পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रांदिन २४*० ساحت-سیت বিজ্ঞানী বলেন যে, আমাদের সমস্ত জ্ঞানই যে, ইন্দ্রিয়-দ্বার দিয়া আসে, এ কথা সত্য নহে ; কিন্তু এটা নিশ্চিত যে, বিশেষ এক জাতীয় জ্ঞান শুদ্ধ কেবল ঐন্দ্রিয়ক উপরাগ ভিন্ন আর কিছুই নহে; ই হাদের অভিপ্রায় এরূপ নহে’ যে, ঐন্দ্রিয়ক উপরাগ উক্ত । . “বিশেষ এক জাতীয় জ্ঞানের” আশিক উ- ক্রমেই বাধায়ক্ত হইবার নহে তাহ পাদান—ই হাদের মতে ঐ-জাতীয় জ্ঞানের । সৰ্ব্বাংশই ঐন্দ্রিয়ক উপাদানে পরিগঠিত। প্রতিপক্ষ সিদ্ধান্তটির ব্যাপ্তিকে এইরূপে । সীমাবদ্ধ করিলে কতক অংশে উহার প্রতিপাদ করা হয় বটে কিন্তু তেমনি আবার কত , তা শে উহাকে অনুমোদন ও করা হয় ; ইহাতে তাহার স্ববিরোধিতার তিল মাত্র ও উপশম হয় না । সকল রোগের মূ ল ৷ ৮ ৷৷ পূৰ্ব্বতন তত্ত্বজ্ঞেরা জ্ঞান এবং ইন্দ্রিয় এ দুয়ের মধ্যে যেরূপ প্রভেদ নিরূপণ করিয়াছেন, এবং গতির পক্ষে নিতান্তই প্রয়োজনীয় ; এখন কার দর্শনকারেরা সেই প্রভেদটিকে একেবারেই উড়াইয়া দে’ন—ইহাই সমস্ত রোগের তত্ত্ব-জ্ঞানক্ষেত্রে দ্বিতীয় এমন একটি গুরুতর প্রভেদ নিরূপিত হইয়াছে কি ন সন্দেহ । এই জন্য প্রভেদটির কালে কালে যেরূপ ভাল মন্দ গতি ঘটিয়াছে ও তাহাকে গোলে ফেলাতে যেরূপ নানা প্রকার জটিল তর্কবিতর্কের তুমুল কোলাহল দেশময় পরিব্যাপ্ত হইয়াছে, তাহার একটি ইতিবৃত্ত এখানকার স্থানোচিত ; বিশেষত যখন—সমস্ত দার্শ মূল । নিক টাকা ও ভায্যের মূলসূত্র বাহির কথায়—একটা পাগলামি কাপ্ত। ইন্দ্রিয়— করিয়া দেখানো বর্তমান সংহিতার প্রধান । একটি সংকল্প । ওীস্ দেশীয় দর্শনকারদিগের উদ্দেশ্য এবং তাহার সাধন প্রণালী ॥ ৯ ॥ ইতি পূর্বে আমরা একস্থানে বলি দৰ্শন-সংহিতা—জ্ঞানতত্ত্ব তাহা তত্ত্বজ্ঞানের স্তব্যবস্থা । কিছু ృC) | Γηπhi-" য়াছি যে, গ্রী দেশীয় প্রাচীন দৰ্শন-শাস্ত্র যে অংশে জ্ঞান-তত্ত্বের লক্ষণক্রান্ত সে অংশে এইটি বুঝানোই তাহার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল যে, অবিদ্যা কিরূপে বিদ্যাতে পরিণত হয়--অজ্ঞেয় কি প্রণালীতে জ্ঞেয়ত্ব প্রাপ্ত হয়—যাহা কোন কি রূপ রিবর্তনে । গম্য পদ পাতে حاب که বশত্ৰী হইয়া বোধ সমুখীন করে । যাহ। একেবারেই জ্ঞানের অগম্য—বুদ্ধির এইজন্য o - ضمي অতীত—ত হাই উক্ত দৰ্শন-শাস্ত্রের যাত্রারম্ভের প্রথম পইট ਯਿ, তাহ। কি ? ন। অবিদ্যা—স্ববিরোধী অর্থ-শূন্য অবিদ্যা । এরূপ যদি মনে করা যায় যে, যাহ। পূর্ব ड्रेट्ठ३ জেব্রুয় হইয়। বসিয়া আছে তাহা ণালী প্রদর্শন করা উক্ত দর্শন-শাস্ত্রের উদেশ্য ছিল, তবে নিতান্তই ভুল মনে করা হয় ; কেননা, শুধু শুধু ওরূপ একটা বৃথা কৰ্ম্ম-ভোগে ব্যাপৃত হওয়। এখনকার কালেরই ধৰ্ম্ম । প্রাচীন-দর্শন-শাস্ত্রের যাহ। মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল, তাহা তার কিছু নয়— স্ববিরোধী কেমন করিয়া—অথং কিরূপ পরিবর্তনের বশবৰ্ত্তী হইয়া—জ্ঞানের গম্য হয়, সক্ষেপে—অবিদ্যা বিনষ্ট হইয়। তাহা কিরূপে বিদ্যাতে পরিণত হয়, এইটি বুঝানো ; আর, তাহার কার্য্য-পদ্ধতি ছিল এইরূপ, যথা ;—উক্ত দৰ্শন-শাস্ত্র বলে যে, ইন্দ্রিয় কেবল অবিদ্যারই গ্রহণ-কৰ্ত্ত— ইন্দ্রিয়ের অর্থই হ’চ্চে অনর্থ । অবিদ্যা, অর্থাৎ একটা স্ববিরোধী ব্যাপার, সহজ জ্ঞান-বহির্ভূত জড়-জগৎকে অাকড়িয়া ধরে ; এরূপ অঙ্গহীন জড়জগৎ একটা স্ববি রোধী অর্থ শূন্য পাগলামি কাণ্ড বই আর নহে—উহা কোন জ্ঞানেই উপলব্ধি,