পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিক s२ कृछ, २ छोश ১২২ সমুদয়ই আছে। যদি তোমাকে ইন্দ্রিয় কয়টা—এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করি, তাহ হইলে তুমি দর্শন, শ্রবণ আদি পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের উল্লেখ করিবে । কিন্তু জোক বা শকুনি যদি কথা কহিতে এবং আমার কথা বুঝিতে পারিত এবং আমি যদি উহাদিগকে কয়ট ইন্দ্রিয় আছে বলিয়া জিজ্ঞাসা করিতাম, তবে তাহার কি উত্তর প্রাপ্ত হইতাম ? জেক সম্ভবতঃ বলিত যে, ইন্দ্রিয় তিনট এবং শকুনি বলিত যে তাহ ৪ ট মাত্র ! জোক ও শকুনির এমত উত্তর দিবার কারণ কি ? বাস্তলিক সীমাবদ্ধ জ্ঞানই ইহার একমাত্র কারণ । জোকের জ্ঞানে ৩ট এবং শকুনির জ্ঞানে ৪টা মাত্র ইন্দ্রিয় অাছে। তদ্রুপ মনুষ্যের মতে ও ৫টা মাত্র ইন্দ্রিয় । কিন্তু ইহাই কি অভ্রান্ত সিদ্ধান্ত ? পাঠক ! তুমি পাচের অধিক ইন্দিয় দেখ না বলিয়াই কি নি চঃ বলিতে পারে যে কোন মঠ বা সপ্তম ইন্দ্রিয় নাই ? এখন মনে কর চেতন এবং অচেতন এই দুই প্রকার পদার্থ মাত্র তোমার দৃষ্টিগোচর হয়। তাছা হইলেই কি তোমার পক্ষে এই সিদ্ধান্ত করিয়া বসা উচিত যে এই দুয়ের অতিরিক্ত কোন ও পদার্থ হইতে পারে না ? কোন অতিরিক্ত পদার্থ যে নাই তাহ। তুমি কিরূপে অবগত হইয়াছ ? তোমার নিজের জ্ঞানই কি জগ- | তের সীমা ? [আমার না হয় পাচটা ইন্দ্রিয় আর এক জনের না হয় দশটা ইন্দ্রিয় ; আমার না হয় হিমবিন্দু-পরিমাণ জ্ঞান, আর এক জনের না হয় সাগর-পরিমাণ জ্ঞান ; সে কথা এখানে হইতেছে না। এখানে কথা হইতেছে কেবল এই যে, অচেতন চেতন পদার্থ কেবল যে, আমার ক্ষুদ্র-বুদ্ধিতে ধরা দেয় না, তাহা নহে, তাহা সকল জ্ঞানেরই অগ্রাহ্য । যেমন, ੇ পঞ্চাশ, মাথা নাই মাথাব্যথা, পরিধি-বিহীন চক্র, সকল জ্ঞানেরই অগ্রাহ্য, অচেতন চেতন সেইরূপ একটা নিতান্তই অর্থশূন্য অসঙ্গত কথা । কোন এক জন জ্ঞানী ব্যক্তি, যদি একটা কথা বলে, আর, তাহা যদি আমি বুঝিতে না পারি, তবে সেটি আমারই বুদ্ধির দোষ; } কিন্তু এক জন পাগল যদি একটা প্রলাপোক্তি করে, আর, তাহা যদি আমি বুঝিতে না পারি, তবে সেটা কিছু আর আমার বুদ্ধির দোম নহে, তাহার সে প্রলাপোক্তির ভিতর বুঝিবার কিছুই নাই বলিয়া আমি তাহা বুঝিতে পারি না। একজন দেবতা আসিয়া যদি আমাকে বলেন যে, “আমার পঞ্চাশ ইন্দ্রিয় এবং তাহাতে আমি এত বিচিত্র বিষয় অবলোকন করি যে, তাহা তোমার স্বপ্নের অগো চব ; তুমি যদি চাও, তবে তোমাকে ও আমি সেই সকল ইন্দ্রিয় প্রদান করিতে পারি” ; তবে আমি তাহাকে বলি যে, তাহা হইলে আমি কৃতকৃতার্থ হই । কিন্তু যদি অার এক ব্যক্তি আসিয়া অামাকে বলে যে, আমার ধ্যান-চক্ষু এমনি প্রস্ফটিত হইয়াছে যে, তদার। আমি তমোময় আলোক, অচেতন চেতন, জ্যোতিৰ্ম্ময় অন্ধকার প্রত্যক্ষ করিতে পারি, তবে তাহাকে আমি বলি যে “এই বই নয় ? এ তো অতি সামান্য বিষয় ; আমি এক ব্যক্তিকে জামি—তিনি সোণার পাথরে ভাত খান ; তিনি হস্ত-পদ-বিহীন অথচ আসিযুদ্ধে এমনি স্থনিপুণ যে, বড় বড় যোদ্ধারা র্তাহার সঙ্গে তাঁটিয়া উঠিতে পারে না ; তিনি একেবারেই মূক ও বধির, কিন্তু র্তাহার কণ্ঠ-নিঃস্থত সঙ্গীত যদি একবার শোনো তবে সেই দণ্ডেই মোহিত হইয়! যাও ।” এ সকল কথার কি কোন মাথা