পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• داد چیfچ মানবীকরণই বটে ১৩১ এক প্রকার শক্তি সঞ্চিত হয় । সেই সঞ্চিত শক্তির বিকাশ প্রভাবেই পরিশ্রম করতে পারা যায় এবং পরিশ্রম সহকারে তাহার ক্ষয় হইলে পুনরায় ক্লান্ত হইয়৷ পড়িতে হয় ? (শারীর বিধান বিদ্যা মতে পরিশ্রম দ্বারা এক প্রকার ক্লান্তিজনক পদার্থও মাংসপেশীতে উৎপন্ন হইয়া পরিশ্রম-শক্তি লাঘব হয়। সুতরাং ক্লাস্তিজনক পদার্থের উৎপত্তি ও পরিশ্রম-শক্তি লাঘবের এক উপাদান ) চিন্তাশক্তি এবং চৈতন্য সম্বন্ধে ও তদ্রুপ । চেতন থাকিলে চিন্তা শক্তির কিছু কিছু চালনা হয়ই হয় । , তদ্ধেতু সময়ে সময়ে এরূপ অবস্থা দাড়ায় যে, নিদ্রিত হইয়। সমুচিত বিশ্রাম না করিলে সুবিধা ও শৃঙ্খলার সহিত চিন্ত৷ করা দূরে থাকুক দীর্ঘকাল জাগ্রৎ থাকিতেও পারা যায় না । এই হেতু চিন্তা করিবার এবং চেতন থাকিবার জন্যে ও ম স্তিস্ক মধ্যে বিশেষ প্রকার শক্তি সঞ্চিত । হওয়া আবশ্যক । পরস্তু শারীরিক পরিশ্রম দ্বারা যেরূপ পেশী, মধ্যে ক্লান্তিজনক • পদার্থ জন্মে মানসিক পরিশ্রম দ্বারা সেইরূপ কোন পদার্থ মস্তিষ্ক মধ্যে উৎপন্ন হয় এমত প্রমাণ নাই । অতএব কেবল মস্তিস্কের শক্তি ক্ষয়ই চিন্তা ও চেতনা শক্তি লাঘবের একমাত্র কারণ | [অত কথা না বলিয়া এক কথায় বলিলেই হয় যে, শরীর ভাল থাকিলেই চিন্তাশক্তি রীতিমত স্ফক্তি পাইতে পারে। কিন্তু বাহ্য বস্তুও যেমন—মানসিক চিন্তাও তেমনি—উভয়ের কোনটিই সাক্ষী চৈতন্য নহে ; হস্তীও আমি নহি—হস্তিচিন্তাও আমি নহি ; শরীরও আমি নাহি—শরীরচিন্তাও আমি নহি, তবে কি ? না সেই সকল বস্তুর এবং সেই সকল চিন্তার সাক্ষী পুরুষই আমি-শব্দের বাচ্য। সাক্ষী চৈ some তন্ত্য সাদা বস্তু দেখিবার সময় সাদা হয় না—কালো বস্তু দেখিবার সময় কালো হয় না ; দুই বস্তু দেখিবার সময় দুই হয় না—তিন বস্তু দেখিবার সময় তিন হয় না ; সাক্ষী চৈতন্য হস্তি-চিন্তার সময়েও হস্তী হয় না—অশ্ব-চিন্তার সময়েও অশ্ব হয় না ; বস্তু-বৈচিত্র্যে সাক্ষী-চৈতন্যের বৈচিত্র্য হয় না ; সুতরাং চিন্তাপ হ্রাস বৃদ্ধিতে সাক্ষী চৈতন্তের হ্রাস-বৃদ্ধি হয় না। স্নাক্ষী চৈ তন্য আপনার সতেজ চিন্তা-শক্তিরও সাক্ষী —নিস্তেজ চিন্তা-শক্তির ও সাক্ষা । নিদ্রাকর্ষণের সময় তো চিন্তাশক্তি খুবই নিস্তেজ হয়, কিন্তু তখনও সাক্ষী চৈতন্য এক প্রকার । সূক্ষ আরামের অবস্থায় প্রবেশ করিয়া পরম সুখ উপলব্ধি করে ; এই জন্যই নিদ্রোথিত ব্যক্তির মুখে এ কথা শোভা পায় যে, “কল্য রাত্রে আমি পরম সুখে নিদ্রা গিয়াছিলাম” ; কারণ, নিদ্রাকালে যদি সে ব্যক্তি পরম সুখের অবস্থা উপলব্ধি না করিত, তবে পরবর্তী কালে সে বৃত্তান্তটি কখনই তাহার স্মৃতি-পথে আবিভূতি হইতে পারিত না ; কেননা পূর্বে যে-বিষয় সাক্ষাৎ জ্ঞানে উপস্থিত হইয়াছে, সেই বিষয়ই কেবল পশ্চাতে স্মরণে উপস্থিত হইতে পারে ; অতএব নিদ্রোথিত ব্যক্তির যখন দিব্য স্মরণ হইতেছে যে, কল্যরাত্রে আমি পরম সুখে নিদ্রা গিয়াছিলাম, তখন নিদ্রাকালে সে সুখ অবশ্যই তাহার সাক্ষাৎ জ্ঞানে বিদ্যমান ছিল । আমার বেস্ স্মরণ হইতেছে যে, অৰ্দ্ধঘণ্টা পূর্বে আমি প্রভাত বাবুর প্রতিবাদ পাঠ করিয়া পরম আনন্দ অনুভব করিয়াছি— ইহাতেই প্রমাণ হইতেছে যে উক্ত সময়ে (স্মরণে নহে কিন্তু সাক্ষাৎ জ্ঞানে) বাস্তবিকই আমি আনন্দ অনুভব করিয়াছিলাম। এইরূপ নিদ্রোথিত ব্যক্তির এই যে একটি