পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खांश* २v१२ ५ জীবন চরিত। ৭৯ SAMMSAAA TS S S য়াছি যে র্তাহাকে সেই বস্তু দিয়া তাহাকে প্রসন্ন করিয়া তাহার দর্শন পাইব । আমরা একটা তৃণ স্বাস উৎপত্তি করিতে পারি না ও আমরা অহংকার করি যে এই বস্তু আমার, উচ্ছ। আমি ঠাকুরকে অর্থাৎ পরমেশ্বরকে দিতেছি—এটা আমাদের বলা এবং বুঝা ভূল আপনারা দিবারাত্রি সেই ঠাকুরের কাছে থাকেন এবং পূজা পাঠ করিতেছেন, তবুও আপনাদের প্ৰান্তি অজ্ঞানত লয় হইতেছে না, এবং বরঞ্চ তৃষ্ণ ও আপনাদের নিবৃত্তি হইতেছে না আরও তৃষ্ণা ! ক্রমে প্রবল হইয়া ডঠিতেছে।” তখন সেই পা ও রাগ করিয়া বলিল –তুই কে, যে আমাকে জ্ঞান শিক্ষা দিতে আসিয়াছিস, দশন করিতে আসিয়াছিস না আমাকে জ্ঞান শিক্ষণ দিতে আসিয়ছিস ? দশন কfরস তো টাকা দে ন তুল। এখান হষ্টতে চলিয়া য। 'শবনারায়ণ মনে মনে বলিলেন, যে, এত জ্ঞানের কথা বলিলাম, গকন্তু তৃষ্ণার জন্স ইতারা জড় চহয়া আছে, একটি ও সত্যভাব গ্ৰহণ কবিতে পারিল না । যেমন ঠহার। জড়কে ইষ্টদেব বলি য়। মানে ইহাদের তো সেই রূপ বুদ্ধি হইবে, বলহান শক্তিহীন তেজহীন ই হবে ।

শবনারায়ণ সেই পাণ্ডাকে বলিলেন, যাচার কাছে পয়স।

না থাকিবে সে কিরূপে দশন পাইবে । পাণ্ডার। তাহা শুনিয়া বলিল, যাহার কাছে পলুস না থাকিলে সে দশন পাইবে না। শিবনারায়ণ বলিলেন, অামাব । নিকটে তো পয়সা নাই, তবে কি আমি দশন পাইল না ? পাণ্ডারা বলিল, পিনা পয়সায় দশন পাইবি না। iশবনারায়ণ বলিলেন, এইখানে মন্দিরের মধ্যে যে কষ্ণ ভগবান আছেন, তাহ পাথরের না কাষ্ঠের ন। কোন ধাতুনিৰ্ম্মি ত না মুত্তিকার । যদ্যপি পাথর কাষ্ঠ অথবা ধাতুনিৰ্ম্মিত কিম্ব মৃত্তিকার হয তাত৷ শুইলে তো সমস্ত পৃথিবীর মধ্যে উহা আছে,তোমাদের এখানে দশন করিবার প্রয়োজন কি। পুথিবীতে যত তীর্থে মন্দিরের মধ্যে প্রতিমা নিৰ্ম্মাণ করা আছে, তাহা কোন ঠাই মুত্তিক কোন ঠাই প্রস্তর ও কোন ঠাই ধাতু ইত্যাদির নিন্মাণ। এই প্রস্তরাদি । ব্যতীত কোন মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ হইতে পারে না। যদ্যপি ইহা ব্যতীত অন্য পদার্থের হয় তাহ কেবল মাত্র | অল্প সময়ের জন্য । বরফে ৪ মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মিত হইতে পারে। এই সকল ধাতুর মধ্যে এই কৃষ্ণ ভগবান কোন | পাতুর । তিনি নিরাকাল ন সাকার ব্রহ্ম ? যদ্যপি সাকার ব্ৰহ্ম হন তাহা হইলে ত এই সমস্ত সাকার পহ্ম প্রত্যক্ষ আছেন ; যথা পৃথিবী, জল, অগ্নি, বায়, আকাশ, চন্দ্র মা এবং সুর্য্যনারায়ণ । বল দেখি ইহাব o


--mm-es mamm- - -

মধ্যে কোনটা কৃষ্ণ ভগবান হন এবং স্টোনটাই বা না হন অথবা ইহার সমষ্টি কৃষ্ণ ভগবান হন । যদ্যপি সাকার ব্রহ্মকে তোমরা বল যে ইনি কৃষ্ণ ভগবান নহেন, তবে তোমাদের সাকার ব্রহ্ম কৃষ্ণ ভগবান কোথায় ? তাহার কি স্বরূপ ? আমাকে দেখাইয়া দেও এবং বুঝাইয়া দেও। তখন একজন পী ও অন্য একজন পা গুণকে বলিল , য, এ বেটাকে কোন যুক্তি দ্বাবা এগান হইতে তাড়াইয়। দে ও নতুবা কোন যাত্রি যদি এই সকল কথা শুনে তাহা হইলে সকল যাত্রি বুঝি ব৷ ভাঙ্গিয়া যাইতে পারে, তাছ চইলে আমাদের রোজগাল বন্ধ হইবে । পাণ্ডারা এষ্ট পরামর্শ করিম। শিবনারায়ণকে সেখান শিবনারায়ণ মনে মনে বলিলেন যে দেখ অর্থ লোভের জন্য ইতারা জড় পাথরকে চেতন বলিয়। পূজা করিতেছে। সকলকে কবাইতেছে, এবং প্রত্যক্ষ চেতন কষ্ণকে তাড়াইয়া দিতেছে । ইহারা কি নিবোধ ! শিবনারায়ণ, যেখানে যাfএ দিগকে ছাপ দেয় সেই স্থান দেখিতে যাইলেন । সেখানে গিয়া দেখিলেন যে, চারিদিকে যাত্রির এবং পাণ্ডার ও কোম্পানির লোক স ক ল বসিয়া আছে । কোম্পানির তরফের লোক যাহারা আছে, তাহাবা সকল যাত্রির নাম ও কত যাত্রি আসিল এবং কত পয়সা টাকা আদায় হইল, তাহার হিসাব নিত্য নিত্য করিয়া সরকারে দাখিল করে । যাত্রিদে : নিকট হইতে যত টাক আদায় হয কোম্পানি তাহার অংশ পান । এইরূপ সকল তীর্থ হইতে কোম্পানির অংশ পান কেবল কোন কোন তীর্থে নহে । শিবনারায়ণ মনে মনে বলিলেন যে এত কষ্ট পাইথা ধত্রি বা এই তীর্থে আসে এবং টাকা পয়সা অনর্থক বায় করিয়া যায । সেই যাত্রিরা যে - খানে বসিয়া আছে, সেই থানে অগ্নি প্র জ্বলিত করিয়া তাম্রের এবং লেষ্টের ছাপ তাহাতে লাল করিথা পুড়ায় হইতে তাড়াইয়া দিল । তরফে র এবং সেই তপ ছাপ লইয়। সেই সকল যাত্রিদে ব হস্তে শীঘ্র শীঘ্ৰ লাগাইয়। দেয় । ক ত যাত্রি ছাপ লাগাইবার সময় কাদিতে থাকে, কত ঘাত্রি ভযেতে উঠিয়া যায় এবং কত যাত্রি কষ্ট সহ্য করিয়া ছাপ লধ। এই ছাপ দেখিলে সকলে বলিবে ষে, ইনি দ্বাল কায় গিমাছি লন । শিবনারায়ণকে পা গুt রা বলিল যে তুমি পয না দ ও ও ছাপ লও। শিবনারায়ণ বলিলেন আমার কাছে একটা ও পয়স। নাই যে আমি ছাপ লইব । পাণ্ডার। বলিল যদি তোব কাছে বেশি পয়সা না থাকে, তবে দুই অান পয়সা দে তোকে ছাপ দিব। শিবনারায়ণ বলিলেন আমার কাছে এক