পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । २२ कञ, २ ७1१ W তেছি । রামানুজ মতে পদার্থ তিন প্রকার—চিৎ অচিৎ এবং ঈশ্বর । দ্বিজেন্দ্র বাবু রামানুজের এইরূপ পদার্থ বিভাগের । কি অর্থ করিবেন ? যদি তিনি বলেন যে এইরূপ পদার্থ বিভাগের কোনও ভিত্তি নাই, তাহা হইলে ভরসা করি তিনি এরূপ উত্তরের যুক্তি প্রদর্শন করিবেন । । রামানুজের ঐ কথাটি আমরা সৰ্ব্বান্তঃ- : করণের সহিত শিরোধার্য্য করি ; চিং অচিৎ এবং ঈশ্বর ইহার অর্থ আস্তিক মাত্রেই এইরূপ বুঝেন যে, চিৎ কিনা অল্পজ্ঞ জীব-চৈতন্য, অচিৎ কিনা অচেতন জড় আত্মা, সেই আত্মাই চৈতন পদার্থ, সে অবস্থা নিজে চেতন পদার্থ নহে ; কেনন। অবস্থার সাক্ষী অবস্থাহইতে ভিন্ন। শ্ৰীদ্বি দ্বিজেন্দ্র বাবু অন্য এক স্থলে “ঈশ্বর চেতনও নহেন এবং অচেতনও নহেন” এই বাক্যকে আলঙ্কারিক ভাষা বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। তিনি তদুপলক্ষে বলেন যে, “প্রতিবাদীর জানা উচিত যে, এরূপ: আলঙ্কারিক ভাষা এক শোভা পায় কবিতাতে— আর শোভা পায়ু ঘরাও কথা বাৰ্ত্তায়—এ ভিন্ন বিজ্ঞানে বা তত্ত্বজ্ঞানে তাহা কোন ক্রমেই শোভা পায় না।” পদার্থ, ঈশ্বর কিনা সৰ্ব্বজ্ঞ পরিপূর্ণ চৈতন্য। ' মানব - রণ প্রবন্ধে এ তিনের প্রভেদ আমরা অতীব সুস্পষ্টরূপে প্রদর্শন করিয়াছি, যথা ;—তাচিৎ শুদ্ধ কেবল সত্যং ; চিৎ—সত্যং জ্ঞানং ; ঈশ্বর – সত্যং জ্ঞান অনন্তং । শ্ৰীদ্বি] এই তোগেল আস্তি কের কথা । না [শুধু যে উল্লেখ করিয়াছি তাহা নহে, উহার প্রমাণও দেখাইয়াছি; যথা ; যাহার। ঐরূপ কথা বলিয়াছেন তাহদের অভিপ্রায় শুদ্ধ কেবল এই যে, ঈশ্বর অচেতন ও নহেন এবং আমাদের স্যায় অপূর্ণ চেতন ও স্তিকের মতে চেতন এবং অচেতনের অতি রিক্ত কোন বস্তু অাছে কি না ? নাস্তিক য়াছেন। বাস্তবিক অচেতন অতিরিক্ত কোনও পদা- , র্থই স্বীকার করে না তাহার মতে চেতনা কোন স্বতন্ত্র পদার্থ নহে । কিন্তু চেতন ও অচেতন জড়পদার্থের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা মাত্র । একই মানবদেহ এক সময়ে চেতন এবং আর এক সময়ে অচেতন পদার্থ বলিয়া গণ্য । এই দ্বিবিধ অবস্থা যে কেবল জীবন থাকিতে এবং মৃত্যু হইলেই হয় এমত নচে, জীবিত কালের ভিন্ন ভিন্ন সময়েও হইয়া থাকে । [এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য এই যে, দেহ মূলেই চেতন পদার্থ নহে—দেহাই চেতন পদার্থ—আত্মাই চেতন-পদার্থ। আর, দেহের যে কোন অবস্থাই হউক না কেন—সেই অবস্থার সাক্ষী স্বরূপ যে, নহেন ; কিন্তু ঈশ্বর যে, সৰ্ব্বজ্ঞ, তিনি যে, পরিপূর্ণ চেতন, ইহা তাহারা নিজ মুখেই স্পষ্টাক্ষরে বারম্বার ব্যক্ত করিতবেই হইতেছে যে, “ঈশ্বর অচেতন ও নহেন চেতন ও নহেন” এটা কঠোর বৈজ্ঞানিক ভাষা নহে কিন্তু ভাবে বুঝিয়া লইবার ভাষা—আলঙ্কারিক ভাষা । শ্ৰী দ্বি] দ্বিজেন্দ্র বাবুর এই বাক্য হইতে আমরা এই ভাব গ্রহণ করিতেছি যে, ডাঃ ডিস্ডেল ও মেং প্রকটারের ভাষা আমরা বুঝিতে পারি নাই। আর যদি আমরা তাহা সত্য সত্যই বুঝিয়া থাকি তবে এরূপ ভাষা বিজ্ঞান ও তত্ত্ব জ্ঞানের অনুমোদিত নহে । আমরা বিজ্ঞানের কথা কিছু কিছু বুঝি এবং তত্ত্বজ্ঞান এমন কঠিন বিষয় যে তাহাতে আমাদের বুদ্ধি প্রবেশই করিতে পারে না । অতএব এতদ্রুপ ভাষা বিজ্ঞানের অনুগত কি না তাহ আমরা সত্বরেই