পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه د حد }ه }TN:2 করিয়া ফেলিয়াছি, এইজন্য তিনি ধরা দিলে আপনার মোহে তাহাকে ধরিতে পারি না । তিনিত স্বয়ংপ্রকাশ, তথাপি আমরা তাহাকে স্বষ্টির মধ্যে অনুভব করিতে পারি না । আমরা দেখিতেছি, শরীরের সঙ্গে ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে বাহ্য জগতের যতটুকু যোগ, তাঁচা হইতে সহজে ঈশ্বরের অস্তিত্বে উপ স্থিত হইবার একটু গোলযোগ রহিয়াছে । , ইন্দ্রিয়গণ যে সকল উপাদান বৃদ্ধির সমক্ষে আনয়ন করে ও বৃদ্ধি যাহা কিছু নৈসর্গিক ক্ষম তা প্রভাবে উচাদিগকে লোমন্ত্রন করে, তাছার মূলে কাম কারণের স্বাভাবিব ত্ব অন্যতম । হাজ বলি উনবিংশ শতাব্দির জ্ঞানগরিমাপূর্ণ আস্ফালনের মধ্যেও সহজজ্ঞানের তস্তিত্ব সম্বন্ধে কেচষ্ট বিশিষ্ট্ররূপে সন্দিহান হইতে পারেন নাই । বাহা জগতের তা স্তিত্ব, কার্স কারণের অস্তিত্ব এইরূপ কয়েকটি স্বতঃসিদ্ধের ভিত্তির উপর । সৰ্ব্বজনী কুত বিজ্ঞান দর্শনের স্ব প্রকাণ্ড অট্টালিকা বিনি"ি ত রহিয়ছে । কার্স্য থাকিলে ভাবশ্যই তাহার কারণ অাছে, এ বিষয়ে আর কার 2 সন্দেহ উপস্থিত হইতে পারে । কিন্তু এই একটা সমান মুল সত্যের উপর দুর্গম বিজ্ঞান শাস্কের আদ্ধেক বা ততোধিক তত্ত্ব নির্ভর করিতে ছে । বৃদ্ধি যতই আলোচনা করিতে থাকে, স্বষ্টি কৌশলের সৃক্ষতত্ত্ব যতই অন্বেষণ করিতে থাকে, আপনাকে ও আপনার নিয়তি যতই তাহার আন্দোলনের বিষয় হয় ততই সে ঈশ্বর হইতে আর দূরে থাকিতে পারে না । সে তাহার অস্তিত্বে সকল রহস্যের বিশদ মীমাংসা দেখিতে পায় । সকল কুট প্রশ্নের যথার্থ তত্ত্ব অবগত হইতে থাকে । সে তখন প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করে যে তাহাকে ছাড়িলে পুথিলী লক্ষ্যশূন্য, অর্থশূন্য, ভ্রম প্রমাদ পরিপূর্ণ এক এক{ও প্রহেলিকা ৷ ঈশ্বর লাভ a জ্ঞানের মীমাংসা পরিমিত হইতে পারমিত পদার্থে (যেমন "মনুষ্য মাত্রেই মরণশীল, শ্যাম মনুস্য অতএব শ্যাম মরণশীল’)। দ্রপ্য হইতে দ্রব্যান্তরে, বিষয় হইতে বিষয়ান্তরে মৰ্ম্ম অবগত হইতে হইলে অবশ্যই দর্শনশাস্থের সাহায্য আবশ্যক । কিন্তু স্পন পরিমিত হইতে অনন্তের তত্ত্ব অবগত হইতে হইবে তখন আর দর্শন শাস্ত্র কি করিলে ? দর্শন শাস্ত্রের সকল শ-ই বার্থ হইয়৷ গেল । ত চার কি সধ্য সে তাচ কে অনন্তের সমীপস্থ করে । বরং দর্শন শাস্ত্রের উপর অসথা নির্ভর করিলে, বুদ্ধির বিকৃতি سیم উপস্থিত হয় । দর্শন ও ব্যবহারিক শাস্ত্র এছই প্রতিপন্ন করে সে সেই অমৃতময় অনন্তদেবের রাগও আছে, দ্বেষ ও অাছে, পক্ষপাতিত তাছে, তাহার সঙ্গে যোগ নিবদ্ধ করিতে হইলে মধ্যবত্তিতার প্রয়োজন হয়, তা চার সঙ্গে একেবারে সাক্ষৎকার লাভ কর। মনুমোর পক্ষে সারপর নাই অসম্ভব । এইরূপে যখনই মনুস্য আপনার ‘বুদ্ধির উপর অন্যায্য নির্ভর স্থাপন করিতে যায়, তখনই আপনার চক্রে আপনি পতিত হইয়। শোচনীয় অবস্থায়, নিরাশার কুপে এককালে নমজ্জিত হয় । উদ্ধারের তার কোন উ পায় থাকে না | এই রূপে প্রতিপন্ন হইতেছে বা ইন্দিয় মন বা বুদ্ধি ইহারদের মধ্যে কেহই ঈশ্বরের পথের সুপটু নিয়ামক নহে । ইহারা কেবল ঈশ্বরের অস্তিত্বের দিকে অজুলি নির্দেশ করিতে থাকে। প্রকৃত র্তাহার সমীপবর্তী করিতে পারে না । তাছাকে জানিতে হইলে ইন্দ্রিয়গণকে রিপুকুলকে স্বশাসিত করতে হইপে, মন হইতে পাপচিন্তাকে নির্মানিত করিতে ছইবে । রাগাদি বিসয় ব{{পার হইতে মনকে প্রতিনিবৃত্ত করিতে পারিলে, তবে ঘে শরীর