পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ബം is જે8 খনী ধারণ করিয়াছেন, র্যাহাদের নাম আমি ইতিপূর্বে উল্লেখ করিয়াছি। এত ক্ষণ আমি যাহা বলিলাম, তাহা কেবল বঙ্গীয় সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত মাত্র । এখন ইহার বর্তমান অবস্থা সম্বন্ধে আলোচনায় প্রবৃত্ত হওয়া যাউক । ১ম । বাঙ্গলার বর্তমান গদ্যের অবস্থা আলোচনা করিলে তত উন্নতিশীল বলিয়া মনে হয় না । বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের পর কালীপ্রসন্ন ঘোষ, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অক্ষয়চন্দ্র সরকার, রজনীকান্ত গুপ্ত, চন্দ্রশেখর মুখোপাধ্যায়, যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ এবং অদ্যকার সভাপতি চন্দ্রনাথ বস্ত মহাশয় প্রভূতিকেই গদ্যলেখক শ্রেণীর আসন প্রদান করা যাইতে পারে। ইহঁীদিগের রচনা সুখপাঠ্য চিন্তাপূর্ণ প্রাঞ্জল । সুললিত এবং বিশুদ্ধ । তার পর তার যে সকল গদ্য রচনা দৃষ্ট হয়, তাহার মধ্যে । কোনটিতে চিন্তার সমাবেশ আছে, কিন্তু প্রাঞ্জলতা নাই, কোনটি বেশ ভাবপূর্ণ, কিন্তু ভাষা একেবারেই বিশ্ৰী ও বিকলেন্দ্ৰিয় । আধুনিক গদ্যলেখকদিগের মধ্যে অধিকাংশের এই ক্রটি বিশেষ ভাবে পরিলক্ষিত হয় যে, তাহারা ভাষার স্বাভা- ৷ বিক ভাব বিকাশের পথে যে সকল উপায় আছে, একদিকে যেমন তাহার প্রতি দৃষ্টি করেন না, সেইরূপ অন্যদিকে রচনাকে মার্জিত ও বিশুদ্ধ ভাবাপন্ন করিবার নিমিত্ত তত প্রয়াস পান না। অামি জানি এমন অনেকে আছেন, র্যাহারা মনোনিবেশ পূর্বক লিখিলে বেশ বিশুদ্ধ ভাবে লিখিতে পারেন, কিন্তু অনবধানতাই বলুন বা উপেক্ষাই বলুন, অথবা অন্য যে কোন কারণই বলুন, তাহার। তাহার বশবৰ্ত্তী হইয়। সে দিকে দৃষ্টিপাত করেন না। আজ কাল এমন অনেক গদ্য রচনা সচরাচর পরি- ! ०२ + छ, 8 छ।' _, تحت تا حات====== नृके इञ्च, शांशंद्र डाषा मा बांत्रज्ञ, बी ३२রাজি । ২য় । মাইকেল মধুসূদন দত্ত, হের্ণচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজকৃষ্ণ রায়, নবীনচন্দ্র সেন, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার প্রভৃতি ব্যক্তি বাঙ্গলা সাহিত্যের কবিতাবিভাগে লব্ধপ্রতিষ্ঠ হইয়াছেন । গদ্যের সহিত পদ্যের তুলনা করিলে, গদ্যাংশ যতটুকু পুষ্টি বা উন্নতি লাভ করিয়াছে ; কবিতাংশে ততটুকু উন্নতি হইয়াছে কি না, সে বিষযে আমার বিশেষ সন্দেহ আছে । এই সকল কবির মধ্যে অনেকর রচনা কবিত্বাংশে কতটুকু উপযুক্ত, তাহ বিচার করিয়া দেখিতে গেলে অনেক স্থলে আশার পরিবর্তে নিরাশারই সঞ্চার হয়। গবর্ণমেণ্টের বেঙ্গল লাইব্রেরি হইতে বাঙ্গলা পুস্তক সম্বন্ধে তিন মাস অন্তর যে তালিকা প্রচারিত হয়, তাহা আপনাদের মধ্যে অনেকেই পাঠ করিয়া থাকেন। তাহাতে দেখা যায় বাঙ্গল। ভাষায় অজস্র রাশি রাশি পুস্তক প্রকাশিত হইতেছে, বল। বাহুল্য যে, সে সকল পুস্তকের মধ্যে কবিতা ও উপন্যাস সংক্রান্ত পুস্তকের সংখ্যাই অধিকতর। সুতরাং বাঙ্গলা ভাষার বর্তমান গতিকে উপন্যাস ও কবিতার দিকেই কিছু প্রখরা বলিতে হইবে। এই যে কবিতা ংক্রান্ত ভূরি ভূরি পুস্তক পুস্তিকা প্রচারিত হইয়াছে, তাহাদের বর্ণিত বিষয়, রচনা, এবং কবিত্বের কথা আলোচনা করিলে কি দেখিতে পাই ? এই সকল কবিতার মধ্যে অনেক কবিতার ভাষা অধিকাংশ স্থলেই দুবোধ এবং অপরিস্ফুট। “কি জানি কি জানি”, “না জানি কি জানি না” ইত্যাদি অর্থশূন্য অলক্ষ্যোদিষ্ট শব্দে আধুনিক অনেক কবিতাই অলঙ্কত। জোছনার হাসি,