পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*, ه: «ر aپatf>

  • * ---

দর্শন-সংহিতা—জ্ঞানতত্ত্ব ృ్పNరి o ماه --------------- === করা। র্তাহাদের মতে সে উপায়— ইন্দ্রিয় । ইন্দ্রিয়ের কার্য্যই হ’চ্চে—ঐকান্তিক অবোধ্য ব্যাপারকে—অবিদ্যাকে —আনিয়া জ্ঞানের হস্তে সঁপিয়া দেওয়া । এইরূপ, জ্ঞান এবং ইন্দ্রিয়ের প্রভেদের পুরার অনুসন্ধান করিয়া আমরা পাইতেছি যে, প্রাচীন দর্শনের মীমাং স্য প্রশ্নের আকার ও কার এবং তাঙ্গার মীমাংসা কার্স্যের প্রণালী-পদ্ধতি দুইই এ বিষয়ে একবাক্য মে,”ইন্দ্রিয় ঐকান্তিক তালোধ্য-রূপী অবিদ্যারই গ্রাহক ; তার, এ মতটর সহিত বর্তমান সিদ্ধান্তের সম্পূণ মিল রচিয়াছে । এইরূপ দেখা যাইতেছে যে, প্রাচীন দর্শনকারের জ্ঞানের মধ্যে মেরূপ প্রভেদ নির্দেশ করি ইন্দিয় এব০ | | | | অবশিষ্ট মাহ থাকে তাহাকে ঐকান্তিক অবোধ্য ভিন্ন আর কি বলা যাইতে পারে? কেননা জ্ঞানের প্রকৃতিই এই—শুদ্ধ কে বল তামার জ্ঞানের বা তোমার জ্ঞানের নহে কিন্তু জ্ঞান-মাত্রেরই প্রকৃতি এই— যে, তাহা আপনাকে না জানিয়া কোন বস্তুকেই জানিতে যদি সন্ত হয় যে, য়াছেন—তাহ। যেমন-তেমন প্রভেদ নহে, । তাছ। স্বরূপ-গত এবং মূল-গত প্রভেদ । কেন সে এই সিদ্ধ:স্তুর নথি গা সহসা প্রতীয়ন নি হয় না তাঙ্গার কারণ নির্দেশ ॥ ১৫ । কেন যে, এই সিদ্ধান্তটির মাথার্থ বলিবামাত্রই লোকের হৃদয়ঙ্গম হয় না, তাহার কারণ তার কিছু নয়—শুদ্ধ কেবল এই যে, বাস্তবিক ধরিতে গেলে যদিচ তামরা ইন্দিয়- গ্রাহ্য বিষয়ের উপলব্ধির সঙ্গে সঙ্গে একটি অতীন্দ্রিয় বিষয় উপলব্ধি করি,কিন্তু আমরা মনে করি—যেন আমরা রে না । এ কথা নকুটি জীবেরা আপনকে তাপনি জানে না (ইহা খুবই সম্ভব যদিচ এ বিষয়ে এখানে তামরা কোন মতামত প্রকাশ করিতে চাই না) তাহ। হইলে, সমস্ত ইন্দ্রিয় সত্ত্বে ও তাহারা অর্থশূন্যতা মূর্তিমান, আর, নিছক অবিদ্যার প্রতিই তাতারা অন্ট প্রচুর ফ্যাল্ ফ্যাল করিয়া চাহিয়া রহে । জ্ঞান কি দি ধু অবোধ্যকে লোধা করিয়া তলে এইটিই কঠিন প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ প্রাচীন তত্ত্বজ্ঞেরা জ্ঞানের ঐন্দ্রিয়ক অবয়বটির সম্বন্ধে এইরূপ তো স্থির করিলেন যে, তাছা স্ববিরোধী অর্থশূন্য অবিদ্যা ভিন্ন তার কিছুই নহে ; কিন্তু জ্ঞানের অপর অবয়বটি যে, কি, অতীন্দ্রিয় অব য়বটি যে, কি –যাঙ্গর সংস্পৰ্শ-মাত্রে অবি ইন্দ্রিয়-গ্রাহ্য বিষয় ছাড়া অপর কোন-কিছুই । উপলব্ধি করিতেছি না ; অন্ততঃ আমাদের আটপহুরিয়া মনের দশ। ঐ রূপ । এই জন্য আমরা মনে করি যে ইন্দ্রিয় আমাদের জ্ঞান-সমক্ষে অবোধ্য সামগ্ৰী উপস্থিত করে না—বোধ্য সামগ্রীই উপস্থিত করে। এটা তখন আমাদের মনে থাকে না যে, জ্ঞানের গুণেই বস্তু-সকল বোধ্য হয়— ইন্দ্রিয়ের গুণে নহে। বোধ্য বস্তু হইতে যদি জ্ঞানকে টানিয়া ল ওয়া যায় তবে দ্যর আদর্ভে ঘূর্ণায়মান স্ববিরোধী এবং অর্থশূন্য জগৎ সৌন্দর্য্য সুশৃঙ্খলা এবং জ্ঞানের আলোকে দেদীপ্যমান হইয়া উঠে তাহাই বা কি, অর, তাহার প্রকৃতিই বা কিরূপ, তাহ স্থির করিতে তাহাদিগকে | | | | অধিকতর আয়াস পাইতে হইয়াছিল । পিথাগোরাসের মত এই যে, সংখ্যা—যাহা জ্ঞানের একটি নিজের প্রদত্ত সামগ্ৰী, তাহারই প্রসাদে ঐরুপ স্বপরিণাম সংঘটিত হয় । প্লেটো বলেন—মৌলিক ভাব-সকলের গুণেই ঐরুপ হয়। বর্তমান সংহিতার মতানুসারে, বিষয়-জ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে আত্ম-জ্ঞানের স্ফুরণ বশতই ঐরূপ হয় ।