পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्राचिन ०५४० আপনার দেবভাবে পরিচালিত হইতে পারেন । দুষ্প্রবৃত্তি সকল যদি তামারদের উপর প্রভুত্ব খাটাইতে না পারিত তবেইত হিতাহিত জ্ঞানের রাজত্ব অন্তরে সুপ্রতিঠিত হইত। সেই জন্য মনুষ্য একরূপ . বুঝিয়াও দুষ্প্রবৃত্তির কুচক্রে অন্যরূপ করিয়া বসে | হিতাহিত-জ্ঞান ও হিতাহিত বিবেচনা এই দুই বিময় লইয়া আলোচনা করিলে দেখিতে পাই যাহা প্রকৃতরূপে ন্যায্য কেহই তাহাকে অন্যায়ের শ্রেণী মধ্যে পরিগণিত করিতে পারেন না । বরং লোকের মধ্যে কোনটি ন্যায় তাহা অপেক্ষা কোনটি অন্যায় তাহা লইয়া বহুল পরিমাণে মতভেদ পরিলক্ষিত হয় । মলুঘ্য প্রবঞ্চনাকে ক্ষমা করিতে পারে কিন্তু ন্যায় নীতি পরতাকে ঘৃণা করিতে পারে না ! নিষ্ঠর প্রতিশোধকে প্রশংসা করিতে পারে কিন্তু ক্ষমা ও মহত্ত্বকে তাহা তাপেক্ষ অধিক মূল সত্যে মত্বম্যের মতদ্বৈধ নাই, কিন্তু কার্য্যে তাহার প্রয়োগের বিভিন্নতা অাছে। তাহার কারণ এক প্রকার পূর্বেই কথিত হইয়াছে, যে মনুম্যের অন্তরে এরূপ কয়েকটি দুষ্প্রবৃত্তি আছে যাহারা হিতাহিত জ্ঞানের সহিত সৌহাদে কাৰ্য্য করিতে প্রস্তুত নহে । স্বার্থপরতা, হিংসা ইহা দের অগ্রণী। ইহারা মনুষ্যকে ভ্রান্তিপূর্ণ । সিদ্ধান্তে আনয়ন করে। পৃথিবীতে এরূপ : ব্যক্তি অতি বিরল, র্যাহার হৃদয়তন্ত্রী গুলিকে হিতাহিত জ্ঞানানুমত করিয়া বাধিয়া লইতে পারেন । আবার নীতির মূল মন্ত্র সম্বন্ধে মতদ্বৈধ না থাকিলেও বর্তমানে আমার কর্তব্য কি তাহা লইয়া গোলযোগ উপস্থিত হয় । যেমন কোন বলিষ্ঠ ভিক্ষুক ভিক্ষার্থ দ্বারদেশে উপস্থিত ১০৩ হইলে আমর। কখন বা তাহাকে ভিক্ষা প্রদান করি, কখন বা আলস্যের আশ্রয় দান বিবেচনায় তাহকে শূন্তহস্তে ফিরাইয়। দিই তথচ দানকে ঘৃণা করি না । আমারদের এমন দুর্বলতা আছে, যাহা আমাদিগকে সহিষ্ণুভাবে বিবেচনা করিতে দেয় না, বিশেষ বিবেচনার পূর্বেই আমরা তাপন হই, জ একদিকে নীয়মান হই। এ ভ্ৰম কুসংস্কার হইতে উৎপন্ন । স্বাধীন ভাবে যুক্তি অবলম্বন না করিয়৷ ভ্ৰমে পতিত হওয়া অস্বাভাবিক নহে । সমাজের মধ্যে যে সকল ভ্রম ও কুসংস্কার বিদ্যমান রহিয়াছে তাহ। আপনাপন যুক্ত তর্ক সম্বন্ধে নিশ্চেষ্টতার ফল ভিন্ন আর কিছুই নহে। ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে অমূলক বিশ্বাস অামারদের হৃদয়কে এরূপ বিমোহিত করিয়া রাখে যে তাহার কোন সারবত্ত। না থাকিলে ও আমরা সহজে তাহাদিগকে বিদায় দিতে পারি না । পুৰ্ব্বে যখন নরবলি প্ৰ ছিল তখন যদি সেই দুর্ভাগ্য নর দেবতার সম্মুখে ঘাতকের হস্ত হইতে কোনরূপে পলায়ন করিতে পারিত, তবে ঘাতক পুজক ও দর্শকরন্দের ক্ষোভের সীমা থাকিত না । বর্তমানেও ঈদৃশ অযথা অসত্য হাস্যাম্পদ ধৰ্ম্মবিশ্বাসের অপ্রাচুর্য্য নাই । এই সকল কারণে নীতির মূলসত্যে ও আচরণে এত প্রভেদ ও হিতাহিত জ্ঞানের স্বাভাবিকত্ব সম্বন্ধে এতদূর সন্দেহ । দুষ্ট প্রবৃত্তি দমন ভিন্ন স্থনীতির অপরাজিত রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হইবার সম্ভা হিতাহিত জ্ঞানের আদেশে পরিচালিত হইতে শিক্ষা করিবে ততদিন শান্তির রাজ্য সংস্থাপনের কালবিলম্ব হইবে। মনুষ্য হিতাহিত জ্ঞান-বিশিষ্ট জীব— ‘ লত o * ==