পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিক २२ र छ, २ टोण মনুষ্যের কার্য্যই কেবল হিতাহিত বিবেচনার ফল। মনুষ্য যতদূর স্বাধীন জীব ততদূর তাহার দায়ীত্ব আছে। যতদূর তাহার স্বাধীন ইচ্ছা আছে সে প্রাণীজগতের রাজা । কার্য্যাকার্য্যের উপর তাহার স্বাধীনতা না থাকিলে হিতাহিত জ্ঞান একথা আসিত না । ইতর প্রাণীরা অাহার বিহার লইয়া ব্যতিব্যস্ত এবং উহার স্বীয় প্রবৃত্তির অধীন । কিন্তু ব্যক্তিগত কাৰ্য্য জ্ঞান ও ইচ্ছাপ্রসূত। নীতিশাস্ত্র ব্যক্তিগত কাৰ্য্য লইয়া আলোচনা করে । মনুম্যের প্রতি মনুয্যের ব্যবহার নীতি বিলক্ষণ আন্দোলন চলিতেছে । মারদের বাধা পদে পদে বিস্ত্র । চারিদিকে অামারদের শত্র । অন্তরে শক্রদল বা হিরে শক্রদল আমাদিগকে ঘেরিয়া রহি- : য়াছে । সংসার পথের প্রতি পদবিক্ষেপে । তামারদের বিপদের সম্ভাবনা । এরূপ ভয়ানক তাবস্তায় পতিত হইয়া কি আমর কেন ধ্রুবতারার উপর দৃষ্টি স্থির রাখিয়। তা গ্রসর হইব না ? তপস্থার দাস হইয়। কি রসাতলের দিকে তা গ্রসর হইতে থ|কিব ? অামারদের কি এখানে কোন সঙ্গা নাই, কোন হৃদয়বন্ধু নাই, যিনি বিপদের কাণ্ডারা হইয়৷ এই প্রবল তর ঙ্গের মধ্যে মন-তরির হাল ধরিতে পা- ৷ নিনি কৰ্ত্তব্য পথে ন্যায় পথে তামাদিগকে বিচরণ করিবার উপদেশ দেন ? ঐ সে অন্যায় কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হইনার পূৰ্ব্বে কে আমাদিগের পৃষ্ঠে কশাঘাত করিয়া আমাদিগকে সচকিত করেন? কে স্যায় অন্যায়ের তোলদণ্ড অামারদের রেন ? --- -------ح------------- o سی-f + . স্থাপন করি । শাস্ত্রের আলোচ্য বিষয় হইলে ও ইহ। পশু । পক্ষীর প্রতি সঙ্গত ব্যবহারের প্রতি উদা- . দিগকে আমরা মৰ্ত্ত্যের জীব | পদে পদে তা- ৷ সম্মুখে ধারণ করিয়া কাৰ্য্যাকাৰ্য্য সম্বন্ধে পরামর্শ দান করিতেছেন ? কে আত্মপ্রসাদ বিতরণ করিয়া নিজীব হৃদয়ে উৎসাহানল প্রজ্জ্বলিত করিয়া দিতেছেন ? আমরা যেন এমন ইষ্টদাতা সদগুরুর পরামর্শ অবহেলা করিয়া উদাম ভাবে সংসারে । বিচরণ না করি । সকল অবস্থাতে সকল বিষয়ে সকল কার্য্যে এমন হিতৈষী বন্ধুর আদেশ পালনে দৃঢ়ব্ৰত হই। নাচ প্রবৃত্তি সকলকে দমন করিয়া একমাত্র হিতাহিত জ্ঞানের পরিচালনায় আপনাকে অতুল প্রভাব নরপতি ঘেমন আপনার প্রতিনিধি প্রেরণ করিয়৷ দূরস্থ প্রদেশের শাসন কাৰ্য্য নির্বাহ করেন, তেমনই সকল জগতের রাজা মনুষ্যশাসনে রাখিবার জন্য কৰ্ত্তব্য জ্ঞানকে তান্তরে নিহিত করিয়া দিয়া সকলকে ধৰ্ম্মের দিকে তাকর্ষণ করি তেছেন । তামের ন্যায়ের রাজ্যে পদচারণা করিতে গিয়। যেন সেই ন্যায়রাজ্যের রাজাকে বিস্তুত ন হই । ঈশ্বরকে ছাড়িরা দিলে ন্যায় স্বার্থপরত। হইয়া ঈশ্বরকে ধরিয়৷ থাকিলে ন্যায়ের অর্থ থাকে তস্মিন প্রতিস্তস্য প্রিয়কাৰ্য্য সাধনপঃ তদুপাসনমেব ।” জগতের কর্ভাকে প্রীতি করা ও তাহার প্রিয় কার্স্য সাধন করাই তাহার উপাসনা। তাহাকে প্রীতি করিবার বিভিন্ন পথ থাকিলেও তাহার প্রিয় কার্য্য সাধন সম্বন্ধে কাহার ও মতদ্বৈধ নাই ! পুথিবীতে নানা প্রকার ধৰ্ম্ম প্রণালী প্রচলিত থাকিলেও তাহার অনুমোদিত প্রিয়কার্স্য সম্পাদন লইয়াই মলুস্যের মধ্যে ঐক্য স্থাপিত হইতে পারে এবং এই পড়ে । প্রিয় কাৰ্য্য লইয়। সকল ধৰ্ম্মাবলম্বীরা পরস্পরকে প্রীতির অহলানে সম্ভাষণ করিতে