পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృం তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা २२ कब्र*२ ष्टांग z A us- - ব্রাহ্ম, এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাব বিস্মৃত হইয়া, আমরা ব্রাহ্ম এক ঈশ্বরের উপাসক, এক পিতার পুত্র, মনুষ্য আমাদিগের ভ্রাতা, এই মহৎ ভাবটির প্রতি আত্মার সমস্ত ঝোক সমর্পণ করি । এই পদ্ধতিই সম্মিলনের পদ্ধতি । এই পদ্ধতি অবলম্বন করিলে তোমাদিগের মধ্য হইতে সকল বিবাদ চলিয়া যাইবে, শান্তির অভু্যদয় হইবে এবং ব্রাহ্মধৰ্ম্মের জয় হইবে।” বাঙ্গালীর দোষ-দৰ্শনবৃত্তি প্রবল। এই প্রবলতা হেতু এই জাতি উচ্ছিন্ন যাইবার উপক্রম হইয়াছে । মাদ্রাজ ও বোম্বাই প্রদেশে রাজনৈতিক বিষয়ে সঙ্গদেশ অপেক্ষ। অনেক ঐক্য আছে । তাহার কারণ এই যে ঐ সকল দেশের লোকের দোষ-দর্শন বৃত্তি এত প্রবল নহে । বঙ্গদেশে এই দোষ দর্শন বৃত্তির প্রবলতা রাজনৈতিক বিষয়ে যেমন অনৈক্য ও বিবাদের হেতু তেমনি ধৰ্ম্ম বিষয়েও অনৈক্য ও বিবাদের হেতু । মনুষের দোষের ভাগ । দোষ দর্শন প্রবৃত্তির প্রবলতার কারণ ঔদা অপেক্ষা গুণের ভাগ দেখা কর্তব্য । র্মের অভাব। ব্রাহ্মসমাজে অশান্তির তার এক কারণ প্রাধান্যের ইচ্ছা । ব্রাহ্মসমাজের লোক মুষ্টিমেয় লোক । এই মুষ্টিমেয় । লোকের মধ্যে বিরোধ কলহের প্রবলতা নূতন মত, একটি একটি নূতন দল, স্থাপন করিয়৷ বাহাদুরি দেখাইবার ইচ্ছা। ইহাতে কেবল বিরোধ কলহই ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাইতেছে । আমাদিগের সমাজের মহা বাক্য বৈচিত্র্যের ভিতর ঐ ক্র্য । আসল বিষয় ঐক্য, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় অনৈক্য অতএব তন দল স্থাপন করিবার কোন প্রয়োজন নাই। নূতন দল স্থাপনের একমাত্র মূল প্রাধানের ইচ্ছা এবং নম্রতা ও ঔদার্য্যের অভাব । কোন মহাত্মা ঔদার্মের গুণ যেরূপ কীৰ্ত্তন করিয়াছেন তাহার সারমর্ম আমরা দিতেছি । “যদ্যপি দেবতার ন্যায় আমার বত্ত তা-শক্তি থাকে, যদ্যপি আমার ভবিষৎ বিষয়ে দিব্য জ্ঞান থাকে, যদ্যপি গুপ্ত অগুপ্ত সকল বিদ্যা আমার আয়ত্ত থাকে, যদ্যপি দেখিয়া বাহিরের লোকে অবাক হয় । এই ৷ মুষ্টিমেয় লোকের মধ্যে সকলেরই পরস্পরের প্রতি পরম্পরের প্রাধান্য স্থাপন করিবার ইচ্ছা । কিন্তু আমরা বিবেচনা করি না যে, যে প্রাধান চায় সে প্রাধান্য পায় ন! ; মে প্রাধান্য চায় না সে প্রাধান্য পায় । যাহাকে ঈশ্বর প্রধান করিয়া স্বষ্টি করিয়াছেন সে প্রধান হইতে চেষ্টাবান হউক বা ন৷ হউক সে প্রধান হইবেই। আর সকলই যদি প্রধান হইবেক তবে নিকৃষ্ট হইবেক কে ? ব্রাহ্মসমাজের সকলেরই এক একটি নূতন । ঈশ্বরে আমার খুব বিশ্বাস থাকে, যদ্যপি আমি আমার সর্বস্ব দরিদ্রকে দিই কিন্তু যদি আমার ঔদার্য গুণ না থাকে তাচ হইলে তাহাতে কোন উপকারই সদয় । ঔদাৰ্মা ঈর্ষা করে না, ঔদাৰ্মা গৰ্ব্ব করে না, ঔদার্স্য স্ফীত হয় না, ঔদার্য্য অভদ্র ব্যবহার করে না। ঔদার্স্য পার্থ খুজে না, ঔদার্স শাস্ত্র রুষ্ট হয় না, ঔদার্ষ্য কু ভাবে না । ঔপর্ম সকল বহন করে, সকল বিশ্বাস করে, সকল আশা করে, সকল সঙ্গা করে । ঔদার্য্য কখন অসিদ্ধ হয় না । ভবিষৎ দৃষ্টি অসিদ্ধ হয়, বক্ততাশক্তি অসিদ্ধ হয়, বিদ্যা অসিদ্ধ ছয় । কিন্তু ঔদার্য্য কখন অসিদ্ধ হয় ন৷ ” এই ঔদার্য্য গুণ যখন ব্রাহ্মসমাজে প্রবল হইবে তখন ব্রাহ্মসমাজের এক নূতন ত্ৰ হইবে। কোন ইংরাজ খ্ৰীষ্টীয়ধৰ্ম্ম প্রচারক কাশীর দণ্ডী ও পরমহংসদিগের সম্বন্ধে লিখিয়াছেন যে র্তাহাদিগের মনের শান্তি অত্যন্ত ও র্তা হাদিগের চিত্ত সদাই আত্মপ্রসন্নতা দ্বারা