পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন, չե ) Փ দৰ্শন-সংহিতা—জ্ঞানতত্ত্ব SSS উiহারা ইন্দ্রিয় এবং জ্ঞান এ দুইটি ব্যাপারকে অন্তঃকরণের দুইটি সহোদর বৃত্তি ঠাহরিয়াছিলেন ; তাছাদের অবধারিত প্রভেদ আরো ব্যাপক এবং তল-স্পশী । বরং র্তাহারা ও দুইটি ব্যাপারকে একই মনোরভির ‘O ठुङ्गेि বিপরীত পৃষ্ঠ বলিয়া •অবধারণ করিয়াছিলেন । ইন্দ্রিয় অবিদ্যাকে ধরিয়া আনিয়। জ্ঞানের সমক্ষে উপস্থিত করে, তার, জ্ঞান সেই অবিদাকে বিদ্যাতে পরিণত করে। ঐন্দ্রিক উপাদানা-গুলি ন তক্ষণ পর্যন্ত জ্ঞানকর্তৃক শোধিত ন| য় , ততক্ষণ পয্যন্ত সে-গুfল তাবিদ্যবস্থায় (অর্থাৎ স্ববিরোধী অবস্থায়) বর্তমান থাকে । সে তাল স্থায় সে গুলি একান্ত পক্ষেই জ্ঞানের অগম্য । পরে যখন জ্ঞান জাগিয়া উঠিয়া আপনার তে তার-একটি উপাদান বাহির :রিয়া সে-গুলির গাত্রে সংলগ্ন করিয়া १ॉगT झग्ला | এই অতিরিক্ত উপাদানটির সাহায্যেই জ্ঞানের লিময়-সকল জ্ঞানা ভ্যন্তরে স্থান প্রাপ্ত হয় । ইন্দিয়ের প্রদত্ত তাবিদ্যা-উপাদান, এব” জ্ঞানের প্রদত্ত অতিরিক্ত আর-একটি উপাদান,এ দুই উপাদান এক সঙ্গে জালা’র গতিকেই জ্ঞান আপনার বিষয়-রাজ্যে অধিকার প্রাপ্ত হয় । এই প্রণালী অনুসারেই ইন্দ্রিয়ের স্ববিরোধী বস্তু-সকল জ্ঞানের বিজ্ঞেয় বস্তুতে পরিণত হয় ; এই প্রণালীটির কার্স্য যতক্ষণ না পরিসমাপ্তি হয় ততক্ষণ তাহা জ্ঞানে ধরা পড়ে না বটে—কিন্তু দেয় তখনই সে-গুলি জ্ঞানের আকারে প্রতিভাত হয় । মনুল্যের জ্ঞানসমক্ষে জড় জগতের মেরূপ চাচা-চোচা পরিস্কার মূৰ্ত্তি সুপরিস্ফুট হয়, তাহ ঐ প্রণালীঅনুসারেই হইয়া থাকে। জড়জগৎ যে অংশে জ্ঞানগম্য এবং ধ্যান-গম্য সে অংশে তাহাতে ইন্দ্রিয়ের কোন সম্পর্ক নাই,কেবল যে অংশে তাহা জ্ঞানের অগম্য এবং স্ববিরোধী সেই অংশেই ইন্দ্রিয় তাহ লইয়া ব্যাপৃত হয়। এইটিই প্রাচীন তত্ত্বজ্ঞানের মৰ্ম্ম-নিহিত অভিপ্রায় ইহাতে আর সন্দেহ মাত্র নাই । জ্ঞানের যাহা কাৰ্য্য তাহ। জ্ঞানই করিতে পারে—ইন্দ্রিয় তাহ কোন অংশেই পারে না : ষ্টক্তি : নিছক স্ববিরোধী ব্যাপারেই ব্যাপৃত থাকে। কাজেই—স্ব' পুরোধিতার ভঞ্জন-কার্য্যে ও ইন্দ্রি য়ের কোন হস্ত নাই, তার, স্ববিরোধিতা বিরোপ-মুক্ত বিনয়ের উপলব্ধি কার্য্যে ও তাহার কোন হস্ত নাই। স্ববিরোধী বিষয়-সকলকে জ্ঞান-সমক্ষে উপস্থিত করাই ইন্দ্রিয়ের একমাত্র কার্য্য ; তার, তাহা জ্ঞান-সমক্ষে উপস্থিত হইলে ও জ্ঞান যতক্ষণ না আপনাকে তাহার সঙ্গে একত্র উপলব্ধি করে ততক্ষণ তাহার বি রোধ-ভঞ্জন হয় না সুতরাং ততক্ষণ তাহ। حد =ബ علي جي سي. তাপগত হ’হলেও জ্ঞানের উপলব্ধি-যোগ্য হয় ন । প্রাচীন মত-সম্বন্ধে একটি উপমা । ১ ও ! এখানকার এই কথাটির প্রকৃত তাংপর্য্য যে কি তাহা নিম্ন-লিখিত উপমা দৃন্টে সুস্পষ্ট প্রতায়মান হইবে —মনে কর যেন সবিরোধী অবিদ্যা কিছু-ন৷ অপেক্ষা ( , অপেক্ষা ) অধিক, কিন্তু একটা না-একটা কিছু অপেক্ষ (১ অপেক্ষ) কম । কিন্তু সেই যে অবিদ্য। --যাহা শূন্যও নয়, একও নয়, তাহা কোন জ্ঞানেই উপলব্ধিগম্য নহে ; কেননা জ্ঞানে যাচ উপলব্ধিপরে তাহ দার্শনিক চিন্তাতে সুব্যক্ত । গম্য, হয়—তাহা একটা-না-একটা কিছু, (যমন আলোক) ; নয়--তান্ত একটানা একটা কিছুর অভাব (যেমন অন্ধকা — নিঃস্তব্ধতা ইত্যাদি), সঙ্কেতিক ভাষায়— হয় তাছা ১, নয় তাহা ০, ইহার অন্যথায় কোন কিছুই জ্ঞানে প্রকাশ পাইতে পারে :