পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هد عاد امة 5 أية মানবীকরণই বটে ১২৩ - محمهم مصصميمسيصد همد আছে, না মুণ্ড আছে ? অচেতন চেতন পদার্থ এইরূপ একটা অসঙ্গত কথা ! আগে একটা কথার অর্থ হৃদয়ঙ্গম হইলে, তাহার পরে তবে তে। তাহার সত্য-মিথ্যার বিচার হইবে—কিন্তু “অচেতন চেতন” এ কথাটির মূলেই কোন অর্থ নাই ;—অতএব মিছামিছি আর কেন । যাহা চেতন নহে তাহ অচেতন—এই সহজ সত্যটি একজন বালকেও বুঝিতে পারে ; আর যাহ। চেতন নহে তাহা অচেতন নহে—ইহা স্বয়ং বৃহ- | স্পতিও বুঝিতে পারেন না—যেহেতু ইহ। অর্থশূন্য প্রলাপোক্তি ভিন্ন আর কিছুই নহে । ঐ দ্বি] তলে তুমি বলিতে পার যে, চেতন ও অচেতন এই দুইভিন্ন যে কোন তিন হইতে পারে তাহ। আমি চিন্তাই করিতে পারি ন। তাহ হইলে শকনিও তো বলিতে পারে যে, চরির তাধিক লে ইন্দিয় তইতে পারে তাচ সে চিন্তা করিতে ও পারে না । শকুনির এই উক্তি কি বিশ্বাস করা যাইতে পারে ? না । কিন্তু এমন কি কেহ আছে যে, সে চেতন ও অচেতনের অতিরিক্ত কোন বস্তু দেখিয়াছে বলিয়া সাক্ষ্য দিতে পারে ? [যে ব্যক্তি বলে যে, আমি শিরোনাস্তি শিরঃপীড়া অনুভব করিয়াছি আর মে ব্যক্তি বলে যে, আমি চেতন এবং অচেতনের অতিরিক্ত পদার্থ—অচেতন চেতন পদার্থ—দেখিয়াছি, উভয়েরই কথা সমান বিশ্বাস-যোগ্য । য;চ"রা শব্দের কাঙ্গালী কিন্তু অর্থের কোন ধারই ধারেন না, তাহাদের মুখেই ঐ সকল অর্থ-শূন্য প্রলাপোক্তি শোভা পায় । শ্ৰী দ্বি] এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলিতেছি যে, পৃথিবীতে এরূপ মনুষ্য অনেকই আছে। বাস্তবিক অস্তি কগণই এরূপ মনুষ্য । দ্বিজেন্দ্র বাবু নিজেই এরূপ অতিরিক্ত পদার্থ বিশ্বাসকারী অস্তিক । যদি তামি একটা অাত্ৰ-ভাষ্টি হস্তে লইয়া দ্বিজেন্দ্র বাবুকে শকুনি যদি মন্তষ্যের ন্যায় জ্ঞানবান । যে, তাহা হইতে আত্ম-বৃক্ষ উৎপন্ন হয় জীব হইত তবে সে এইরূপ বলিত— “আমার পক্ষ আছে বলিয়াই যে, সকল জীবেরই পক্ষ থাকিতেই হইবে, তাহার । দিবেন তাহা ন জানা পর্য্যন্ত আমরা আর কোন অর্থ নাই ; তেমনি আমার চারিটির অধিক ইন্দ্রিয় নাই বলিয়া যে, সকল জা- ! বেরই সেইরূপ হইতেই হইবে তাহার ও । কোন অর্থ নাই ; কিন্তু এটা সুনিশ্চিত যে, কোন জীবেরই অনিন্দ্রিয় ইন্দ্রিয় থাকিতে পারে না, অর্থাৎ এরূপ একটা অবয়ব থাকিতে পারে না—যাহা ইন্দ্রিয় ও নয়— অনিন্দ্রিয়ও নয়। শ্ৰী দ্বি] এস্থলে বলা যাইতে পারে যে মনুষ্য পাচ ইন্দ্রিয়ের অস্তিত্ব অবগত অাছে বলিয়াই শকুনির কথা স্বীকার করিতে পারে জিজ্ঞাসা করি যে, ইহা চেতন না অচেতন ? তিনি মুক্ত কণ্ঠে বলিবেন যে ইহ। অচেতন বস্তু। কিন্তু যদি আবার জিজ্ঞাসা করি ঘে, এই আত্ম-অষ্টি ভূমিতে রোপণ করিলে তাহা কে উৎপাদন করে ? চেতনে ? না, অচেতনে ? দ্বিজেন্দ্র বাবু ইহার কি উত্তর কিছু বলিতে পারি না । [আমরা তো গত বারেই ইহার উত্তর দিয়া চুকিয়াছি, যথা ; বৃক্ষোৎপত্তির মূল কারণ পরমাত্মা—তিনি সচেতন ; বৃক্ষোৎপত্তির সাক্ষাৎ কারণ প্রকৃতি—তাহা অচেতন । যিনি চেতন তিনি চেতন—যাহ! অচেতন তাহা অচেতন ; চেতন ও অচেতন নহে—অচেতনও চেতন নহে । শ্রীদ্বি] তবে এই স্থলে আমরা রামানুজ দশনের পদার্থ বিভাগের কথা উল্লেখ করি- “