পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

お)○ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ১২ কল্প, ৪ ভাগ محص-سیے যুগের পরিমাণ ২,৪০০ এবং কলিযুগের পরিমাণ ১,২০০ দৈলবৎসর। (১৪) স্বাভাবিক নিয়মানুসারে যুগে যুগে, ধৰ্ম্মের পাদক্রমে অর্থাৎ চতুর্থাংশ করিয়া ক্রমশঃ হ্রাস হইতে থাকে। তদনুসারে পৃথিবীস্থিত মানবদিগের শরীর ধারণ ও পোসণ এবং রোগ বিনাশের উপযুক্ত যাবতীয় দ্রব্যের ৪ রস, গুণ, দীর্য্য, বিপাক ও প্রভাব প্রভূতি (১৫) ধৰ্ম্ম বা শক্তির ও চতুর্থাশ করিয়া হ্রাস হইতে থাকে। কাজে কাজেই মনুস্যের পরমাঘর ও ক্রমশঃ চতুর্থাশ করিয়া হ্রাস হুইয়া আইসে (ত) মনুষ্য-শৰীরের হস্ত তা-রক্ষা ও পৃষ্টিসাধন বিষয়ে তাহারীয় দ্রব এবং রোগ নাশ বিসয়ে ঔসধ দর্যই প্রধান সাধন । (থ) দ্রব্য সকলেদ রস গুণাদি ধৰ্ম্মের উৎকর্ষ থাকিলেট ঐ কার্স উত্তম রূপে সম্পন্ন হইলে । তার অপকর্য থাকিলেই ঐ কার্ম্যের অল্পতা হইবে ; ইহা অতি সহজেই বোধগম্য হইতে পারে । পৃথিবীতে মনুষ্যদিগের অধৰ্ম্মানুষ্ঠান হইলে, পার্থিব অচেতন ব৷ উদভিজ্ঞ দব্যের স্বতঃসিদ্ধ শক্তির হ্রাস হইবে, এ কথা অচেতন-জড়-বিজ্ঞান মাত্র অবলম্বন করিয়। বিশ্বাস করিতে পারা যায় না । কিন্তু আধ্যাত্মিক বিজ্ঞান, ভিন্ন পদার্থ। (১৪) পুরাণশাস্ত্র সকলে, এইরূপ নির্দেশ আছে । (১৫) দল্যের রস, গুণ, বাৰ্মা, বিপাক ও প্রভাব, ইতাদিগের সবিশেষ বিবরণ, অতঃপর যথাস্তানে বর্ণিত হঠবে। (ত) “যুগে যুগে ধৰ্ম্মপাদঃ ক্রমেণানেন ষ্টীয়তে। গুণপাদশচ ভূতানামেবং লোকঃ প্রলীয়তে ॥” চরক, বিমান, ১অ । (থ) * প্রাণিনাং পুনমূলিমাহারে বল বর্ণে জলাঞ্চ । স স্টল রসেস আয়ত্তো রসাঃ পুনর্দ্রব্যাশ্রয়াঃ” ইত্যাদি। সুশীত, স্বত্র, ১অ । ‘তদৃদ্ৰব্যমাত্মন। কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ বীৰ্য্যেণ সেবিতং । কিঞ্চি দ্রসবিপাকাভ্যাং দোযং হস্তি করোতি বা ॥” সুশ্রুত স্থত্র ৪০ অ ।

  • E*

সেই বিজ্ঞানের চর্চা করিয়া, প্রাচীন মহর্ষিগণ স্থির করিয়াছেন যে, অচেতন জড় সকল, চৈতন্যময় সৰ্ব্বব্যাপী পরমেশ্বরের ইচ্ছ। ও নিয়োগ অনুসারে স্ব স্ব শক্তি প্রাপ্ত হইয়৷ তাতারই নির্দিটি কার্য সাধন করিতেছে । অতএব, পুণ্যের পুরস্কার ও পাপের দণ্ডদান, যে জগদীশ্বরের কার্য্য, তাহার রাজ্যে র্তাহারই ইচ্ছানুসারে মনুষ্যগণের সুখ সাপনস্বরূপ দ্রব্য সকলের শক্তি, প্রয়োজন মতে কমিয়া যা ওদা, বিচিত্র কি ? পর্তমান সময়ে পৃথিবীতে দ্রব্যের শক্তি ও মনুষ্যের আয়ুঃ ক্রমশঃ অল্প হইতেছে কি না, তাহা উপরিতন ৫ । ৭ পূরুমের তালুঃ এবং ১০০ বা ১৫ বৎসরের দ্রব্য শক্তির বিময় নিরপেক্ষ ভাবে পর্য্যালোচনা করিলেই চিন্তাশীল ব্যক্তিদিগের বোধগম্য হইতে পারে । বাঙ্গালী অপেক্ষ হিন্দুস্থান, তদপেক্ষ। কাবুল ও তদপেক্ষ কোন কোন ও ইউরোপীয়, আবার তদপেক্ষা দক্ষিণ আমেরিকাবাসাদিগকে অপেক্ষাকৃত বলিষ্ঠ ও দীর্ঘজীবী দেখিয়া, মূল সিদ্ধান্তের অন্যথা ভাবিতে চইলে না। কারণ, কি দুর্বল বাঙ্গালা, কি বলিষ্ঠতম আমেরিকান, উভয়ের পক্ষেই পূৰ্ব্ব পুরুমের সহিত তুলনা করিলে, মূলতত্ত্ব খাটিতেছে । ইহাদিগের মধ্যে যে জাতি যত পরিমাণে স্থাস্থ্যরক্ষার উপযোগী জল, বায় প্রভৃতি প্রাপ্ত হয় এবং তৎসংক্রান্ত নিয়ম পালনে সমর্থ হয়, তাহার আয়র তত পরিমাণে আপেক্ষিক দৃঢ়ত হইতেছে, এইমাত্র প্রভেদ | ঐশ্বরিক নিয়মানুসারে যুগেযুগে মানব গণের যে যথাক্রমে চতুর্থাংশ করিয়া অাযুর হ্রাস হইতেছে, আয়ুৰ্ব্বেদ শাস্ত্রে তাহা হিসাব করিয়া লইবার গণিতংক্রান্ত নিয়ম পর্য্যন্ত নির্দিষ্ট আছে। যথা,