পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృృం তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ১২ কল্প, ২ ভাগ - ==خح= --------سے গম্য নহে। এখন প্রশ্ন এই যে, ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত সেই যে, অনৰ্থ-জগৎ— পাগলামি কাণ্ড—অবিদ্যা, তাহা কিরূপে জ্ঞানের বিষয়ীভূত সত্যে—বিদ্যাতে— পরিণত হয় ? প্রাচীন দর্শনকারেরা ইহার মীমাংসা এইরূপ করেন যে, জ্ঞান তাহার আপনার ভাণ্ডার হইতে অঙ্গহীন জড়- ] জগতের অভাব পূরণ করিয়া অবিদ্যাকে বিদ্যাতে পরিণত করে ; জ্ঞানের নিকট । হইতে এইরূপ সাহায্য লাভ করিয়াই জড়জগৎ অবিদ্যার নিশা হইতে বিদ্যার । (অর্থাৎ সমীচীন জ্ঞানের) দিবালোকে সমৃথান করে। কিন্তু যাহা দিয়া জ্ঞান অঙ্গহীন জড়জগতের অঙ্গ-পূরণ করে তাহা মে, কি, প্রাচীন তত্ত্বজ্ঞেরা তাহা স্থির করিয়া ওঠা তেমন সহজ পান নাই । ইতিহাস লেখকের অবলম্বনীয় একটি নিয়ম ॥ ১০ ৷ দার্শনিক মতামতের ইতিহাসের অান্দোলন-কালে, সুস্পষ্ট এবং সন্তোষ-জনক ফল-লাভ করিবার এক যাহা উপায় তাহ এই ;—প্রথমে, দর্শনকারের সমুদায় কথাগুলির মোট তাৎপৰ্য্যটি হৃদয়ঙ্গম করিয়৷ করা, এবং তাহার পরে তাহার দ্ব্যর্থ-সূচক অস্পষ্ট উক্তি সকলকে ব্যয়ের কোটায় নিক্ষেপ করা । ফলে, প্রথমে তাহার প্র ত অভিপ্রায়টিকে এই-ভাবে দেখা উচিত যে, যেন তিনি তাহাকে কার্য্যে পরিণত করিয়াছেন ; এবং তাহার পরে তখন বিবেচ্য যে, বিভ্রান্তির গতিকে তিনি তাহার অভীষ্ট ফল-লাভে কতদূর বঞ্চিত হইয়াছেন। দর্শন-শাস্ত্রের সুবিচার-সঙ্গত ইতিহাস লিখিতে হইলে এইরূপ প্রণালীর অবলম্বন ভিন্ন গত্যন্তর নাই। কেননা, দার্শনিক চিন্তার প্রথম উদ্যমে তাহ অতীব অপক এবং অস্পষ্ট আকারে লিপিবদ্ধ হইবারই কথা ; কাজেই, শুদ্ধ কেবল তাহা দৃষ্টে দৰ্শন-কারের প্রকৃত মৰ্ম্ম এবং তাৎপর্য্যের ভিতর প্রবেশ করিতে পারা অসম্ভব । দার্শনিক মতামতের ইতিহাস-লেখকেরা সচরাচর যেরূপ অস্পষ্ট এবং দ্ব্যর্থসূচক মত-সকলকে ত- , থৈব অস্পষ্ট এবং দ্ব্যর্থসূচক বাক্য দ্বার। ব্যক্ত করিয়া থাকেন তাহাতে কেন দশে না | ج--سی-جیس۔ খ *া হ <া ও মান এই প্রণালীটি অবলম্বিত

      • 「二g l > > | এটুকু যখন আমরা বুঝিয়াছি, তখন আমাদের কৰ্ত্তব্য এখন এই যে, এখানকার আলোচ্য দার্শনিক মতটিকে আমরা আতাধ সুস্পষ্ট আকারে প্রদর্শন করি, আর, আপাতত এইরূপ মনে করি—যেন সেই

রূপ আকারেই তাঙ্গ খ্রীস্ দেশীয় প্রাচীন দার্শনিকদিগের লেখনী হইতে বিনিগত হইয়াfছল ; কেননা, ভাবে বুঝিতে পারা যায় যে, ঐ মতটি বাস্তবিকই তাহদেরই মত—তলে কি না—উহাতে তাহারা স্থির ভাবে দণ্ডায়মান থাকিতে পারেন নাই । তাহাই তাহার আয়ের কোটায় নিক্ষেপ । তাহাদের দ্ব্যর্থ-ভাব এবং সেই দ্ব্যৰ্থ-ভাবের ফল যাহ পরপরবর্তী দার্শনিক আলোচনাক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে ফলিত হইয়াছে, তাহ যখন আমরা বাহির করিয়া দেখাইব, তখন কোন বিষয়ে উহাদের নূ্যনতা ছিল হা ধরা পড়িতে বাকি থাকিবে না । ইন্দ্রিয় এবং জ্ঞানের প্রভেদের ইতিহাসে \O প্রত্যাবর্তন ॥ ১২ ৷ এতক্ষণ যাহা বলা হইল, তাহাতে ইহা স্পষ্টই প্রতীয়মান হইতেছে যে, প্রাচীন তত্ত্বজ্ঞেরা ইন্দ্রিয় এবং জ্ঞানের মধ্যে যেরূপ প্রভেদ নিরূপণ করিয়াছেন তাহা প্রভেদের পরাকাষ্ঠ । এ নহে যে,