পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

אל של שן ש ぬNつ _ AAAAAA SAAAAA AAAA SAAAAAS S ASAAAAASAAAA خاتمے এবং অবশেষে আপনাদের গ্রাসাচ্ছাদনের নিমিত্ত সামান্য হলচালনাতেও প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, সেইরূপ অন্যদিকে দেশীয় সাহিত্যের উন্নতিকল্পে ও বিশেষ প্রয়াস পাইয়াছিলেন, অধিক কি, ইহারাই বাঙ্গলা ভাষায় প্রথম সংবাদ পত্র প্রকাশিত করেন এবং যে ছাপার অক্ষরে আজ আমরা হাজার হাজার গ্রন্থ ছাপাইতেছি, সেই ছাপার অক্ষরও র্তাহারা নিজ হস্তে প্রথম প্রস্তুত করিয়াছেন। সুতরাং এই অংশে আমরা সকলেই এই বিজাতীয় ধৰ্ম্মাক্রান্ত বিদেশীয় ধৰ্ম্মযাজকদিগের নিকট চিরদিনের নিমিত্ত কৃতজ্ঞতা-ঋণে নিবদ্ধ । মহাত্মা রামমোহন রায় ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনে প্রবৃত্ত হইয়া বেদান্তসূত্র, দশখানি প্রধান প্রধান উপনিষৎ, ভট্টাচাৰ্য্য গোস্বামী প্রভৃতি পfণ্ডতের সহিত বিচার, সহমরণ বিষয়ক প্রস্তাব ইত্যাদি নানা প্রস্তাব বঙ্গীয় সাহিত্যে প্রচার করিয়া গিয়াছেন—অধিক কি তিনিই বঙ্গীয় সাহিত্যে গদ্য রচনার প্রথম প্রবর্তক । তাহার পরলোক প্রাপ্তির পর আদি ব্রাহ্মসমাজ বঙ্গীয় সাহিত্যের উন্নতির নিমিত্ত যথেষ্ট পরিমাণে প্রয়াস পাইয়াছেন । পৃজনীয় মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহোদয় এদেশে তত্ত্ববিদ্যা বিস্তারের জন্য “তত্ত্ববোধিনী সভা প্রতিষ্ঠিত করেন । এই সভার উদ্যোগে একটী পাঠশালা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্রচারিত হয় । এই পত্রিকার প্রচার অবধি পরলোকগত অক্ষয়কুমার দত্ত ইহার সম্পাদনভার গ্রহণ করেন। ইনি তৎকালে যেরূপ যোগ্যতা এবং গভীর বিদ্যাবত্তার সহিত এই পত্রিকা সম্পাদিত করিতেন, তদ্বারা তত্ত্ববোধিনী বঙ্গবাসীর অত্যন্ত প্রীতির বিষয় হইয়া উঠিয়ছিল । এই পত্রিকার নিমিত্ত তখন গ্রাহকের বাঙ্গালা সাহিত্যের বর্তমান অবস্থা । মাসান্তে উৎসুক অন্তরে অপেক্ষা করিতেন, এবং ইহার খ্যাতি ও প্রতিপত্তিতে আকৃষ্ট হইয়া ইয়োরোপীয় পণ্ডিতবর্গের মধ্যে কেহ কেহ এই পত্রিকা অা গ্রহের সহিত গ্রহণ করিতেন । তত্ত্ববোধিনীর গদ্য রচনাকে বাঙ্গালা সাহিত্যের আদর্শ গদ্য বলা যাইতে পারে। কি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার প্রচার, কি আদিসমাজ হইতে প্রকাশিত অন্যান্য বঙ্গীয় গ্রন্থ এ সমস্তই প্রধান আচাৰ্য্য মহাশয়ের যত্ন ও প্রভূত অর্থব্যয়ে সাধিত হইয়াছে। তিনি অকাতরে অর্থরাশি ব্যয় না করিলে এবং নিজে পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে সমস্ত না দেখিলে কি তত্ত্ববোধিনীর প্রচার, আর কি অক্ষয় বাবুর প্রতিভা বিকাশ এ সকল কোথায় থাকিত, তাহা কে বলিতে পারে ? বিদ্যাসাগর মহাশয় ও অক্ষয় বাবু এতদুভয়ের দ্বারা বাঙ্গলা সাহিত্যের গদ্যাংশের বিশেষ শ্ৰীবৃদ্ধি সাধিত হইয়াছে । বিদ্যাসাগর মহাশয়ের “সীতার বনবাস’’ প্রভৃতি অত্যুৎকৃষ্ট গ্রন্থের স্থললিত বিশুদ্ধ ও প্রাঞ্জল রচনার ন্যায় গদ্য রচনা বাঙ্গলায় অতি বিরল । অধিক কি, ইহা বলিতে আমি বিন্দুমাত্র সঙ্কুচিত নহি যে, এই দুই জনের ন্যায় প্রতিভাশালী মনস্বী লোক তৎকালে জন্মগ্রহণ না করিলে বাঙ্গল। ভাষা কখন এত পরিপুষ্ট ও শ্ৰীসম্পন্ন হইতে পারিত না । এই কারণে কেহ কেহ বিদ্যাসাগর মহাশয় ও অক্ষয় বাবুকে বঙ্গীয় সাহিত্যরূপ আকাশের চন্দ্র ও সূর্য রূপে উল্লেখ করিয়াছেন। বাস্তবিক সূৰ্য্য চন্দ্র না থাকিলে জগতের যেরূপ অবস্থা হয়, ইহঁরা না থাকিলেও আমাদের জাতীয় সাহিত্যের সেইরূপ অবস্থা হইত। ইহঁাদের পর আজ পর্য্যন্ত বাঙ্গলা সাহিত্যে অনেক প্রতিভাশালী তেজস্বী লেখক লে