পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আঞ্জিন ه ( ما لا" o o Պա মৌন ব্রতের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য ১১৫ যে, কি, সে দিকে আমার ক্রক্ষেপ মাত্রও : নাই; তখন আমি সেই ধ্বনি-টা’র তোড়ের মুখে এমনি সবেগে ভাসিয়া চলিয়াছি যে, একটু যে থমৃকিয়া দাড়াইয়া বলিব যে “লোকে আমার অসামান্য জ্ঞান ঘোষণা করিতেছে বটে, কিন্তু আমার নিজের জ্ঞান তো আমার নিজের অগোচর নহে—— আমার জ্ঞান যে, কতটুকু, তাহ। আমি নিজেই কেন একবার অন্তরে চক্ষু মেলিয়। দেখি না ?” এ কথা নে, ফরিব, এ বোধ তখন আমার মূলেই নাই । তখন “জ্ঞানী।” এই শব্দটাতেই আমার জ্ঞান-ম্প্রহ সম্যক্ৰ চরিতার্থ হইতেছে - জ্ঞান অন্বেষণের তাবশ্যকতই মনে হইতেছে না। “জ্ঞান” এই শব্দটিকে ছাড়িয়া দিয়া আমার জ্ঞান যে, বাস্তবিক কি প্রকার, তাহার প্রতি যদি আমি প্রণিধান করি, তাহ হইলে তামি আপনার লক্ষণের পরিচয় লাভ করি—কিন্তু তাহা করিতে আমার অব কাশ ও নাই—রুচি ও নাই—প্রবৃত্তি ও নাই ; “আমার জ্ঞানের তুলনা নাই” এই অর্থহান শব্দ-মাত্রেই অামি স্বর্গ হাত বাড়াইয়া পাইতেছি । এইরূপ দেখা যাইতেছে রিয়া দিয়া মাথার্থ সত্যের প্রতি তদূৰ্গত ভাবে অভিনিবিষ্ট হওয়া কৰ্ত্তব্য । বাইবেলের একটি প্রসিদ্ধ বচন এই যে, “Letter killesh but spirit giveth life" at #7 বধ করে (অর্থাৎ কার্য্য নষ্ট করে), কিন্তু ভাব জীবন দান করে (অর্থাৎ কার্য্য-সামর্থ্য প্রদান করে)। সুবিখ্যাত ইংসাজি সাহিত্যকার গোল স্মিথ একস্তানে বলিয়াছেন যে, বাক্যের ব্যবহার মনের ভাব ব্যক্ত করিবার জন্য তত নহে—যত মনের ভাব গোপন করিবার জন্য। মিথ্যা নহে—একজন নিতান্ত মুখ চাসা ও ভদ্র সমাজে আপনার পাণ্ডিত্যের পরিচয় দিতে গিয়৷ সাধুভাযাকে মুচূড়াইয়। কত না বিকলাঙ্গ করিয়া তুলে । তামাদের দেশের একজন অতীব সুবিখ্যাত দেশহিতৈষী সংবাদ পত্রের সম্পাদক স্বাকার্য্যে অদ্বিতীয় পারদর্শী ছিলেন, কিন্তু তিনি তাহাতে সন্তুষ্ট ন৷ থাকিয়া এমন একটি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিলেন -—যাঙ্ক র তিনি ক অক্ষর ও জানেন না; তিনি কাণ্টের দর্শন-শাস্ত্রের ব্যাখ্যায় প্রবৃন্ত হইয়। তানভিজ্ঞ লোকের নিকটে আপনার দার্শনিকতর পরিচয় না দিয়া কিছুতেই ক্ষান্ত থাকিতে পারিলেন না । ভদ্রসমাজে তামির। এইরূপ ভাবে কথ। বাৰ্ত্ত কহি মে, আমরা নাহার কিছুই জানি না—তাহ। যেন তা মদের বিলক্ষণই জানা আছে । এইরূপে অন্যের চক্ষে পূলি প্রদান করিতে করিতে অবশেষে আমরা আপনার চক্ষে ধূলি দিয়। বসি ; আমরা ঘহা মূলেই জানি না—আমরা মনে করি যেন সত্যসত্যই আমরা তাহা জানি । এই সকল বাক্য-দোম হইতে মুক্তি পাইবার জন্যই অামাদের দেশের বিশেন এক শ্রেণীর যে, আত্ম-লক্ষণের পরিচয় প্রাপ্ত হইতে । হইলে আপাততঃ বাক্যকে বহিস্কৃত ক- | এ নহে যে, বোব। হইয়। বসিয়া থাকাই মনুষ্যের পরম পুরুষাৰ্থ নিদ্রা যা ওয়াই সাধক-সম্প্রদায়ের মধ্যে মৌন ব্রতের প্রথা প্রচলিত হইয়াছিল । কিন্তু তাছার অর্থ কিছু আর নিদ্রার উদ্দেশ্য নহে –জাগ্ৰংকালের শারীরিক স্ফক্তি-বৰ্দ্ধনষ্ট নিদ্রার চরম উদ্দেশ্য; মৌন डडेङ्गे কিছু আর মৌনব্রতের উদ্দেশ্য নহে—মনের সহিত বাক্যের ঐক্য সংস্থাপনই মৌনব্রতের চরম উদ্দেশ্য। কথায় বলে যে, “আটপিটে দড় তে৷ ঘোড়ার উপর চড়,” ঘোড়ায় চড়িতে গেলে তাহার পুৰ্ব্বে আটে পিটে দড় হওয়া চাই । বাক্য অশ্ব,আর, মন অশ্বারোহী; এই অশ্বকে