পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

も憧 )">ペ ঘুমন্ত প্রেম, অভাগার বিলাপ, কেন ভালবাসি, প্রিয়তমার কপোলে চুম্বন ইত্যাদি বিময়ই নব্য কবিদিগের আলোচ্য ; প্রণয় ও বিরহ ছাড়া এখনকার পুংজাতীয় ও স্ত্রীজাতীয় উভয় জাতীয় কবিরা অার কোন বিষয়ে লিখিতে পারেন বলিয়া বোধ হয় না। তার পর আধুনিক গদ্য লেখকেরা যেমন ব্যাকরণকে আপনাদের রাজ্য হইতে বাহির করিয়া দিয়াছেন, সেইরূপ কবিগণ ও ব্যাকরণকে আপনাদের সীমার বাহির করিম ছেন । কবিতা স্থলবিশেষে ব্যাকরণের অনুগামিনী না হইলেও যদি ও তাহা তত একটা দোষের বিষয় নয় ; তথাপি একেবারে সীমার বাহির করিয়া ফেলিয়া দেওয়া কোন রূপেই যুক্তিযুক্ত নয়। ইহারা বলেন অস্বয় তাবার কি ? ബ് -- - জীবন চরিত অন্বয় না হইলেই যে কবিতা হইল না, . তাহার অর্থ কি ? কিছুদিন হইল এই ৷ জাতীয় একজন কবির সহিত আমার পরিচয় হয়, তাহার সহিত আলাপে জানা গেল যে, বাঙ্গলা ভাষায় চারিটার অধিক কারক নাই । ক্রমশঃ । পরমহংস শিবনারায়ণ দেবের জীবন চরিত। শিবনারায়ণ বলিলেন যে এই স্থূল শরীর কি অপরাধ করিয়াছে ? কেন অনর্থক তাহাকে দাগ দেওয়া। স্থূল শরীরকে দাগ দিলে আমার সূক্ষ্ম শরীরের কি লাভ হইবে । অথবা স্থূল শরীরকে দাগ না দিলে তাহাতে আমার কি ক্ষতি হইবে । যদ্যপি স্কুল শরীরে দাগ দিলে মুক্তি হয় তাহ শুইলে পুথিবীর উপর কত পশুদিগকে অর্থাৎ ঘোড়া গরু ইত্যাদিকে দাগ দেওয়া যাইতেছে এবং নম্বর দেওয়া যাইতেছে । তাহা হইলে তো তাহারাও সকলেই মুক্ত হইবে । অনর্থক তোমরা কেন ভ্রমে পতিত হইতেছ ! ষ্যকে হত্যা করিতেছে । Ꮌ☾ ও প্রজাদিগকে ভ্রমেতে পতিত করিয়া কষ্ট দিতেছ। এবং র্যাহার নাম কৃষ্ণ ভগবান অর্থাৎ পূর্ণ পরব্রহ্ম জ্যোতিঃস্বরূপ গুরু ঠাহাতে যাহার ভক্তি শ্রদ্ধা নিষ্ঠা আছে তাহার স্থল শরীরে ছাপ লইবাব প্রযোজন কি ? র্তা চার জ্ঞানরূপ ছাপ আ স্তরে বাচিরে লাগান আছে । অর্থাৎ পূর্ণ পরব্রহ্ম গুরু আত্মা পরিপূর্ণরূপে ছাপ লাগান আছে, বাহিরের ছাপে কোন প্রয়োজন নাই। স্ত্রী কিম্বা পুরুষ যেই হউন যে ব্যক্তি পূর্ণ পরসঙ্গ জ্যোতিঃস্বরূপ হইতে বিমুখ হইবেন সেই ব্যক্তি এই ছাপ লই বাব ইচ্ছা কপিলেন । শিবনারায়েণ দ্বারকানাথের সমস্ত অবস্থা দেখিয়া সমুদ পাল হইয়। কচ্ছ ভূজ দেশে যাইয়া উপস্থিত হইলেন। কচ্ছ ভূজ হইতে আন্দাজ ৩০ । ৪০ ক্রোশ দূপে নবায়ণ সবোলপ তীর্থে যাটলেন । সেখানে যাইয়া দেখিলেন যে একটি পুকুর আছে। সেই পুকুবে যাত্রির। যাইয়া স্নান করে এবং পাণ্ডাদিগকে দান করে, বক্ষঃস্থলে ও চাপ লয় । একটী পা গু এক যাত্রির নিকট চষ্টতে অন্য অন্য পাণ্ড অপেক্ষ এক পযসা বেশি পাই যাছিল । অন্য অন্য পাগুrরা বলিল তুমি এক পয়সা বেশি পাইয়াছ তাঙ্গ হইতে আমাদিগকে অংশ দে ও । সেই পাণ্ডা বলিল অন্য কোন সময় তোমবা ও পাইলে লইও, এক পয়স। এখন কি করি যা ভাঙ্গাইল । তাচাতে আপ ল পাণ্ডার। বলিল যে কড়ি ভাঙ্গাইয়া লইয়া আইস ও তাহ আমাদে ব অংশ করিয়া দাও । সে ভাঙ্গাইল না, সে ব্যক্তি বলিল এখন আমি ভাঙ্গাইতে পাব না। এই কথা শুনিল। মাত্র পাণ্ডারা তাহাকে গলাগলি দিতে লাগিল । সেই পাণ্ডাও তাহাদিগকে দুই একটা গালি দিল । সকল পাণ্ডার। পড়িযা তাঙ্গাকে মারিতে আরম্ভ করিল, মালিতে মারতে সেই পাণ্ডাকে অজ্ঞান ক}রয়া ফেলিল এবং পয়সা কড়ি যাহা কিছু ছিল সে সমস্ত তাহাব। কাড়িয়া লইল । শিবনারায়ণ এই সমস্ত অবস্থা দেখিয়। মনে মনে ৰলিলেন, যিনি নারায়ণ সরোবরে দিবারা এ বাস করিতেছেন এবং পূজা ও স্নান করিতেছেন তাহাদের তে। এই অপস্থা, এক কড়া কড়ির তরে মমুযাত্রিব। আসিলে তাহা(দর না জানি কি অবস্থাই ঘটে । যে জ্যোতিঃস্বরূপ ঈশ্বরের নাম নারায়ণ সরোবর সেই সরোবরে যে ব্যক্তি স্নান করিবেন তিনি সদা মুক্ত আনন্দ স্বরূপ থাকিবেন । বক্ষঃস্থলে ছাপ লইবার অর্থ বিরাট পরব্রহ্মের আকাশরাপি বক্ষঃস্থল মধ্যে চন্দ্রমা সুর্য্যনারায়ণ জ্যোতিঃস্বরূপের ছাপ দি বা রাত্রি প্রকাশমান আছেন । এই জ্যোতিমূৰ্ত্তি ঈশ্বরের ছাপ রাজ। প্রজাদিগকে বক্ষঃস্থলে অর্থাৎ হৃদয়েতে শ্রদ্ধ।