পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুগ্রহায়ণ ১৮১e , Ευαμπαμαμα পারে। প্রভাত বাবুর এই যে একটি কথা যে, সমস্ত স্বস্ট জীবের চৈতন্য মস্তিষ্ক যন্ত্রবিশিষ্ট ইহা বাস্তবিকই যদি পরীক্ষণসিদ্ধ হয় তবে তাহা শিরোধাৰ্য্য করিতে অামাদের কিছুমাত্র আপত্তি নাই। কিন্তু সমস্ত জগতের তুলনায় পৃথিবী ক্ষুদ্র একরভি বালু কণাও নহে ; আমরা কেবল এইটুকু মাত্র জানি যে, পৃথিবীস্থ জীবগণেরই মস্তিষ্ক যন্ত্র আবশ্যক—তাহা ও আবার সকল জীবের নহে ; অামাবিয়া নামক জীব শুদ্ধ কেবল একটা তলতলে পিণ্ড মাত্র—তাহার না আছে মস্তিক—না আছে কিছু। বাবু যদি সমস্ত জগতের সমস্ত জীবের তত্ত্ব অনুসন্ধান করিয়া এইরূপ একটি স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়া থাকেন যে, জীবমাত্রই মস্তিষ্ক যন্ত্র-বিশিষ্ট, তবে আমরা শুদ্ধ কেবল এই বলিব মে, তাহার পরীক্ষা শক্তির পক্ষ প্রলয় বিস্তীর্ণ ; আমাদের পরীক্ষা শক্তি পিপীলিকার ন্যায় ক্ষুদ্র কাজেই এ’র অত বড় একটা পালখ উ- , ঠিলে—এ তাহার ভারে চাপ পড়িয়৷ তদণ্ডেই প্রাণত্যাগ করিবে । বহুপূৰ্ব্বে এক কালে যখন প্রায় সমস্ত পৃথিবী জলে জলময়-ছিল তখন পৃথিবীতে মেরুদণ্ডধারী প্রাণীদিগের মধ্যে শুদ্ধ কেবল মৎস্য কুম্ভীরাদি শীতলশোণিত জীবদিগেরই একাধিপত্য ছিল—পৃথিবীতে তখন এইরূপ ছিল বলিয়া কিছু আর এটা প্রমাণ হয় না যে, শীতল শোণিত ছিল । তেমনি অদ্যকার এই পৃথিবীতে উচ্চ শ্রেণীর জীব মাত্রেই মস্তিষ্ক যন্ত্র-বিশিষ্ট ইহা যৎপরোনাস্তি সুনি শ্চিত হইলেও তাহাতেই কিছু আর এটা প্রমাণ হয় না যে, সমস্ত জগতের সমস্ত উচ্চশ্রেণীর জীবই মস্তিষ্ক যন্ত্র-বিশিষ্ট ; কেনন, সমস্ত জগতের তুলনায় পৃথিবী মানবীকরণই বটে ১৪৩ ক্ষুদ্র একরত্তি বালুকণাও নহে। এরূপ সত্ত্বেও আমরা মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিতেছি যে, এমন হইলেও হইতে পারে যে, সমস্ত জগতের সমস্ত জীবই মস্তিষ্ক যন্ত্র-বিশিষ্ট ; তবে কি—না তাহ পরীক্ষা-সাপেক্ষ; সমস্ত জগৎ পর্য্যবেক্ষণ করিয়া না দেখিলে আমরা সে বিষয়ে ছ। কি না কোন কথাই বলিতে পারি না। অতএব প্রভাত বাবু যে কথাটি বলিতেছেন তাহ (নতন্তই পরীক্ষা-সা পেক্ষ । কিন্তু তামরা যে কথাটি বলিতেছি তাহা স্ব সিদ্ধ সুতরাং পরীক্ষা-নিরপেক্ষ ; প্রভাত । অাকর্ষণে বিষ্কৃত, সুতরাং পরাধান; সুতরাং তাহা এই ;—জগতের সকল বস্তুই পরের সমস্ত জগৎই পরাধীন বস্তুর সমষ্টি; প্রত্যেক সেনাই নদি পরাধান হয়, তবে সমস্ত সৈন্যমণ্ডলী কাজে কাজেই পর্যপান । অতএব, জগতের সমস্ত বস্তুই যখন পরাধীন, তখন অবশ্য সমস্ত জগৎই পরাধান । অতএব সমস্ত জগৎ কাহারো না কাহারো আশ্রয়াধান; সমস্ত জগৎ র্যাচার আশ্রয়াধীন, তিনি নিজে পরাধান হইতে পারেন না ; কেননা এক পরাধান অন্য পরাধানকে আশ্রয় দান করিতে পারে না, ভীর ভয়ার্টকে অভয়-দান করিতে পারে না, অন্ধ অন্ধকে পথ প্রদর্শন করিতে পারে না । অতএব ইহা স্বতঃসিদ্ধ যে, যিনি সমস্ত জগতের মূলাধার তিনি সৰ্ব্বতোভাবে স্বাধীন পুরুষ, সুতরাং তিনি মস্তিষ্কের অথবা বাহিরের তখন সমস্ত জগতেরই মেরুদণ্ডধারী জীব । অন্য কোন সামগ্রীর সাহায্য-নিরপেক্ষ । পরিপূর্ণ দ্বিগুণ সভাই—অর্থাৎ পরিপূর্ণ সচেতন সভাই—যে, সমস্ত অপূর্ণ সন্তার মূলাধার, ইহা স্বতঃসিদ্ধ, তাই পরীক্ষানিরপেক্ষ । খণ্ড আকাশ-মাত্রই অসীম আকাশের ক্রোড়ীভূত এ সত্যটি প্রমাণ করিবার জন্য অশেষবিধ খণ্ড আকাশ প- , রীক্ষা করিয়া দেখিবার প্রয়োজন নাই,---