পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০২

?ab~ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা , २२ रुघ्न, २ छों★ा - بــالـ ইবার জন্য অসামান্য উৎসাহ ছিল । এইরূপ শ্রদ্ধাবান উৎসাহী পুরুষের জ্ঞানকে কার্য্যে খাটাইবার উপায় আবিষ্কার করিয়া যান, তাহার পরে তাহাদের অনুপন্থীর তদনুসারে পুনঃপুনঃ কাৰ্য্য করিয়া অভীষ্ট কার্য্যে অসাধারণ নিপুণতা লাভ করেন। এইরূপে জ্ঞানের সহিত যখন কাৰ্য্য-দক্ষত৷ মিলিত হয়, তখনই জ্ঞান বিশিষ্টরূপে | শক্তি-নামের যোগ্য হয় । এই যে, বিজ্ঞানই কেবল জ্ঞান-নামের যোগ্য, বিশুদ্ধ-জ্ঞান-রূপী যে আত্মা, তাহা কিছুই নহে। ইহাদের মুখের কথাতেই প্রমাণ হইতেছে যে, ইহারা বিজ্ঞানের সবিশেষ পক্ষপাতী । কিন্তু পক্ষপাতকে আমরা অত্যন্ত ডরাই — এজন্য পারংপক্ষে নের পক্ষে হইয়া আত্মাকে নীচু করিতেও আমাদের প্রবৃত্তি হয় না—তাত্মার পক্ষে হইয়া বিজ্ঞানকে নীচু করিতেও আমাদের প্রবৃত্তি হয় ন| | বিজ্ঞানের সহিত কাৰ্য্য-দক্ষতা মিলিত হইয়। যেমন সাংসারিক শক্তি পরিস্ফুট হয়, সেইরূপ বিশুদ্ধ জ্ঞানের সহিত, অথবা যাহা একই কথা—তাত্মার সহিত, কাৰ্য্যদক্ষতা মিলিত হইয়া আত্ম-শক্তি পরিফুট হয়। ফরাসীস্ বিজ্ঞান-বেভা কমটি মনুষ্যত্বনামক একটা আবছায়া মূৰ্ত্তিকে ঈশ্বরের স্থলাভিষিক্ত করিয়াছেন। তাহার সে মনুষ্যত্ব কতকগুলা মৃত মনুষ্যের সমষ্টি— তাহার শক্তি কি তার থাকিবে ? কিন্তু যদি জাগ্রত জীবন্ত মনুষ্যত্ব দেখিতে চাও তবে তাহু! তোমার অন্তরে বিরাজমান; প্রতি জ এখানে এই সত্যটি সা- ৷ স্থাপন করাই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য যে, । জীবন্ত মনুষ্যত্ব ; কমৃটির ও-মনুষ্যত্ব এবং : আমাদের এ-মনুষ্যত্ব দুয়ের মধ্যে আকাশ পাতাল প্রভেদ। কমৃটির মনুষ্যত্ব কি রূপ ? না যেমন সেনার সেনাত্ব ; সেনারাই যুদ্ধ করে—সেনাত্ব কিছুই করে না । আমাদের মনুষ্যত্ব কি রূপ ? না যেমন সেনার সেনাপতি ; সেনাপতির অধ্যক্ষত৷ ব্যতীত সেনা যুদ্ধ করিতে পারে না—আ স্মার অধ্যক্ষত। ব্যতীত কোন ব্যক্তিই মনুঅধুনাতন কালের প্রধান একটি ভ্রম য্যোচিত কাৰ্য্য করতে পারে না। অামাদের অভ্যন্তরস্থিত বিশুদ্ধ জ্ঞানকেই আমরা বলি—আহ্বা ; তাত্মাই জীবন্ত মনুষ্যত্ব—আত্মাই পরমাত্মার অনুকৃতি । ইহা যেমন সুনিশ্চিত যে, বিজ্ঞানকে যিনি যত কাৰ্য্যে খাটাইতে পারেন তিনি তত সাংসারিক শক্তি উপার্জন করেন, ইহাও আমরা তাহার ত্রিসীম। মাড়াই না । বিজ্ঞা- তেমনি নিশ্চিত যে, বিশুদ্ধ জ্ঞান-রূপী তাহ্লাকে মিমি যত কার্স্যে খাটাইতে পারেন তিনি তত আধ্যাত্মিক শক্তি উপাজ্জন করেন । o জাহাজ চালাইতে হইলে সৰ্ব্ব-প্রথমে সমুদ্র-পথের একটি সমীচীন আদর্শ-লিপি প্রস্তুত করা আবশ্যক। সেইরূপ বিশুদ্ধজ্ঞানকে কার্য্যে খাটাইতে হইলে সৰ্ব্বপ্রথমে সমীচীন একটি আদর্শ অবলম্বন করা আবশ্ব্যক । পরমাত্মাই আত্মার সমীচীন আদর্শ। সমুদ্র-পথও যেমন নিজীব; তাহার অাদর্শ-লিপিও তেমনি নিজীব, কিন্তু পরমাত্মা জীবন্ত আত্মার জাগ্ৰত জী বন্ত অাদর্শ। জীবন্ত শরীরের অভ্যন্তরেই আমরা জীবন্ত মনুষ্যকে সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করি, সেইরূপ জীবন্ত আত্মার অভ্যন্তরেই আমরা জীবন্ত পরমাত্মাকে সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করি । একজন মনুষ্যকে চিন্ত করা স্বতন্ত্র এবং তাহাকে নের বিশুদ্ধ জ্ঞানই—প্রতি জনের আত্মাই— সাক্ষাৎ উপলব্ধি করা স্বতন্ত্র,—তাহাকে