পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృంు তত্ত্ববোধিনী পত্রিক १२ कह, २ टाण পাওয়া যাইতেছে । আবার, প্রমাণের ঐ দুইটি সোপান-পংক্তির একটিকে ছাড়িয়া আর-একটি কোন কার্য্যেরই নহে ; প্রমাণের পক্ষে দুইটিই সমান অপরিহার্ঘ্য । মনে কর যেন আমরা স্পষ্ট করিয়া দেখা- ৷ ইলাম যে, ইন্দ্রিয়-গ্রাহ্য বিনয়-মাত্রেরই সঙ্গে তাত্মাকে জানা চাই ; কিন্তু আল্লা নিজেই যদি ভৌতিক বলিয়া—ইন্দিয়গ্রাহ্য বলিয়—জ্ঞানে উপলব্ধি-গম্য হয়, তবে এ কথার কোন তার দাড়াই পরি স্থান থাকে না যে, কেবল-মা ত্ৰ ইন্দ্রিয়ের বিসয় জ্ঞানের বিসয় হটতে পারে না । তেমনি তা বার মনে কর যেন আমরা স্পষ্ট করিয়। দেখাই লাম যে, তা হ্লা ভৌতিক বলিয়া – ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য বলিয়া জ্ঞানে উপলব্ধি-গম্য নহে ; কিন্তু তাহার সঙ্গে এটাও যদি ন সত্য হয় যে, ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য বিষয় সকলের সঙ্গে আত্মাকে না । জানিলেই নয়—তাহা হইলে ও এ কথার হইতে ইন্দ্রিয়ের বিনয় জ্ঞানের বিময় prom e ) আমাদের এখানকার ধ্রুব সিদ্ধান্ত —এখানে দুইটিই রাতি-মত প্রমাণ প্রয়োগ দ্বারা ধ্রুব-রূপে সংস্থাপিত হইয়াছে ; এজ্যই বলি যে, ড়েয়ে মিলিয়া বৰ্ত্তমান সিদ্ধান্তের একটি অকাট্য প্রমাণ—তদ্ভিন্ন তাহার দ্বিতীয় প্রমাণ নাই । দশম প্রতিপক্ষ সিদ্ধা স্ত ॥ ১ ॥ “শুদ্ধ কেবল ইন্দ্রিয়ের বিষয়ই জ্ঞানের বিষয় হইতে পারে—তদ্ভিন্ন আর কিছুই জ্ঞানের বিষয় হইতে পারে না। যাহা কোন-না-কোন সময়ে ইন্দ্রিয়া ভ্যন্তরে স্থান পাইয়াছে, তাহাই কেবল জ্ঞানের অভ্যন্তরে স্থান পাইতে পারে। একা কেবল ইন্দ্রিয়ই জ্ঞেয় বস্তুকে জ্ঞানাভ্যন্তরে উপস্থিত করিতে পারে ।” আমাদের চিরা ভ্যস্ত আপামর-সাধারণ-সুলভ অশাস্ত্রীয় চিন্তার সহিত এই প্রতিপক্ষ সিদ্ধান্তটির খুবই মিল খায় । লাইবনিটজের প্রতিষেধ-বাক্য ॥ ৬ ॥ লক্ নামক দর্শন-কারের একটি প্রসিদ্ধ ለዚ বচন এই নে, “পূৰ্ব্বে যাহা ইন্দ্রিয়াভ্যন্তরে ছিল না— এরূপ কোন কিছুই জ্ঞানের তা ভ্যন্তরে স্থান পাচতে পার ন} |” তাহার । প্রত্যুত্তরে লাইবনিট্রজ বলিলেন –“জ্ঞান = ` ত।পনি ব্যতাত’ অর্থাৎ জ্ঞান নিজে ইন্দ্রিয়ের বিসয় নহে । লাইবনিট্‌জের এই কথাটির টাক। অবশ্যক। লাইবনিটুজ যদি আমাদের ন্যায় ললিতেন মে, ইন্দ্রির-গ্রাহ্য লিসয়-সকলের সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান আপনাকে আপনি জানিতেই চায়, তার ঘদি তিনি দেখাইতেন নে, জ্ঞান আপনাকে ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য বলিয়া উপলব্ধি করিতে পারে না, কোন অর্থ থাকে না যে, কেবল মাত্র । তবে তাহার উপর আর ক হারো কোন কথা চলিতে পারিত ন— ছয় তে। তাপারে না । কিন্তু ঐ দুইটি অধিকরণই । (অর্থাৎ প্রমাণের অলঙ্ঘনীয় সোপান-পং দ্য । تجد হাই তাহার মনোগত তা ভ &ায় ; কিন্তু বাস্তবিকই যদি তাহাই তা হার মনোগত অভিপ্রায় হয়, তবে তাহার ভিতরের ভাবটি যেমন—তাহার কথাটি তাহার ঠিক্‌ উপযুক্ত হয় নাই । তিনি কেবল বলিতেছেন যে, জ্ঞান আপনি ভিন্ন আরকোন-কিছুই ইন্দ্রিয়ের দ্বারস্থ না হইয়। জ্ঞানাভ্যন্তরে স্থান পাইতে পারে না । এ কথাটিতে কিছু আর এরূপ বুঝায় না যে, জ্ঞান আপনাকে ইন্দ্রিয়-গ্রাহ বলিয়া উপলব্ধি করিতে পারে না, আর, এমনও বুঝায় না যে, কেবল-মাত্র ইন্দ্রিয়ের বিষয় একাকী জ্ঞানাভ্যন্তরে স্থান পাইতে পারে না । “জ্ঞান আপনার অভ্যন্তরে আপনি আছে” শুদ্ধ এই কথাটিতেই আমাদের