পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২৩ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা s२ कश्र, 8 स्लश्न محم- بدچم سے =عے ہ-.----- میسیج. --" ভক্তি পূৰ্ব্বক ধারণ করা চাই, তাহ হইলে, সকল ভ্রম কষ্ট নিবারণ হয়। পরে সেখান হইতে শিবনারায়ণ জাহাজে উঠিয়া সমুদ্র পার হইয়া সিন্ধুদেশে আসিলেন, এবং করাচি বন্দর সহরে যাইলেন । সেখান ভইতে নগর ঠাট্ট নামে এক গ্রামে যাইলেন, সেখান হইতে সন্ন্যাসি সাধুরা হিংলাজ তীর্থে যায়। সেই নগরঠাট্টা তইতে সাধু সন্ন্যাসি যাত্রির দ্রব্যাদি সমুদায় প্রস্তুত করিয়া ও জল সংগ্ৰহ করিয়া, উষ্ট্রের উপর তুলিয়া লয় ; সেইখানে একজন সেথো আগে আগে পথ দেখাইয়া হিংলাজে লইয়া যায় । নগর ঠাট্টা হইতে হিংলাজ যাইতে পথি মধ্যে কোন গ্রাম পা ওয়া যায় না, যদ্যপি কোন স্থানে গ্রাম পাওয়া যায় তাহাতে কেবল মুসলমানের বাস করে, এবং পথি মধ্যে কেবল জঙ্গল এবং বালুকাময় মরুভূমি। নগরঠাট্ট হইতে হিংলাজ যাইতে এবং অাসিতে ১২ । ১৪ দিন লাগে, এবং পথি মধ্যে অত্য স্ত ক্লেশ হয়, অন্ন জল পাওয়া যায় না । যদ্যপি কেহ উষ্ট্রে চাপাইয়া জল না লইয়া যায় তাহ হইলে কষ্টের পরিসীমা থাকে না । সেই হিংলাজ তীর্থে যাইয়া যাত্রিরা কি দর্শন করেন ? একটা ছোট কুণ্ড আছে, এবং সেইখানে একটা মুসলমানের বৃদ্ধ স্ত্রীলোক বসিয়া আছেন। যে দিবস যাত্রিদিগের যাইবার সময় হয় সেই দিবস একট। প্রদীপ জ্বালাইয়া রাখে । দি ধারাত্র সেই প্রদীপ জ্বলিতে থাকে । সেই থানে যাঠয়া যাfএরা স্নান বিভূতি লইয়া মাখিযা সেই প্রদীপের জ্যোতিকে দশন করিয়া দান পুণ্য করিয়া আহারাদি করিয়া ওখান হইতে সিন্ধুদেশে চলিয়া অাইসেন, এবং হিংলাজ তার্থে যে পয়সা খাত্রিদের ব্যায় হয় তাহ নগরঠাট্ট। মই স্ত প্রথমে লন যে সেথে পথ দেখাইয়া লইয়া যায় সেই ব্যক্তিও কিছু লয় আর মুসলমান বৃদ্ধ স্ত্রীলোকটী কিছু লয়। অন্য অন্য প্রপঞ্চ অর্থাৎ মিথ্যা কল্পনাও করিয়া রাখে । শিবনারায়ণ কাহার সঙ্গে যান নাই, ষাইয়া সমস্ত দেখিয়া সিন্ধুদেশের মধ্যে হায়দার - বাদ সহরে ঘুরিয়া আসিলেন । হায়দারাবাদ হইতে রোড়িশঙ্কর সহরে যাইলেন । সেখান সাত ভেলা নামে নদী অাছে। তাহার মধ্যে একটী ছোট দ্বীপে একটা ঘর নিৰ্ম্মাণ করিয়া কতকগুলি ভেক ধারি সাধু আছেন। শিবনারায়ণ সেইখানে যাইলেন কি স্তু তাহাদের ভেকের সহিত শিবনারায়ণের মিল না করিয়া এ বং S এ কল৷ কথা বলিয়া হিন্দল। মন্দিন তুলিতে লাগিল । ASAM S TSAT AAAAS হওয়াতে একজন মোতাস্তের চেলা তাঙ্কাকে তাড়াইয়। দিল । শিবনারায়ণ নদী পার হইয়া ক্রমে ক্রমে মুলতান সহরে চলিয়া আসিয। দেখিলেন, যে মুলতান সূরের নিকট যে কেল্লা আছে তাহার মধ্যে মুসলমানদিগের বড় বড় মসজিদ আছে ও কেল্লার নিকটে হিন্দুদিগের একটা মন্দিরও আছে। সেই মন্দির মধ্যে প্ৰহলাদ ও মৃদামের এবং শ্ৰীকৃষ্ণের মূৰ্ত্তি স্থাপিত। সেই মন্দির পূৰ্ব্বে ছোট ছিল। এখন তিন্দুব তাছাকে বড় করিয়া নিৰ্ম্মাণ করাইতে লাগিল। তাহাতে মুসলমানেরা আসিয়া বাধা দিয়া বলিল, তোমরা বড় মন্দির তুলিও না, যত বড় আছে অত বড় থাকিতে দাও, যদ্যপি তোমাদেব মন্দির বড় কর তাহ হইলে আমাদের মসজিদ ছোট দেখাইবে । তোমরা আমাদের অপেক্ষা নিকৃষ্ট, আমরা তোমাদের অপেক্ষ উৎকৃষ্ট । তোমাদের পূজার স্থান ছোট হওয়া উচিৎ এবং আমাদের বৃহৎ হওয়া চাই । হিন্দুরা বলিল “যত দিন তোমাদের উপরে ঈশ্বরের রূপ ছিল ততদিন রাজ্য ভোগ করিয়াছিলে এবং বড় বড় মসজিদ তুলিয়াছিলে । টাকার জোর । এখন পরমেশ্বর আমাদের টাকা দিয়াছেন আমরাও বড় মন্দিব তুলিব।’ এই পবে অনেক মসলমান একত্র হইয়। মন্দিরে আসিয়া গব কাটিয়া একটা কপে ও মন্দির মধ্যে ঠাকুরের কাছে ফেলিয়া দিল এবং সেগা নে যত সাধু ছিল তাহাদিগকে ভয়ানক প্রস্তাব করিতে লাগিল । সাধুবা প্রচারে অজ্ঞান হইম পড়িল এলং সেখানে যাহা কিছু ছিল মুসলমানেরা তাচ কাড়িয়া কুড়িয়া লুঠিয়া লইল । এক জন স্ত্রীলোক সেই স্থানের মোহান্ত ছিলেন, তাহাকে কাটিয়া ফেলিবার জন্য মুসলমানেরা অন্বেষণ করিতে লাগিল । কিন্তু সেই স্ত্রীলোক প্রাণ রক্ষার জন্য একটা অন্ধকার ঘরের ভিতর প্রবেশ করিয়া দ্বার বন্ধ করিয়৷ ছিল বলিয়। তাহাকে ধরিতে পারিল না । এই সকল ঘটনার কিছুক্ষণ পরে হিন্দুরা শুনিতে পাইয়া গ্রাম হইতে দৌড়িয়া আসিল । এবং মুসলমানেরাও অধিক পরিমাণে জুটিয়া উভয় দলে মারামারি হইতে লাগিল । কিন্তু সেই দেশে ংি দুর ভাগ অতি অল্প এবং চিন্দুর। অতি ধীর প্রকৃতি সেহ কারণে মুসলমানেরা তাহাদিগকে অত্যন্ত প্রহার করায় হিন্দুদিগের মধ্যে হাহাকার রব উঠিল । সেখানে কোম্পানির পণ্টনের মধ্যে খবর হওয়াতে অনেক সিপাহী হিন্দুস্তানী এবং পঞ্জাবা আসিয়া মুসলমানদিগকে মার ধর করিয়া তাড়াইয়া দিয়া হিন্দুদিগকে রক্ষা করিল, এবং উভয় পক্ষে