পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'ంపి তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ०२ कब्र, २ ङ ग्रं us উভয়ের মধ্যেই নীতির মূল মন্ত্রে সমান বিশ্বাস দেখা যায় । কার্য্যক্ষেত্রে নীতির বিলক্ষণ বিভিন্নত। পরিলক্ষিত হইলেও যদি তাহার কারণ অন্বেষণে প্রবৃত্ত হওয়া যায় তবে দেখিতে পাই যে মনুষ্যমাত্রেরই অন্তরে নীতির মূল-মন্ত্রের সত্ত্ব বিদ্যমান রহিয়াছে । কোন এক কার্য্যের ন্যায্যতা সম্বন্ধে স্থিরনিশ্চয় হইবার পূর্বের্ব আমরা সেই আদর্শের সহিত কার্স্য বিশেষ মিলাইয়া লই । এই মিলনের জন্য একটা ○ | স্বতন্ত্র প্রক্রিয়ার আবশ্যক হয় না । তামা- ৷ রদের প্রত্যেক বিশেষ কাৰ্য্য সেই মূল অাদর্শের অন্তভূত “রামকে মারিব কি ন|” এই অভিপ্রায় কার্ষ্যে পরিণত হইবার পূর্বেই নীতির মূলমন্ত্র অন্তর্দেশ হইতে বলেন যে “নিরপরাধে কাহাকে প্রহার করা উচিত নয় ।” মনুষ্যের কার্য্যমাত্রই যে নৈতিক কৰ্ম্ম তাছা নহে । তাহাদিগকে তিন ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে, যথা শারীরিক মানসিক ও নৈতিক । ব্যায়াম ভ্রমণ সন্ত য়ু ॥র চক্ষে দর্শন করে । হইয়। প্রকাশ পায় । , -T ইয়া জানিতে পারা যায়। ভাবে (fooling) জানা যায় না । কার্য্যের যৌক্তিকতা যেমন আমরা আপনা হইতে বুঝি, তেমনি আবার ইহার যাথার্থ্য পরীক্ষার অন্যতম উপায় আছে । যাহা আমার নিকট ন্যাঘ্য তাহা জনসমাজের নিকট ও ন্যায্য । যাহা আমার নিকট হেয় তাহা সকলেরই নিকট o হেয় । রাজা অন্যায্য কৰ্ম্মের জন্য দণ্ডবিধান করেন ; জনসমাজ তাদৃশ কার্য্যকে তবে তা ন্যায্য । কার্যোর গুরুত্ব সম্বন্ধে তারতম্য আছে । যাহ। বিশেষ ছানিজনক তাহার জন্য রাজদণ্ড উত্তোলিত রহিয়াছে, যাহা সমাজের পক্ষে তাদৃশ ভয়াবহ নহে তাহাই ঘৃণার কটাক্ষে পরিলক্ষিত হয় । নীতিশিক্ষা ও হিতাহিত জ্ঞান-শক্তির শিক্ষা দুইটি স্বতন্ত্র পদার্থ, হিতাহিত জ্ঞান শক্তি আশৈশব মনুষ্যে রহিয়াছে। নীতি শিক্ষা অর্থে নীতির মূল মন্ত্রগুলিকে কার্য্যে পরিণত করা বুঝায়, ইহাই ব্যক্তিগত চেষ্টার ফল । নাচ প্রকৃতি ও লিকে দমন করিয়া উহাদিগকে হিতা রণ শারীরিক ; মনোযোগ তর্ক স্মৃতি ই- . ত্যাদি মানসিক কৰ্ম্মের অন্তভূত। তাবার শারীরিক ও মানসিক কার্য্য অবস্থাভেদে ! নৈতিক কার্স্যে পরিণত হইতে পারে । পোত নিমজ্জনোমুখ দেখিয়া যদি সন্তরণ করিয়া পোতারোহিদিগকে রক্ষা করিবার প্রয়াস পাই তবে তাহা নৈতিক কাৰ্য্য ভিন্ন আর কিছুই নহে। অামারদের নীতি সম্বন্ধীয় কার্য্যগুলিকে ভাল বা মন্দ না বলিয়া যৌক্তিক বা অযৌক্তিক, ন্যান্য ব। অন্যায্য বলাই উচিত। কেন না ঘোঁক্তিকতা অযৌক্তিতা নিরূপণ জ্ঞানপ্রসূত ভাব-প্রসূত নহে। যৌক্তিকতা জ্ঞানে অথবা মূল আদর্শের সহিত মিলা | | | ভিন্ন তার কিছু বুঝায় না। হিত জ্ঞানের অধীনে অনিয়ন করা । হিতা হিত বিবেচনা অর্থে আদর্শের সহিত বি শেষ কাৰ্য্য বা অভিপ্রায় মিলাইয়া দেখা মনুষ্য নান প্রকার দৃশ্রবৃত্তি ও সুপ্রবৃত্তির মিলন ক্ষেত্র ইহা স্বর্গ ও নরকের একাধার। সুপ্রবৃত্তি আমাদিগকে এক পদ অগ্রসর করিতে চেষ্টা করিতেছে, আবার দুষ্প্রবৃত্তি তৎক্ষণাৎ শত পদ পশ্চাতে লইয়। যাইবার অবসর অন্বেষণ করিতেছে । মনুষ্যের মন দেবাস্থরের যুদ্ধ অবিরাম চলিতেছে। মনুষ্যের প্রত্যেক কাৰ্য্যই এরূপ বিভিন্নমুখী ক্ষমতার ফল । সুপ্রবৃত্তি দ্বারা দুষ্প্রবৃত্তি সকলকে দমন করিতে পারিলে মনুষ্য