পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাত্র ১৮১২ জাদালতে ফৌজদারী মোকদ্দমা চলিতে লাগিল । ভগলপুরের মুসলমান নবাব এই কথা শুনিয়া আপনার রাজ্য মধ্যে গ্রামে সহরে হিন্দু প্রজাদিগকে নানা ੋਂ কষ্ট দিতে লাগিলেন এবং গরু কাটিয়া হিন্দুদিগের দোকানে দোকানে টাঙ্গাইয়া দিতে চাকরদিগকে আজ্ঞা দিলেন। নবাবের হিন্দু চাকরদিগের বাসাতেও গোমাংস টাঙ্গাইয়া দিতে লাগিল । তাহাতে চিন্দ চাকরের চাকৰী ছাড়িয দেশে দেশে পলাইতে লাগিল। এ সকল কথা শুনি যা এবং সাহেব হাকিম আসিয়া নবাবকে তিবস্কার করিয়া বলিলেন “যদি তুমি এই রকম দৌরাত্ম্য কর তাহা হইলে তোমাকে গ্রে থার.করিয়৷ লাহোরে লইয়া যাইয়া কয়েদ কৰিব।’ পরে যে কি কি ঘটনা হইয়াছিল । তাহা শিবনারায়ণ জানেন না, কেনন। শিবনারায়ণ এই পৰ্য্যন্ত দেখিয়। সেখান হইতে লাহোর সলিয়া আদি লেন এবং পরে কি ঘটিয়াছিল তাহা তিনি জানেন না । শিবনারায়ণ স্বামী যখন সিন্ধু দেশ হইতে মুলতান প্রত্যাগমন করিতেছিলেন সেই সময় একজন শ্রীবৈষ্ণব ও সেই মুলতানে অtসিয়া স্বামিঞ্জীর সহিত একত্রিত হইলেন। তাহার স্কন্ধে বহু সংখ্যক ধাতু ও প্রস্তর নিৰ্ম্মিত ঠাকুর ছিল । সম্ভব, তদ্ব্যতীত তাহাব অন্যান্য বাসন ও বস্ত্র ইত্যাদি ছিল । সেই সকল দ্রব্যাদি ঘাড়ে করিয়া তিনি দেশে দেশে পয্যাটন করিতেন । সেই দুঃখ দেখিয়া শিবনালায়ণ র্তা তাকে সৎ উপদেশ দিতে লাগিলেন । কহিলেন হে মহাত্মা তুমি শুন এবং গম্ভীর ও শান্তভাবে বিচার করিয়া দেখ, তুমি যে ভেক ধবিয়াছ সেটা বোঝা ফেলবার জন্য না বোঝা ধারণ করিবার জন্য ? সাধু বলিলেন, হুঁ, বোঝা ফেলিবার জন্য ধারণ করিয়াছি । শিবনারায়ণ বলিলেন তবে তুমি অত বোঝা কেন বহিয়া কষ্ট পাইতেছ। উহার মধ্যে য। কিছু নিতান্ত দরকার তাঁহাই কেন রাখ না । সাধু বলিলেন যে भशब्राङ श्राभाई ব্যবহার্য্য থাল গেলাস বাটি লোটা কাপড় ইত্যাদি ইহাতে আছে। আর গুরু অামাকে যে সকল ঠাকুর দিয়াছেন তাহা এবং যে তীর্থে গিয়াছি সেইখানে ভাল ভাল ঠাকুর যাহা পাইয়াছি তাড়াও ইহাতে আছে। এখন গুরুদ্বারে যাব এবং এই সকল ঠাকুর তাছাকে দিব। শিবনারায়ণ বলিলেন গুরুকে সকল তীর্থের ঠাকুর দিবে ইহা ভাল কথা। কিন্তু বিচার করিয়া দেখ যে ঠাকুর কি বস্তু এবং তুমি কি বস্তু আর তুমি কি বস্তু হইয়া তুমি কোন বস্তু ঠাকুরকে পূজা করিতেছ। এই আকাশের মধ্যে এবং তোমার ভিতরে বাহিরে তোমা হইতে কোন শ্রেষ্ঠ বস্তু আছেন, মাপন। ওজনে ৩০ । ৩৫ সের হইবার জীবন চরিত অস্তলেতে তা তাকে না বিশ্বাস করিয়া ᎼᎸ হইতে যে শ্ৰেষ্ঠ হয় তাহার সংগ্ৰহ করিতে হয় এবং তাঙ্গকে পূজা করিতে হয়, কাবণ তিনি জ্ঞান দিবেন, ইহাতে তুমি মুক্ত স্বরূপ হইয়া পরমানন্দে আনন্দরূপ থাকিবে। আর এই যে বস্তু তুমি ঘাড়ে করিয়া বহিয়া কষ্ট পাইতেছ এত পিত্ত ল, তাম্র এবং পাথর, ইহাকে তো ঈশ্বর নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন কেবল তোমা, দের কার্য্য নিৰ্ব্বাহের জন্য । তোমা হইতে সে শ্রেষ্ঠ, না তুমি তাদের হইতে শ্রেষ্ঠ । তুমি সং অসং সকল বস্তুকে বিচার করিতেছ অতএব তুমি সংকে ধারণ কর এবং ভক্তি প্রীতি কর তাহ হইলে তুমি জ্ঞান পাইয়া মুক্ত স্বরূপ থাকিবে । সাধু বলিলেন মহারাজ, আমি এই ধাতু পাথরেতে কল্পনা করিয়া ভগবানকে পূজা করিতেছি। শিবনায়ণ বলিলেন হে সাধু, যখন তুমি এষ্ট জড় পদার্থতে ভগবানকে বিশ্বাস করিয়া পূজা কবিতে ছ তখন তুমি বিচার করিয়া দেখ যে তুমি প্রত্যক্ষ চেতন ষোলকলার পূর্ণ আছ--তুমি আপনাব অীর উণ্ট। ধাতুতে বিশ্বাস করিতেছ। যখন ধাতু জড় পদার্থতে তিনি আছেন | | l তখন তোমাতে কেন তিনি নাই ? আপনার মধ্যে বিশ্বাস কলিম। তাহাকে ভক্তি প্রীতি কর । সাধু বলিলেন যে আপনাতে যদি ও বিশ্বাস কবি তাত তইলে ও শুনিয়াছি জড়পদার্থ ইত্যাদি ও তো ভগবানের স্বরূপ। তাহাতে পূজা করিলাম তো কি শিবনারায়েণ ললিলেন যে তাহ বটে, যত বস্তু দৃশ্যমান আছে সকলি তো তাহার স্বরূপ এবং তুমি ও তো তাহারি স্বরূপ, কিন্তু বিচার কবিয়া দেখ যে যদ্যপি গঙ্গাজল ও নদীমার জল স্বরূপে একই পদার্থ, কেন না, গঙ্গাজল পান করিয়! সেই জল হইল । নির্গত হইলে নর্দমার জল হয় ও দুর্গন্ধ হয়, তাহা এক বলিয়। কি অামি তোমাকে সেই নদমার জল থাইতে বলিব ? নন্দমার জল খাইলে নানা প্রকার রোগ ইত্যাদি জন্মিবে । অতএব গঙ্গাজল পান করিতে বলিব যtহাতে তোমার কোন রোগ না জন্মায় এবং পিপাসা নিবৃত্ত হইয়া আনন্দিত থাক । আরও মাটি ও অন্ন ইত্যাদি ও লিষ্ঠ; একই পদার্থ, তা বলিযা কি তোমাকে আমি মাটি ও বিষ্ঠা আহার করিতে বলিব, ন। অন্ন অtহার করিতে বলিব ? মুখ ও চোর ডাকাইত ও পণ্ডিত মহাত্মা স্বরূপেতে একই কিন্তু ত৷ বলিয়া কি মূর্থ ও চোর ডাকাইতের কাছে তোমাকে রাখিব, যাহাতে চোব ডাকাতের মতন বৃদ্ধি হবে ও কষ্ট পাবে, না জ্ঞানি পণ্ডিত ও মহাত্মার কাছে রাখিব, মাহাতে তাহারা সংবুদ্ধি দিবেন সংপথে লইয়া যাইবেন । যাহাতে তোমার শ্রদ্ধা ভক্তি হইয়।