবৰ্ত্তিকা । ইহা নহে, ইহা নহে, এই শ্রীতি দ্বারা । দেহাদি সমস্তকে ব্যাবৃত্ত করিয়া অবিশেষ আত্মবোধের নিমিত্ত আত্মা অবশিষ্ট থাকেন তদ্বারা অবিদ্যা নিবর্তিত হয় । নেতি নেতি, এ আত্মা নয়, এ আত্মা নয়, এই শ্রীতি দ্বারা ভ্রান্তি দৃষ্টিতে আত্মার আত্মীয় ভাবে স্বরূপ ভাবে গৃহীত দেহাদিকে নিষেধ করিয়া প্রতিষেধের অবধি বা সীমাভূত আত্মা অবশেষ থাকেন। কি জন্য এইরূপ প্রতিষেধ ? এই আকাউক্ষায় কহিলেন অবিশেষ আত্মবোধের নিমিত্ত। অবিশেষ যে আত্মা তাহার বোধ কি না নির্বিশেষ চিৎ সৎ ও আনন্দ স্বভাবের যে আবির্ভাব তন্নিমিত্ত। পরাক্ অ র্থের (বহির্বস্তুর) ব্যাবৃত্তি হইলে তাহার | অবস্থিতির অবধি বা সীমাভূত প্রত্যক অর্থই (অন্তবস্তু) অবশিষ্ট থাকেন। সেই প্রত্যক তত্ত্ব বোধেরই নিমিত্ত। প্রত্যক-তত্ত্ব-বোধে কি ফল ? এই আকাঙ্ক্ষায় পরে কহিলেন, যক্ষিবন্ধন দেহাদিতে আত্মাভিমান উৎপন্ন হইয়া কৰ্ম্মে অধিকারের হেতু হইয়া আছে সেই অবিদ্যাই ঐ প্রত্যক-তত্ত্ব-বোধ দ্বারা নষ্ট হইয়া যায়। অতএব নিমিত্তের অভাবে নৈমিত্তিকেরও অভাব হয় এই ন্যায়ে যিনি আত্মতত্ত্বজ্ঞ তাহার নিকট কৰ্ম্মকাণ্ডের অর্থাৎ ফলোপধায়ক জ্ঞানের জনক নয় বলিয়া কৰ্ম্মকাণ্ড তত্ত্বজ্ঞের পক্ষে অবশ্যই অপ্রমাণ হইয়া পড়ে। যাহার তীব্র ক্রোধের নিবৃত্তি হইয়াছে আভিচারিক বিধিশাস্ত্র আর কি তাহার কোনও প্রয়োজনে অt ইসে ? পরমহংস শিবনারায়ণ দেবের জীবন চরিত। নীচে ঝুনাগড়ের নিকট যেখানে শবদাহ করে সেইখান হইতে গ্রীনাড়ি পাহাড়ে উঠিবার পথ আছে । সেই স্থানে অনেক ঠাকুর লইয়া একজন ব্রহ্মচারি ছিলেন । শিবনারায়ণ সেখানে উপস্থিত হইয়া ব্ৰহ্মচারি ও ব্রহ্মচারির ঠাকুরকে প্রণাম না করিয়া চুপ করিয়া বসিয়া রছিলেন। ব্রহ্মচারি রাগ করিয়া বলিলেন, “বেটা, তুই কে যে আমার ঠাকুরকে প্রণাম করিলি না ?” শিবনারায়ণ বলিলেন, “ঠাকুর কোথা আছেন ?” ব্ৰহ্মচারি বলিলেন, “দেখিতেছিস্ না এই সকল ঠাকুর এখানে ধরা আছে।” শিবনারায়ণ বলিলেন, দেখিতেছি ও সকল তো পাথর এবং পিত্তলের পুত্তলি রাখিয়াছ। উহাদিগকে প্রণাম করিতে গেলে তো কত থাল, গেলাস ইত্যাদি পিত্তল কাসার নিৰ্ম্মিত দ্রব্য অাছে এবং পাহাড় পববত ইত্যাদি ও কত প্রস্তর অাছে সে সকলকে আমি কত প্ৰণাম করিব ?” ব্ৰহ্মচারি বলিলেন, তুমি কে, তুমি কোন শাস্ত্র পড়িয়াচ, তুমি গৃহস্থ না