পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

عصصعسكوجيكو مع عصصه _ -s**-m=== ح' عاص------------میس۔ --سےیے হিন্দুধর্ম ও ব্রহ্মপূজা هم به ce= છે an -- ams-gomo sammam, s===== স্বয়ন্তু স্বপ্রকাশ পরমেশ্বর আপনি জী- বিশ্ব উৎপন্ন হয়, উৎপন্ন হইয়া যাহ কর্তৃক বের অন্তরে কৃপা করিয়া প্রকাশিত না | জীবিত থাকে এবং প্রলয়কালে যাহার • হইলে, কেহই তাহাকে প্রকাশ করিতে পারে না । ব্রহ্মজ্ঞানপিপাস্থ পবিত্ৰহৃদয় আর্য্য ঋষিদের অন্তরাকাশে ব্রহ্মসূর্য্য অাপনি প্রকাশিত হইয়াছিলেন । জ্ঞান পরোক্ষ ও অপরোক্ষ ভেদে দ্বিবিধ । অন্যের নিকটে শুনিয়া যে জ্ঞান তাহা পরোক্ষ, আর আপনার আত্মাতে প্রত্যক্ষ অনুভূতিই অপরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ জ্ঞান । ‘‘একাত্মপ্রত্যয়সারং” “এক: জগৎকারণং ব্রহ্মাস্তীতি আত্মনঃ প্রত্যম: সারং প্রমাণং যস্যাধিগমে তৎ একাত্মপ্রত্যয়সারং ।” | | তিনিই ব্রহ্ম । প্রতি গমন করে ও র্যাহাতে প্রবেশ করে, র্তাহাকে বিশেষরূপে জানিতে ইচ্ছা কর ইহাই তটস্থ লক্ষণ । আর যে লক্ষণ লক্ষ্য বস্তুর সহিত অভিন্ন তাহাট স্বরূপ লক্ষণ । ‘সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্রহ্ম।” ব্রহ্ম সত্যস্বরূপ জ্ঞানস্বরূপ এবং অনন্ত স্বরূপ । “রসোবৈ সঃ” তিনি রসস্বরূপ ইহাই স্বরূপ লক্ষণ । সত্য জ্ঞান অনন্তত্ব এবং আনন্দ ব্রহ্ম হইতে পৃথক বস্তু নহে, এক মাত্র আত্ম প্রত্যয়ই তাহার অস্তি- : ত্বের প্রমাণ । উপনিষৎকার ঋষিগণ আত্মপ্রত্যয় দ্বারা অন্তরে প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করিয়াই ব্রহ্মস্বরূপ বর্ণন করিয়াছেন । ব্রহ্ম ব্রহ্ম, কোন ক্ষুদ্র পরিমিত বস্তু ব্ৰহ্ম নহে । । “যোবৈ ভূম। তৎ স্থখং” যিনি ভূমী যিনি মহান তিনিই স্থখস্বরূপ। ব্রহ্মের লক্ষণ কি ? শাস্ত্রানুসারে লক্ষণ দুই প্রকার, তটস্থ লক্ষণ ও স্বরূপ লক্ষণ । অন্য বস্তু দ্বারা জানানই তটস্থ লক্ষণ । আর যথার্থ স্বরূপ নির্দেশ করাই স্বরূপ লক্ষণ । ব্রহ্ম অবাঙানসগোচর ইন্দ্রিয়ের অতীত, তাহার নির্দেশ কি প্রকারে হইতে । পারে, এই নিমিত্ত ভগবান ব্যাসদেব স্বীয় শারীরক সূত্রে “জন্মাদ্যস্য যতঃ” এই বিশ্বের জন্মস্থিতিভঙ্গ যাহা হইতে হয়, তিনিই ব্রহ্ম, এই প্রকারে নির্দেশ করিয়া ছেন । “যতোবা ইমানি ভূতানি জায়ন্তে যেন জাতানি অর্থ గS ༥། །། །བགིདྡྷ་ জীবন্তি। যৎপ্রযস্ত্যভিসংলি শস্তি । তদ্বিজিজ্ঞাসস্ব তদব্ৰহ্ম।” (শ্রীতি ।) যাহা হইতে এই স্থাবর জঙ্গম সমুদায় ব্রহ্মেরই স্বরূপ। মহাগৃহস্থ শৌনক ব্রহ্মবিং আঙ্গিরসের নিকট যথাবিধানে উপস্থিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, হে ভগবন! এমন কি বস্তু আছেন যাহাকে জানিলে সমুদায় জানা যায় ? “কম্মিন্ন ভগবো বিজ্ঞাতে সৰ্ব্বমিদং বিজ্ঞাতং ভবতাতি।” কি ? না যিনি ভূম, যিনি মহাম, তিনিই । (মুণ্ডক শ্রুতি । তাঙ্গিরস বলিলেন, ব্রহ্মবিদেরা বলেন, বিদ্যা দুই প্রকার, পরা ও অপরা। ঋক যজুৰ্ব্বেদাদি বেদ চতুষ্টয় এবং শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দ, জ্যোতিষ এই ছয় একবস্তুকে । বেদাঙ্গ আশ্রেষ্ঠ বিদ্যা, আর যাহার দ্বারা সেই অবিনাশী পুরুষকে জানা যায় তাহাই শ্রেষ্ঠ বিদ্যা । ব্রহ্মবিদ্যাই সকল বিদ্যার প্রতিষ্ঠা । আঙ্গিরস বলিলেন, যত্ত্বদদেশ্যমগ্রাহামগোত্রম বর্ণমচক্ষুঃশ্রোত্রং তদ পাণি পাদং নিত্য বিভূং সৰ্ব্বগতং সুস্থঙ্কং তদব্যয়ং যদুল যোনিং পরিপশ্যন্তি ধীরাঃ ” (মুণ্ডকশ্যুতি । । সেই যে ব্রহ্ম তিনি চক্ষুরাদি জ্ঞানেন্দ্রিয়ের অবিষয় বা প্রভৃতি কৰ্ম্মেন্দ্রিয়ের অগোচর জন্মরহিত রূপরহিত চক্ষু শ্রোত্র বিহীন হস্তপদাদি অবয়ব শূন্য জন্ম মৃত্যুবর্জিত নিত্য স্থিতিশীল সৰ্ব্বগত সৰ্ব্বব্যাপী অতিসূক্ষা স্বভাব ক্ষয়রহিত সৰ্ব্ব