পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩০ বদটি ব্যবহার করি। “আমি আপনি যাহা বুঝি—তাহা আমি প্রভাত বাবুকে বুঝাইব” আমি আপনিই এইরূপ একটি নিয়ম স্থির করিয়াছি এবং আমার আপনার সেই নিয়মের বশবৰ্ত্তী হইয়া আমি আদ্যকার এই প্রস্তাবটি লিখিতেছি ;—তাই আমি বলি যে, আমি স্বাধীনভাবে লিখিতেছি। কিন্তু এক অংশে যেমন আমি স্বাধীন—আর এক । অংশে তেমনি আমি পরাধীন ; দোয়াত কলম না থাকিলে আমি লিখিতে পারিতাম না—আমার শরীর সুস্থ না থাকিলে আমি লিখিতে পারিতাম না—ইত্যাদি । অতএব, স্বাধীনতার ভাব আমি আপনার অভ্যন্তরে উপলব্ধি করিতেছি বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও আমি জানিতেছি যে, আমি সৰ্ব্বতোভাবে স্বাধীন নহি ;– কোন আপেক্ষিক সত্যই আপনাতে আ- | পনি পৰ্য্যাপ্ত নহে সুতরাং সৰ্ব্বতোভাবে স্বাধীন নহে ; পরমাত্মাই সৰ্ব্বতোভাবে স্বাধীন। শ্ৰী দ্বি] ধ্বনির সহিত চৈতন্যের সাদৃশ্য যে এই স্থলেই শেষ হইয়াছে এমত নহে । ধ্বনির উৎপত্তি জন্য যেরূপ বীণা এবং বাদক আবশ্যক, চৈতন্যের উদ্রেক জন্যও মস্তিষ্ক এবং আলোক আদি উত্তেজন আবশ্যক । ইহা বাস্তবিক বিজ্ঞানেরই কথা, কল্পনার কথা নহে। মস্তিষ্কই যে বাস্তবিক চৈতন্যের যন্ত্র ইহা প্রতিপাদন করিতে চেষ্টা না করিয়! আমরা ডাং ফেরিয়ার কৃত “মস্তিষ্কের ক্রিয়া” নামক গ্রন্থের ৪২৪ পৃষ্ঠা হইতে নিম্নলিখিত অংশ উদ্ধ ত করিলাম। "মস্তিষ্কই যে মনের যন্ত্র ইহা সৰ্ব্ববাদিসম্মত স্বতঃসিদ্ধ। দ্ব্যৰ্দ্ধ মস্তিঙ্কের ক্রিয়া হইতে যে চৈতন্যের কোনও অবস্থার স্বাতন্ত্র্য আছে এমত প্রমাণ তত্ত্ববােধিনী পত্রিক > २ के छ. २ “t - - - മ്മജ്ഞ অতিরিক্ত সংযুক্ত আছে অথবা সরলতম স্নায়বিক যন্ত্রের ক্রিয়া হইতে যে বাল্‌কল (cortical) কেন্দ্র সকলের ক্রিয়ার কোন পার্থক্য ভাব আছে তাহাও বিশ্বাস করিবার কারণ নাই ; কিন্তু সরলতম প্রতিক্ষেপিকা ক্রিয়া এবং জটিলতম মানসিক . কার্য্য মধ্যে যে ধারাবাহিক অচিছন্ন প্রকার gradation) আছে তাহারই বরং প্রমাণ পাওয়া যায় ।” [মস্তিষ্ক যে একটা যন্ত্র, ইহা কেহই অস্বীকার করে না, কিন্তু মস্তিষ্ক কাহার যন্ত্র ? সাক্ষী চৈতন্যের—আত্মার । সুতরাং সাক্ষী চৈতন্য মস্তিষ্ক হইতে ভিন্ন—যন্ত্রী যন্ত্র হইতে ভিন্ন । আলোক কাছার চক্ষু রিদ্রিয়কে উত্তেজিত করে ? সাক্ষী চৈত ন্যের—আত্মার । সুতরাং সাক্ষী চৈতন্য আলোক এবং চক্ষুরিন্দ্রিয় হইতে ভিন্ন । সরলতম স্নায়বিক ক্রিয়ারই বা কে ফলভোক্তা, আর, জটিলতম কৈন্দ্রিক ক্রিয়ারই বা কে ফলভোক্ত ? ন! সাক্ষী-চৈতন্য ; সুতরাং সাক্ষী চৈতন্য স্নায়বিক এবং কৈন্দ্রিক ক্রিয়া হইতে ভিন্ন। অতএব প্রভাত বাবু ঐ সকল বিভিন্ন ক্রিয়ার সহিত সাক্ষী চৈতন্যকে জড়াইয়া ঝোলে অম্বলে মিশাইবেন না। শ্ৰী দ্বি] আলোক অাদির উত্তেজন ব্যতীত যে চৈতন্য উৎপন্ন হয় না এখন সেই বিষয়ের আলোচনা করা যাউক । আমাদের শারীরিক প্রকৃতি এরূপ দেখা যায় যে, কিছু কাল পরিশ্রম করিলে শ্রমশক্তি ক্রমে লাঘব হইতে থাকে, অবশেষে এরূপ হইয়। দাড়ায় যে, আর পরিশ্রম করিতে পারা যায় না। তখন সমুচিত কাল বিশ্রাম না করিলে আর শ্রমক্ষম হইতে পারা যায় a ইহাতে এই সিদ্ধান্ত হইয়া থাকে নাই। পরস্তু কোন কিছু যে (মস্তিষ্কে) যে, বিশ্রাম দ্বারা স্নায়ু ও মাংসপেশীতে