পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ বৃত্তান্ত স্মরণ হইতেছে যে, কল্য রাত্রে আমি পরম সুখে নিদ্রা গিয়াছিলাম, ইহাতে স্পষ্টই প্রমাণ হইতেছে যে নিদ্রাকালে সে ব্যক্তি (স্মরণে নহে কিন্তু সাক্ষাৎ জ্ঞানে) পরম সুখ অনুভব করিয়াছিল । অতএব নিদ্রাবস্থায় যখন চিন্তা-শক্তি নিস্তেজ হইয়া পড়ে—সাক্ষী চৈতন্য তখনকারও স্থখাবস্থার সাক্ষী—স্থতরাং সে আপনি সে-অবস্থা হইতে ভিন্ন। সাক্ষী । চৈতন্য নিজে জাগ্ৰদবস্থাও নহে, স্বপ্নাবস্থা ও নহে, স্থযুপ্তি অবস্থাও নহে—পরন্তু তিন অবস্থারই সাধারণ সাক্ষী । শ্ৰীদ্বি] মাংসপেশী ও মস্তিষ্কে যে শক্তি সঞ্চয়ের । উল্লেখ করা গেল সেই সঞ্চিত শক্তি বাস্তবিক কিরূপ তাহার ও অালোচনা করা তাবশ্যক। আমরা অণুক্ষণ নিঃশ্বাস পরিত্যাগ এবং প্রশ্বাস গ্রহণ করতেছি । এই দ্বিবিধ ক্রিয়া দ্বারা দুইটী কাৰ্য্য সম্পন্ন হয় । নিঃশ্বাস দ্বারা অভ্যন্তরস্থ নিম্প্রয়োজনীয় পদার্থ পরিত্যক্ত এবং প্রশ্বাস দ্বারা বায়ু হইতে অম্লযান গৃহীত হয়। ফু পরীক্ষা দ্বারা স্থিরা (মুক্ত ও মিশ্রিত) অম্লজান নিঃশ্বাস যোগে বহির্গত হয় তাহা অপেক্ষা অধিক পরিমাণ প্রশ্বাস যোগে গুঙ্গীত হইয়া থাকে। সুতরাং ঐ গৃহীত অতিরিক্ত তাম্লজান শোণিত অাদিতে সঞ্চিত থাকে। সেই সঞ্চিত আয়

  • প্রভাত বাবু এখানে একটি শব্দের ভুল করিয়াছেন ; নিশ্বাস না লিথিয় তিনি নিঃশ্বাস লিথিয়াছেন, এবং তাহার অর্থ এইরূপ করিয়াছেন যে, যে শ্বাস নির্গত হয় তাহাই নিঃশ্বাস । কিন্তু আমাদের দেশীয় ভাষায় নিঃশ্বাসের নি বিসর্গ-যুক্ত নহে। নিৰ্ব্বাসের নি বিসর্গ যুক্ত বটে কিন্তু নিবাসের নি বিসর্গ-যুক্ত নহে। সংস্কৃত ভাষার নি; = লাটিন ভাষার ex ; কিন্তু সংস্কৃত ভাষার নি = লাটিন ভাষার in ৷ নিশ্বাস-কিনা inbroathing | *is*® ®ft* &f — Latin œtat$ proইংরাজি ভাষার forth; প্রশ্বাসকিন প্রক্ষিপ্ত propelled oth -breathing forth ; AS48, Co oth নির্গত হয় তাহাই প্রশ্বাস। ঐ দ্বি]

তত্ত্ববােধিনী পত্রিক জান শারীর পদার্থের সহিত রাসায়নিক আদিরূপে মিশ্রিত হইয়া তাপ উৎপাদন করে , সেই উৎপন্ন তাপই বাস্তবিক সর্বপ্রকার শারীর শক্তির মূল। এ জন্য যদি কোন কারণবশতঃ অম্লজান গ্রহণের ব্যাঘাত হয় তবে শারীর ক্রিয়া, এবং মানসিক কাৰ্য্য সমুদয়েরই ব্যত্যয় জন্মে । ༦ཐ་སྦི་ হেতুই পীড়া বিশেষে মানসিক বিকার এবং প্রলাপ আদিও হইতে দেখা যায় । নিশ্বাস প্রশ্বাসজ উত্তাপ ব্যতিরেকে শরীর কিছুতেই রক্ষা পাইতে পারে না— ইহা খুবই সত্য ; কিন্তু তাহা বলিয়া সে উত্তাপকে সাক্ষী চৈতন্য বলা যাইতে পারে না ; কে তবে সাক্ষী চৈতন্য ? না সেই উত্তাপের ফলভোক্তা—সেই উত্তাপের উ পলব্ধিকৰ্ত্ত—সেই উত্তাপের জ্ঞাত । ॐ) न् ि| জীব-শরীরে দুই প্রকার পদার্থ আছে। মৃত এবং জীবিত। যথা, মস্তিষ্ক ও স্বায়ু মণ্ডলের মধ্যস্থ শ্বেত ও ধূসর পদার্থ। শ্বেত পদার্থ মৃত এবং ধূসর পদার্থ জীবিত । কৃত হইয়াছে যে, নিদ্রাকালে যে পরিমাণ । শারীর মৃত এবং জীবিত পদার্থের সহিত । এক দিকে কাঠ ও দহনোৎপন্ন জল আদি এবং অন্য দিকে অনলের তুলনা হইতে পারে। যখন কাষ্ঠস্থিত ইন্ধন বায়ুস্থ আয়জানের সহিত রাসায়নিক রূপে মিশ্রিত হইতে থাকে, তখন সেই মিশ্রণশীল অবস্থার নাম অনল । উক্ত মিশ্রণ সমাপ্ত হইয়া যে বস্তুর উৎপত্তি হয় তাহা জল আদি । এস্থলে কাষ্ঠ ও জলকে মৃত এবং অনলকে জীবিত বলা যাইতে পারে। কারণ শারীর মৃত পদার্থ সকল কাষ্ঠ বা জলের ন্যায় শরীরান্তর্গত বিশেষ প্রকার মিশ্রণ কার্য্যের পূর্ব এবং শেষ এবং टेलহিক জীবিত পদার্থ অনলের ন্যায় সেই বিশেষ প্রকার মিশ্রণশীল অবস্থা । আর