পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• د۶د.»t; t শান্তিনিকেতন SS - ---- - - مـبـیے ۔ا۔=ی Cúsifs"If I "great tranquility of mind and radiant happiness of temper"fog ব্রাহ্মদিগের মধ্যে ইহার বিপরীত দেখা যায় । ই হাদিগের মধ্যে অধিকাংশ ব্যক্তি সদাই চঞ্চল, সদাই আবেগপূর্ণ, সদাই অসন্তুষ্ট্র, সদাই দোষানুসন্ধানে তৎপর। প্রাচীন ঋষির বলিয়া গিয়াছেন যে "সম্যক প্রশান্ত চিত্তায় সমন্বিতায় প্রোবাচ তত্ত্বতো ব্রহ্ম বিদ্যাং । সমাক প্রশান্তচিত্ত ও সমান্বিত ব্যক্তিকেই ব্রহ্মজ্ঞান দিবে। আমরা তাছাদিগের উপদেশ লঙ্ঘন করিয়া কি এই শাস্তি ভোগ করিতেছি ? ইহা গভীর আলোচনার বিষয় । ーザの NS) iー শান্তিনিকেতন। মহর্ষি মনু কহিয়াছেন যে স্থলে অনেকানেক স্থানের ভগবদ্ভক্ত সাধুলোক সকল তাসিয়া আশ্রয় লন তাছাই তীর্থ এবং তাহাদের আশ্রয় গ্রহণেই তৎতৎ স্থান পবিত্র স্থান বলিয়া কীর্তিত হইয় থাকে । ফলত তীর্থস্থান থাকাতে ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের বিশেষ উদ্দেশ্য ও উপকার সাধিত হয় । সংসারের অনেক পাপ তাপ জাল যন্ত্রণা। কিছু দিনের জন্য ইহার হস্ত হইতে মুক্ত হইয়৷ তীর্থে তীর্থে ভ্রমণ ও সাধুসঙ্গ করিলে মনের নিবৃতিলাভ হয় এবং সংসার তাপ অনেকট। ঘুচিয়া যায়। এই সাধু উদ্দেশে আজও অনেকে তীর্থ পর্য্যটন করিয়া সাধুসঙ্গে ও সৎ প্রসঙ্গে নবজীবন লাভ করিয়া থাকে । আমরা অতি আহলাদের সহিত ব্রাহ্ম সাধারণকে জানাইতেছি যে তাছাদের জন্য ঐ রূপ একটী পবিত্র স্থান নির্দিষ্ট হইল । ইহা শ্ৰীমৎ প্রধান আচার্য্য মহাশয়ের বীরভূমের অন্তর্গত বোলপুরের স্বপ্রসিদ্ধ শান্তিনিকে


= =

-mmo-o-o: তন। তিনি ব্রাহ্মদিগের উপকারার্থ ঐস্থান উৎসর্গ করিলেন । ব্রহ্মসন্তান সকল ব্রহ্মজ্ঞান লাভার্থে ঐ স্থানে যাইবেন। উহ। ব্রহ্মবিৎ সাধু লোকের আশ্রয়-ভূমি হইয়। রহিল। র্যাহারা সাংসারিক উৎপীড়নে কাতর হইয়। মনের শান্তি ছারাইয়াছেন তা হারা ঐ শান্তিনিকেতনে যাত্র করুন। উহা সাধু সমাগমে সততষ্ট পবিত্র। তথায় যাইলে জ্ঞানবল ও ধৰ্ম্মবলে । স্নান হইতে পারিবেন । ঐ স্থানে বর্ষে বর্ষে একটা সাধু সজ্জনের মেলা হইবে । দেশ দেশান্তরের জ্ঞানী ও সাধুর সমাগম হইবে । যিনি সংশয়ী ধৰ্ম্মবাদ তাহার সংশয় দূর করিবে । যিনি আরুরুস্কু তিনি ধৰ্ম্মের সোপান পাইবেন । যিনি প্রেমিক তিনি হৃদয়োম্মাদ কর অনেক সংকথা শুনিবেন । যিনি সজ্জন ভক্ত তাহার আশা চরিতার্থ হইবে । এই স্থানের যেমন পবিত্রতা তেমনি রমণীয়তা । ইহার চতুর্দিকে স্বপ্রশস্ত প্রান্তর। স্বাস্থ্যকর মুক্ত বায়ু সততই বহিতেছে। মধ্যে উদ্যান ভূমি ও প্রকাও প্রাসাদ । তথায় ছায়াবৃক্ষ ও নিৰ্ম্মল জলের অভাব নাই । কলকণ্ঠ বিহঙ্গের স্বমধুর সঙ্গীতের বিরাম নাই । এই নিজন স্থান শ্ৰীমৎ প্রধান আচার্য্য মহাশয়ের সাধনস্থান ছিল । তিনি অনেক সময় ঐ স্থানে কালাতিপাত করিতেন । ফলত তাহার অধিষ্ঠানে ঐ স্থান পবিত্র । যিনি যতই মনোবিকার লইয়া যান স্থামমাহাক্সো তাহার মনে নিৰ্ম্মল ও পবিত্র শান্তি আসিবে । ব্রাহ্মসমাজের অদ্বিতীয় ও চির বন্ধু শ্ৰীমন্মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রাহ্মদিগের উপকারার্থ এই পবিত্র স্থান উৎসর্গ করিলেন । ব্রাহ্মসমাজের যে সকল কার্য্য তাছাকে চিরস্মরণীয় করিয়া রাখিবে ইহাও তন্মধ্যে একটী প্রধান কাৰ্য্য । এখন ঈশ্বরের নিকট কায়মনে প্রার্থনা করি তিনি যে সৎ