পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه لا عام و36 جوية কাণ্টের দর্শন এবং বেদান্ত দর্শন 8 সূৰ্য্য সাগর-গৰ্ব হইতে গাত্রোথান করে এবং সাগর-গর্ভে নিলীন হয় । সমস্তই তাহার নিকটে যৎপরোনাস্তি ধ্রুব সত্য । দৈবাৎ যদি কখন ভূমি-কম্প হইল—তখন পৃথিবীর স্থায়িত্বের উপরে তাহার বিশ্বাস কিয়ৎকাল 'স্তব্ধীভূত হয়, তাহার পরেই তাহার মনোমধ্যে ' তাহার কারণ জিজ্ঞাসা উপস্থিত হয় । শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত তাহাকে বুঝাইয়া দেয় যে, পৃথিবী বাহুকীর মাথার উপরে ভর করিয়া তা ছে—বাস্ত কী মাথা নাড়িলেই পৃথিবী কঁপিয় উঠে ; এই কথাটি শুনিবা-মাত্রই কৃষকের সমস্ত সংশয় তিরোহিত হইয়া যায় । “পূপিনী অটল” ইহা যেমন—“তাছা বাবে কীর মস্তকের উপর ভর করিয়া আছে” ইহা ও তেমনি – দুইই তাহার নিকটে বাস্তবিক সত্য—ব্রুব সত্য | পৃথিবীকে সে তা ট প্রহর দর্শন করিতেছে স্পর্শ করিতেছে, বাহকীকে কেহই দেখে নাই—ম্পর্শ করে নাই, কৃষকের তাহাতে কিছুই আইসে যায় না ; বিক সত্য,—ইহা কি উহা অপেক্ষা কম হাস্যাম্পদ ? তুমি ও বাস্তবিক সত্য জান না, কৃষক ও বাস্তবিক সত্য জানে না ; তুমিও বলিতে ছ যে, আমি যাহা বুঝি তাহাই বাস্তবিক সত্য, কৃষক ও তাঁহাই বলিতেছে; কিন্তু কৃষকের মন সংশয়শূন্য প্রশান্ত—তোমার মন সংশয়ের বিষ-দংশনে অস্থির ; এ বিষ তোমা- অপেক্ষা কৃষক পরম ভাগ্যবান—তাহাতে আর ভুল নাই । কৃষক সত্য না জানিয়া ও যেমন সত্যে নিঃ সংশয়, তুমি সত্য জানিয়া যদি সত্যে তেমনি নিঃসংশয় হইতে পার, তবেই বলিব নে, তুমি কৃষক অপেক্ষ জ্ঞানে বড়, কেননা তুমি বাস্তবিক সত্য জান—কৃঘক তাহা জানে না ; তাহা যতক্ষণ না হইতেছে, ততক্ষণ তুমিও যা, কৃষক ও তা সমানই ; তাহার নিকটে প্রত্যক্ষ সত্য ও মেমন বাস্ত- । বিক—তালুমানিক সত্য ও তেমনি বাস্তবিক ;—চক্ষে দেখা সত্য ও যেমন—কর্ণে শুন সত্য ও তেমনি—উভয়ই ধ্রুব সত্য । বরং কৃষক তোমা অপেক্ষ। ভাল, কেননা তাহার মনে শান্তি বিরাজ করিতেছে— তোমার মনে শান্তি নাই । এই স্থলে কৃতবিদ্য ব্যক্তি উষ্ণ হইয়া এইরূপ প্রত্যুক্তর দিলেন সন্দেহ নাই যে, “বিজ্ঞান বলিয়া মে, একটা সামগ্ৰী আছে, তাহ। কি তুমি একেবারেই ভুলিয়া গেলে ? তোমার মস্তকের উপরে মধ্যাহ্ন দিবাকর তাড়ক রক্ষসীর মুখব্যাদানের ন্যায় তাহার অঙ্গুলি দিয়া দেখাইয়া দিতে হইবে ? কি বিশ্বাসের পরিধি আকাশ-পাতাল-ব্যাপী, তাহার অভ্যন্তরে সংশয়ের একবিন্দু ও অব- , কাশ নাই। তুমি আজিকের কালের এক জন কৃতবিদ্য ব্যক্তি—কৃষকের মনের এইরূপ সংশয়-শূন্য নিৰ্ভীক অবস্থা দেখিয়া তুমি মনে মনে হাস্য করিতেছ, কিন্তু হাস্তে ক্ষান্ত হও । কৃষকের নিকট সকলই বাস্তবিক সত্য—এ যেন খুবই হাস্যাম্পদ, কিন্তু তোমার নিকট কিছুই বাস্তবিক সত্য নহে অথচ তুমি মনে করিতেছ যে, তুমি যাহা স্থির করিয়াছ তাহাই বাস্ত দেদীপ্যমান—তাহা ও কি তোমাকে চক্ষে আশচর্য্য ! বা স্তবিক সত্যের পথপ্রদর্শক বিজ্ঞান নহে তো আর কে ?” ইহার উত্তরে আমরা বলি,—থামো ! তোমাদের পরম গুরু এবং নেতা কম্টি বলিয়াছেন যে, আপেক্ষিক সত্য ভিন্ন বাস্তবিক সত্যে হস্ত প্রসারণ করা বিজ্ঞানের পক্ষে নিতান্তই অনধিকার চর্চা । কমৃটি বলেন “বিজ্ঞানের আপেক্ষিক সত্যকেই বাস্তবিক সত্য বলিয়া মানিয়া, লও—তাহাতেই জনসমা- ? জের সমস্ত কাৰ্য্য সুচারু রুপে নির্বাহিত