পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هد عاد fifeجatsrة

=

মানবীকরণই বটে ১৪১ মাকে গুরু মহাশয়ের পাঠশালায় ক খ শিক্ষা করিতে হইত। শ্ৰীদ্বি] এস্থলে প্রশ্ন হইতে পারে যে যদি চৈতন্য জড় শক্তিরই বিকাশ হয়, তবে তাহা কিরূপে আপন হইতে উৎপন্ন হইয়৷ থাকে ? বাস্তবিক আলোক আদির উত্তেজনাই চৈতন্য বিকাশের কারণ। প্রাণগণ সৰ্ব্বদাই আলোক তাপ তা দিতে পরিবেষ্টিত । সেই পরিবেস্টক আলোক ত্যাদি নিয়তই প্রাণিগণের ইন্দিয়-মন্ত্রে ক্রিয়। করে । সেই ক্রিয়। নিবন্ধন মস্তিস্কের কাৰ্য্য হইতে থাকে আর তথা কার সঞ্চিত শক্তির বিকাশ হইতে আরম্ভ হয়। তাহ অবশেসে এরূপ লাঘব হইয় পড়ে যে আলোক অাদির সামান্য উত্তেজনায় চেতনা রক্ষা করিতে পারে না । এই হেতুই শীত কালের দুর্বল তাপে মৰ্ম্মট প্রভৃতি শান্তাসহ রাখিতে পারে না। পক্ষান্তরে সমুচিত নিদ্রা হইয়া শক্তির পুনঃ সঞ্চয়ের সহিত মস্তিষ্ক সতেজ হইয়া উঠিলে উক্ত সামান্য উত্তেজনেই আবার চৈতন্য উৎপাদন করিতে পারে । এই হেতুই স্তস্থ ব্যক্তিগণ দিবালোক প্রকাশিত হইলে তার নিদ্রিত থাকিতে পারে না | জন্তগণকে জাগরিত এই যে, জড় শক্তির বিকাশ দ্বারা গতি উৎপন্ন হয় ; যেমন, সূর্যের আকৰ্ষণশক্তির বিকাশ হয় কোথায়—ফল ফলে কোথায় ? না পৃথিবীর বাৎসরিক গতিতে; জড়-শক্তি যদিও তিন শ্রেণীতে বিভক্ত হইতে পারে, যথা –যান্ত্রিক রাসায়নিক এবং জৈবনিক ; তথাপি, সাক্ষী চৈতন্যকে পৃথক রাখিয়া—শুদ্ধ যদি কেবল জড়-বস্তুর প্রতিই লক্ষ নিবদ্ধ করা যায়, তাহা হইলে তাম,—সুতরাং তাহা হইলে আবার অা ta u স্পষ্টই দেখিতে পাওয়া যায় যে, যান্ত্রিক (Mechanical) শক্তিই কেবল জড় বস্তুর নিজস্ব সম্পত্তি ; কেননা, যান্ত্রিক শক্তি দ্বারাই জড়বস্তু-সকল পরস্পরের গতি-পরি বর্তন করে ; আর এই যে গতি-পরিবর্তন— ইহা শুদ্ধ কেবল জড়-বস্তুরই গতি-পরিব র্তন—চেতনের নহে। কিন্তু রাসায়নিক অথবা জৈবনিক শক্তি দ্বারা জড়-বস্তুর গুণপরিবর্তন যাহা হয়—সমস্তই ইন্দ্রিয়মূলক ; স্ত রং তাহা জড়বস্তুর নিজের গতি-পরিবর্তন নহে, কিন্তু জীব চৈতন্যের অবস্থা-পরিবর্তন । উদজন এবং অন্নজন বাষ্প যথা-পরিমাণে মিশ্রিত হইলে আমা- ৷ দের মেত্র সমক্ষেই তাহ৷ জলন্ধপে প্রতিভাত হয় ; কিন্তু উক্ত বস্তু দ্বয়ের নিজের অভ্যন্তরে শুদ্ধ কেবল যান্ত্রিক শক্তিই কার্য্য করে, এবং তাহার ফল শুদ্ধ কেবল আণবিক গতি-পরিবর্তনেই পর্য্যবসিত হয়। এ যাহা বলিলাম—মোটামুটি বলিলাম । কিন্তু দৃক্ষ ধরিতে গেলে—সাক্ষা-চৈত lکیا ন্যকে পৃথক রাখিয়া জড়-বস্তুকে স্বতন্ত্ররূপে ভাবা মনুষ্যের শুধু নয়—দেবতার ও সাধ্যাতীত । যখন তামি আলোক ভাবি, তখন তামি চক্ষে দেখা আলোক ভাবি ; [বিজ্ঞান যাহা বলে তই শুদ্ধ কেবল । যাহা হে কখন চক্ষে দেখে নাই ও পারে না— এরপ অালোক আলোকই নহে। শুন্য আকাশকে আমরা চৰ্ম্মচক্ষে দেখি না বটে—কিন্তু তথাপি তাহাকে আমরা মনশ্চক্ষে দেখি । গতি কাহাকে বলে ? না সেই মনশচক্ষে দেখা আকাশের স্থান-পরিবর্তন । কিন্তু মোটামুটি এরূপ বলিলে বিশেষ কোন দোষ হয় না যে, যান্ত্রিক শক্তি-প্রবর্তিত গতিই কেবল জড়-বস্তুর নিজস্ব সম্পত্তি তা ভিন্ন জড়-বস্তুর তার যত প্রকার গুণ আছে । সমস্তই ঐন্দ্রিয়ক গুণ—সুতরাং চেতন-সা