পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృృ8 আত্মজ্ঞানই অন্ধকারের আলোক—স্ববিরোধী বিবাদ-বিসম্বাদের প্রশামক,বিভ্রান্তকারী অব্যবস্থার ব্যবস্থাপক—একত্ব এবং তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা অনেকত্ব উভয়েরই মূল ; এইটিই সেই । অমূল্য স্পর্শমণি যাহার গুণে অবিদ্যা বিদ্যাতে পরিণত হয়। উপরে যে তিনটি মতের উল্লেখ করা হইল পিথাগোরাসের ত—প্লেটোর মত—ও আমাদের এখানকার মত, তিনই এই বিষয়টিতে একবা ক্য যে,উক্ত অতীন্দ্রিয় অবয়বটি জ্ঞানের সাৰ্ব্বভৌমিক বৃত্তি—ঐতিদয়ক অবয়ব-গুলি জ্ঞানের বিশেষ বিশেম বৃত্তি ; কেবল সেই সাৰ্ব্বভৌমিক বৃত্তিটি যে, কি, ইহা লইয়াই তিনের মধ্যে যত কিছু মত-ভেদ ; পিথাগোরাসের মতে তাহ৷ সংখ্যা,প্লেটোর মতে তাহা মৌলিক ভাব, আমাদের মতে তাহা অাত্মজ্ঞান | মৌন ব্রতের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য। শাস্ত্রে আছে “মোনান্নস মুনির্ভবতি নারণ্যবসনায়ুনিঃ। স্বলক্ষণস্তু যোবেদ স নিশ্রেষ্ঠ উচ্যতে ॥” মৌন প্রযুক্ত ও লোকে মুনি হয় না, অরণ্যবাস প্রযুক্ত ও লোকে মুনি হয় না ; যিনি আপনার লক্ষণ জানেন, তিনিই মুনিদিগের মধ্যে সর্ববা গ্রগণ্য । ইহাতে বুঝা যাইতেছে এই যে, মোনব্ৰত শুদ্ধ কেবল একটি উপলক্ষ মাত্র ; আপনার লক্ষণ জ্ঞাত হওয়াই তাহার প্রকৃত লক্ষ । আপনার লক্ষণ আপনার নিকট হইতেই জানিবার কথা, অন্যের নিকট হইতে শুনিয়া শিখিবার কথা নহে । যাহা অন্যের নি রিয়াই আমরা ক্ষান্ত কটে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিতে হয়, তাহা- ; রই জন্য ভাষা-ব্যবহার আবশ্যক ; কিন্তু যাহা আপনার নিকটে জিজ্ঞাসা করিয়া २२ कछ, २ छ1ग காங்ா o জানিতে হয়, তাহার জন্য ভাষা ব্যবহারের বিশেষ কোন প্রয়োজন দেখিতে পাওয়া যায় না । কিন্তু বাক্য এমনি আমাদের মুখস্থ যে, যখন আমরা মনোমধ্যে কোন একটি বিষয়ের তোলা পাড়া করি, তখন ও আমরা বিনা বা ক্যব্যয়ে তাহা করিতে , পারি না । অন্যের সঙ্গে বাক্যালাপ কথাকি না, তামরা আপনার সঙ্গে ও বাক্যালাপ করিতে প্রবৃত্ত । হই। এখন জিজ্ঞাস্য এই যে, আমরা যখন আপনার সঙ্গে আপনি পরিচিত হইতে ইচছা করি, তখন তাচার মধ্যে ও আবার বাক্যের তাড়াল কেন ? আপনার মনের ভাব অন্যকে বুঝাইতে হইলে অথবা অন্যের মনের ভাব তাপনি বুঝিতে হইলে, বাক্যের সাহায্য বতিরেকে তাহ হইতে পারে না—ইহা যেন বুঝিলাম, কিন্তু আপনার নিকট হইতে আপনার পরিচয় প্রাপ্ত হইতে হইলে বাক্য উচ্চারণে কি লাভ ? লাভ দূরে থাকুক্‌ বিবেচন। করিয়া দেখিলে—শেষোক্ত স্থলে বা ক্য অভাট সাধনের অনুকূল যত প্রতিকূল অনেক সময়ে আমরা বাক্যের মোহিনী শক্তিতে এমনি অথৰ্ব্ব বনিয়া মাই যে, তাহার প্রকৃত মৰ্ম্মের ভিতরে মে, একটু স্থির চিত্তে তলাইয়া দেখিব, সে শক্তি আমাদের ত্রিসীমা হইতে পলা য়ন করে । মনে কর যে, আমাকে লক্ষ করিয়া চতুর্দিকের সংবাদ পত্র হইতে এই একটি মোহিনী বাণী উত্থিত হইল যে, অমুক ব্যক্তি অসামান্য জ্ঞানী ; আমনি, আমার মনোমধ্যে “আমি জ্ঞানী আমি জ্ঞানী” এই কথাটিই ক্রমাগত প্রতিধ্বনিত হইতে লাগিল;শুদ্ধ কেবল ঐকথাটি মনোমধ্যে চৰ্ব্বিত চৰ্ব্বন করিয়া আমি পরম 7F তত নহে আনন্দ অনুভব করিতেছি—তাহার অর্থ