পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b" १२ कब्र, २ छt१ -μα ή আত্মার জ্যোতি প্রবল হইবে । সেই নিস্কলঙ্ক পরিশুদ্ধ পবিত্র আত্মাই পরমাত্মার উন্নততম রত্ববেদ । সেই আত্মাতে পবিত্র পরমেশ্বরের মুখজ্যোতি যেমন সুস্পষ্ট প্রতিভাত হয় এমন আর কিছুতে নহে। বাহ্যজগত যেমন ইন্দ্রিয়ের বিষয়, বিষয়জান যেমন বুদ্ধির বিষয়, ঈশ্বর তেমনি আত্মার বিষয় । গ্রাহ্য হয়েন এমন আর কিছুতে নহে। বিষয় ব্যাপারে মনুষ্যের ইন্দ্রিয় ও মন উন্মত্ত,এমন একটু অবসর নাই যে আত্মা ঈশ্বরচিন্তা করিয়া বল লাভ করে, সেই জন্যই মনুষ্যের মধ্যে অনেকেই তাছার প্রতি উদাসীন। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা আত্মদ্বিার। তিনি যেমন সুপষ্ট রূপে । i ALLA য়ের উপর বুদ্ধির আধিপত্য স্থাপিত হয়, তখন হইতেই নিকৃষ্ট আমোদ প্রমোদে মুনুষ্য নিস্পৃহ হইতে থাকে। ক্রমে বিজ্ঞান সাহিত্য তাহার তৃপ্তিপ্রদ হইতে থাকে। কিন্তু এ অবস্থাও মনুষ্যের সৰ্ব্বোচ্চ অবস্থা নহে। উন্নতির পরাকাষ্ঠা লাভের এখনও বিলম্ব রহিয়াছে । জীবনের অনিত্যতা, কৃষি বিজ্ঞানের অনিত্যতা, ধনজন পরিজনের অস্থিরতা ক্রমে তাহার আত্মার ভাবকে প্রজ্বলিত করিয়৷ তুলিতে থাকে। তখন মনুষ্য বুঝিতে থাকে যে ঈশ্বরের সন্নি कर्व ज्ञाउई गठूप्याद्र नकल लॉcउद्ध छद्रग সীমা । শরীরের ফুর্ভি ও বৃদ্ধির জন্য যেমন ব্যায়াম আবশ্যক, বুদ্ধির প্রাখৰ্য্য জন্য যেমন চিন্ত ও অধ্যয়ন আবশ্যক, আত্মার জীবন রক্ষা ও উন্নতি লাভের জন্য তেমনই ঈশ্বরের আবশ্যক। ঈশ্বর আত্মার প্রাণ। সূর্যের আলো- , কের অভাবে যেমন ওষধি বনপতি হীনবীৰ্য্য হইয়। অবশেষে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, সেই রূপ সেই প্রেমসূর্য্যের অভাবে আপ্যাত্মিক বল একেবারে তিরোহিত হইয়। যায় । অসভ্যাবস্থায় বহিজগতই মনুষোর সবর্বস্ব। প্রকৃতির শোভা সৌন্দর্য্যই তাহার সকল তৃপ্তির স্থল। সে অবস্থায় মানসিক বা ঐশ্বরিক চিন্তার সময় তাহার নিকট অতিশয় অল্প । আপনার উদারান্ন সংগ্ৰহই তাহার একমাত্র উপজীবিকা ও জীবনের লক্ষ্য । ক্রমে যখন জীবিক। সহজ উপায় অবলম্বিত হয়, যখন কৃষি বণিজ্যের উন্নতি হইতে থাকে তখন হইতেই মনুষ্য চিন্তাপ্রবণ হইতে থাকেন । কিন্তু সে চিন্তা আপনার স্থখ ঐশ্বর্য্যলাভের চিন্তা। সে চিন্তা আপনাকে লইয়া, বিষয় ব্যাপারের উপরিতন স্তরে উঠিতে সমর্থ হয় না। এইরূপে ক্রমে যখন ইন্দ্রি মতিরীপনেয়।” নীয় নহে । তাহাকে লাভ করিতে পারিঃে মনুষ্যর আর অন্য কোন অভাব থাকে না । ঈশ্বর আমারদের আত্মর অন্তরাত্বা । মানবাত্মা তাহারই সাদৃশ্যে গঠিত। ঈশ্বরবিষয়ক আস্তিক বুদ্ধি তাহার অনুপম পিতৃভাব অসদৃশ মাতৃস্নেহ, আত্মাই বিশদরূপে অনুভব করিতে পারে। “নৈষ। তর্কেন এই মতি তর্ক দ্বার প্রাপতিনি তামারদের প্রত্যেকের আরাধ্য দেবতা প্রত্যেকেরই নিজস্ব ধন । নিৰ্ব্বাহের । কৃপণের ধনের ন্যায় তাহাকে আত্মার অভাস্তরে অতি যত্নের সহিত রক্ষা করিতে হইবে। তিনি সাধনের ধন । ইন্দ্রিয় বা বুদ্ধি তাহাকে প্রকাশ করিতে পারে না । ইন্দ্রিয় ও বুদ্ধি প্রতিনিবৃত্ত হইলে তবে আত্মার বলে সাধনার বলে তাহার আত্মস্বরূপ আমারদের নিকট প্রতিভাত হয় । মনুষ্যবিশেষের ন্যায় মনুষ্য সমাজেরও বাল্য, সেবন ও পরিণতির অবস্থা আছে । মনুষ্য সমাজের ন্যায় মনুষ্য— যখন বালাবস্থায় প্রবিঃ হয়, তখন আহার বিহার লইয়াই সে নিকৃষ্ট সুখ চরিতার্থ করিতে ব্যস্ত থাকে । তখন চিন্তা বা ঈশ্বরের ধান ধারণা সে কিছুই অবগত নহে। ক্রমে যখন