পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ზა8 c তত্ত্ববোধিনী পত্রিক २३ कछ, २ छtनां জানেন না—ৰ্তাহীদের মুখেই ঐ সকল অমূলক কথা শোভা পায়, প্রভাত বাবুর ন্যায় কৃতবিদ্য লোকের মুখে তাহা কোনক্রমেই শোভা পায় না। ঐদ্ধি ] অতএব চৈতন্য এবং বেদনা বোধ যখন সঞ্চিত জড় শক্তির বিকাশ মাত্র, তখন তাহাতে যে একটী দ্বিতীয় গতি উৎপাদন করিবে ইহা সিদ্ধান্ত কর। বিজ্ঞান বহি ভূত নহে ৷ ” পূৰ্ব্বে আমরা দেখাইয়াছি যে, একট। ধাবমান গোলাতে তো যথেষ্ট জড়-শক্তির বিকাশ আছে—কিন্তু তাহা সত্ত্বেও তো বিজ্ঞান বলিতে পারে না যে, কেমন করিয়া তাহা একট। স্থির গোলাতে গতির সঞ্চার করে । তাত এল কে মল গতি সঞ্চারিত হয় —ইহা বিজ্ঞান ও বলিতে পারে না—আমরা ও বলিতে পারি না ; কিন্তু বিজ্ঞানেরও এ কথা সত্য যে, বাস্ত করিয়া গতি সঞ্চারিত হয়, আমাদেরও সত্য যে, বাস্তবিকই গতিশূন্য চৈতন্য কতৃক হস্ত পদাদির গতি পরিবর্তিত আমরা ঘদি বলিতাম যে গতিশূন্য চৈতন্য হষ্টতে গতির স্বষ্টি হয় ; তাহা হইলে অবশ্য প্রভাত বাবু বলিতে পারিতেন দে, ও কথাটি নিতান্তই বিজ্ঞান-বিরুদ্ধ । কেনন বিজ্ঞানের ইচা একটি ধ্রুব সিদ্ধান্ত যে, সমস্ত জড়জগতের মোট গতির হ্রাসবৃদ্ধি সম্ভবে না। আমরা কেবল রলিতেছি এই যে, চৈতন্য শুদ্ধ কেবল গতির পরিবর্তন কৰ্ত্ত—গতির নিয়ামক । আমরা যদি বলিতাম যে, গতিশূন্য চৈতন্য বহির্জগতে গতি প্রদান করে তাহা হইলেই প্রভাত বাবু বলিতে পারিতেন যে, চৈতন্যের নিজেরই যখন গতি নাই তখন সে কিরূপে গতি প্রদান করিবে ? যাহার ধন এ কথা श् ?ा | নাই সে কিরূপে ধন-দান করিবে ? কিন্তু আমরা আদবেই তাহ বলি না ; আমর। বলি এই যে, সমস্ত জড় জগতের মোট গতি যাহা আছে-—তাহার ইয়ভা (Quantity) চিরকালই সমান ; কোন-কালেই তাহার ন্যনাধিক হয় ও না হইতে পরিবেও না । ইহা সত্ত্বেও গতির পূরিবর্তন দুইরূপে সংঘটিত হইতে দেখা যায়, যথা ; – (১) এক জড়বস্তুর গতি অন্য জড়বস্তুর গতি দ্বারা পরিবর্তিত হয় ; (২) চৈতন্য দ্বারা জড়বস্তু বিশেমের গতি পরিবর্তিত হয় । গতির পরিবর্তন বিজ্ঞান-বিরুদ্ধ নহে– । গতির নতন-স্বষ্টিই বিজ্ঞান-বিরুদ্ধ। চৈ, তন্য নিজে বর্ণহীন হইয়া ও যদি শ্বেতাদি বর্ণ দর্শন করিতে পারি ল তবে সে নিজে গতিহীন হইয়া ও হস্ত পদাদির গত পরি. বৰ্ত্তন করিবে—ইহাতে আশ্চর্য্যই বা কি ? শ্ৰীদি] অতএব প্রতিপন্ন হইতেছে যে, চৈতন্য স্থির পদার্থ নহে । তাহা কখন কখন বিদ্যমান থাকে ও কখন কখন তান্তহিত হইয়। মায় । এর কিছু কাল বিদ্যমান থাকিলে এরূপ অবস্থা দাড়ায় যে আর বিদ্যমান থাকিতে পারে না ; তখনই নিদ্র। আবশ্যক হয় । সেই নিদ্র। নিবন্ধন বিশেষ শক্তি সঞ্চিত হইলে চৈতন্যের পুনরুৎপত্তি হইয়া থাকে । নিদ্রাবস্থাতেও যে সাক্ষী চৈতন্য অন্তহিত হন না, তাছার প্রমাণ এই যে, নি Tণর সময়ে এক প্রকার সূক্ষ আরামের অবস্থা জ্ঞানে অনুভূত হয় তাই নিদ্রোখিত ব্যক্তির স্মরণ হয় যে, আমি সুখে নিদ্র। গিয়াছিলাম । নিদ্রাকালে যদি আমার জ্ঞান একেবারেই বিলুপ্ত হইত, তবে জাগিয়া উঠিবার সময় আমি নিছক অজ্ঞানের গৰ্ত্ত হইতে পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হই