পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । 3२ कछा, १ छो% না। এইটিই প্রাচীন তত্ত্বজ্ঞদিগের মন্তব্য কথা ; কি ? না, জড় জগৎকে যদি জ্ঞানের সহিত একেবারেই সম্পর্ক-রহিত বলিয়া ভাবা যায়, তবে সমস্ত জড়জগৎই এইরূপ দাড়ায় যে, তাহা শূন্যও নয়, একও নয়, কিন্তু দুয়ের মাঝামাঝি একটা অনিবর্বচনীয় ব্যাপার। জড়বস্তুর স্বরূপ (অর্থাৎ জ্ঞানের সহিত সম্পর্ক-চু্যত জড়বস্তু স্বয়ং) শূন্য অপেক্ষ অধিক অথচ একঅপেক্ষ (অর্থাৎ একট-কোন-কিছু অপেক্ষ) কম । শূন্য স্ববিরোধী ব্যাপার। বটেই তো ;— উহ। যদি অর্থশূন্য ন হইবে, তবে প্রাচীন তত্ত্বজ্ঞেরা উহাকে অর্থবত্তায় উত্তোলন করিবার জন্য এত যে আয়াস পাইয়াছেন—তাহা কি শুদ্ধ কেবল তেলমাথায় তেল দিবার জন্য ! অর্থ-শূন্য সামগ্ৰী হস্ত-গত হইলে তবে তে। তাহাকে অর্থবান করিয়৷ গড়িয়া তোলা— একটা কার্য্যের মধ্যে গণ্য হইতে পারে । মৃত্তিকা হইতে ইন্টক নিৰ্ম্মাণ করিতে হইলে, অগ্রে মৃত্তিকার সোগাড় করা চাই তো । এইজন্য প্রাচীন তত্ত্বরে। বলেন যে, সমস্ত ইন্দ্রিয়-গ্রাহ্য জগৎ সমস্ত জড়জগৎ — অর্থশূন্য এবং স্ববিরোপা । কিন্তু অর্থ-শূন্য সমগ্ৰী জ্ঞানে উপলব্ধি-গম্য নহে। প্রাচীন তত্ত্বজ্ঞেরা বলেন, ঠিকৃই বটে—তাহা জ্ঞানে উপলব্ধি-গম্য নহে ; কিন্তু ইন্দ্রিয়ের কার্য্যই এই যে, তাহা সেই অর্থ-শূন্য অবিদ্যাকে গ্রহণ করে— এবং তাহাকে জ্ঞানের হস্তে সঁপিয়া দেয় ; জ্ঞান তপন আপনার মাল্ মসলা তাহাতে সংযোগ করিয়া তাহাকে অর্থ-বিশিস্ট জ্ঞেয়-বস্তু করিয়া গড়িয়া তোলে—অবিদ্যাকে বিদ্যাতে পরিণত করে, যাহা এক অপেক্ষা কম (মনে কুর যেন অৰ্দ্ধা") কিন্তু এ তো একটা অর্থ- । কেননা, তাগ্রে । তাহাতে অবশিষ্ট অংশ সংযোগ করিয়া তাহাকে একে পরিণত করে । ঐন্দ্রিয়ক জগৎকে জ্ঞান-গম্য করিয়া তুলিবার জন্য যাহা আবশ্যক—জ্ঞান তাহা নিজের ভাণ্ডার হইতেই যোগাইয়া দেয় ; এইরূপে জ্ঞান স্ববিরোধী অবিদ্যাকে আপন অধিকারাভ্যন্তরে টানিয়া লইয়া বিদ্যাতে পরিণত" করে । প্রাচীন তত্ত্বজ্ঞেরা এ মাহা করিয়াছেন তাক৷ ঠিকই श्ा’छ्न | יל מ | -ms t প্রাচীন দর্শন-কারের যে, তত্ত্বজ্ঞানের প্রকৃত প্রশ্নটির সন্ধান পাইয়াছিলেন এবং তাহারা যে, প্রকৃত প্রণালী অনুসারে তাহার মীমাংসা কার্য্যে প্ররক্ত হইয়াছিলেন, তহিতে তার সন্দেহ মাত্র নাই । তাবো বোধ্য করিয়৷ গড়িয় | তোল! —— এইটি কি রূপে হইতে পারে, ইহা দের অন্বেমণের বিময় ছিল ; তত্ত্বজ্ঞানের মুখ্য প্রশ্নটিকে নানা আকারে দাড় করানো যাইতে পারে কিন্তু তাহারা তাচাকে খুব একটি ভাল আকারে দাড় করাইয়াছি سي ধকে চ তাহা.

  • .

- 4---- লেন । ত্ৰাতঃপর তাচাদের কাদ্য তাহা স্থির কর। ; কারণ, যদি অবোধ ন থাকে, অথবা তাহাকে যদি খুজিয়া পাওয়া না যায়, তবে সেই খানেই উক্ত প্রশ্ন এবং মীমাংস উভয়েরই প্রাণ ত্যাগ হয় । এইরূপ বিবেচনায় তাহার। জড়বস্তুর স্বরূপকে স্ববিরোধী বলিয়া স্থির করিয়াছিলেন । কিন্তু যদি এই স্ববিরোধীকে অবিরোধী করিয়া গড়িয়া তুলিতে হয়, তবে তাহাকে কোন-না-কোন প্রকারে জ্ঞান-সমক্ষে উপস্থিত করা আবশ্যক। এই জন্য অতঃপর তাহাদের কার্য্য ছিল এই—কি উপায়ে সেইটি ভুসিদ্ধ হইতে পারে তাহ অবধারণ